দেশে রেনিটিডিন উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ। এন.সি- ১৪৭

দেশে রেনিটিডিন উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধRelated image
দেশে রেনিটিডিন উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ
তাহলে বিকল্প কি ?
যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য রেনিটিডিন একটি অপরিহার্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। খাবার আধাঘন্টা আগে একটা ওষুধ না খেলে অনেকের গ্যাস ফর্ম করে মরা মরা অবস্থা হয়। অনেকের পুরাতন মাত্রায় কাজ হয় না, ডাক্তারের কাছে গিয়ে নতুন নতুন মাত্রা নিয়ে আসে। গত বেশ কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ঔষুধ হলো এই গ্যাস্ট্রিকের ঔষুধটি।
কিন্তু সম্প্রতি বের হয়েছে, এই রেনিটিডিন ওষুধের মধ্যে রয়েছে ক্যান্সারের উপাদান রয়েছে। আমি এই বিষয়টি অবশ্য অনেক আগেই লিখেছিলাম, সম্রাজ্যবাদীরা এক ওষুধ দিয়ে হয়ত তাৎক্ষনিক রোগ সারায়, কিন্তু সেটা দিয়ে আরেক রোগ তৈরী করে, আবার সেই রোগের চিকিৎসা করে টাকা কামাই করে। ঘাটলে অনেক ওষুধের মধ্যে ক্যান্সারের উপাদান পাওয়া যাবে, কারণ তারাই আরেক ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে ক্যান্সারের কেমোথ্যারাপির ব্যয়বহুল ওষুধ বিক্রি করে অনেক লাভ করে থাকে।
যাই হোক, আজকে গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো, বাংলাদেশে গ্যাস্ট্রিকের এই ওষুধ সম্পূর্ণরূপে উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো- এই যে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষকে এই ওষুধে অভ্যস্ত করা হলো, তাদের কি হবে ? তারা তো এই ওষুধ ছাড়া একদিনও থাকতে পারবে না ?
আসলে একটা কথা না বললেই না, আমি সকল কমিউনিটির জীবন সম্পর্কে জ্ঞান নেয়ার চেষ্টা করি। কারণ কোন জ্ঞানই ফেলে দেয়ার মত নয়। আমি দেখেছি মুসলমানদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে অনেক কিছুর সমাধান ছিলো, কিন্তু পরবর্তীতে মুসলমানরা সেই সমাধানগুলো গ্রহণ করতে পারেনি, কিন্তু সেটা নিয়ে গেছে অমুসলিমরা। যেমন- মুসলমানদের শেষ নবীর জীবন পড়লে দেখতে পারবেন, তিনি ভিনেগার (সিরকা) খেতেন এবং অন্যকে তা খেতে উৎসাহিত করেছেন। ভিনেগার খেলে কিন্তু গ্যাস্ট্রিক সেরে যায়। এই বিষয়টি ইউরোপ-আমেরিকায় দেখা যায়। তারা ভিনেগারে খুব অভ্যস্থ। খাওয়ার সময় যেভাবে ওষুধ খাওয়া হয়, সেভাবে যদি পানিতে মিশিয়ে সামান্য পরিমাণে ভিনেগার খাওয়া যায়, তবে কিন্তু গ্যাস ফর্ম করে না। কিন্তু বাংলাদেশের এই কালচারটা আমি খুব একটা দেখি না, বাংলাদেশের মানুষ বেশি অভ্যস্ত সেই ক্যান্সার উৎপাদনকারী রেনিটিডিনে। এতে একদিকে যেমন খরচ বাড়ে, সাথে তৈরী হয় ভিন্ন কোন রোগ। অথচ ভিনেগারে অভ্যস্ত হলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় খরচ অনেক কমে যেতো। কিন্তু আমাদের ভিনেগারকে উৎসাহিত করা হয় না, কারণ এতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর বড় বিজনেস বন্ধ হয়ে যাবে।
আমার মনে হয়, সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট ওষুধ কোম্পানিগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতন হওয়া এখন খুব জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ কেউ জানতেছে না, কোন ওষুধের মধ্যে অন্য কোন ভয়ঙ্কর রোগ তৈরীকারী উপাদান লুকিয়ে আছে। মনে রাখবেন- সম্রাজ্যবাদীদের মূল উদ্দেশ্য কখন রোগ সারানো নয়, বরং রোগ নিয়ে ব্যবসা করা।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন অসুখের চিকিৎসা হিসেবে গ্রিন-পলিসি গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবী। এক্ষেত্রে মুসলমানরা তাদের পূর্ব ইতিহাস দেখতে পারে, কারণ সেখানে অনেক সহজ সমাধান উল্লেখ করা যাছে, যা আধুনিক মেডিকেল সাইন্সের কাছেও বিষ্ময়ের কারণ বটে।
আমার ব্যাকআপ পেইজ- https://www.facebook.com/noyonchatterjee66/