দুদক পরিচালক ইউসুফের স্ত্রী তানিয়া ইশরাত সম্পর্কে প্রচার করা হয়েছে, তিনি নাকি মানসিক অসুস্থ ছিলেন। এবং সেই মানসিক অসুস্থতা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এখানে আমি কয়েকটি বিষয় চিন্তা করেছি-
১) তানিয়া ইশরাতের ফেসবুক আইডিতে তার বুদ্ধিদিপ্ত পোস্ট এবং বুদ্ধিদিপ্ত কমেন্টের উত্তর দেখে আমার মনে হয়নি তিনি মানসিক অসুস্থ (https://www.facebook.com/anika.hossain.374549)
২) তানিয়া ইশরাতের মানসিক অসুস্থতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রচার করেছে শ্যামল দত্তের পত্রিকা ভোরের কাগজ। (https://bit.ly/2kHQFRT)। ভোরের কাগজে খবর- “তানিয়ার দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক সমস্যা ছিল। সব সময় একা একাই থাকতেন। কারোর সঙ্গেই তেমন কথা বলতে চাইতেন না। এর আগেও তিনি ২ বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। একবার হারপিক আবার বিষ খেয়েছিলেন। সর্বশেষ গুলশানের মুক্তি নামের একটি মানসিক হাসপাতালে রেখে তাকে সাড়ে ৪ মাস চিকিৎসা করানো হয়। নিয়মিতই তার চিকিৎসা চলছিল। তবে কোনো উন্নতি হচ্ছিল না। বুধবার রাত ৮টার দিকে বাসায় সবার অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। কথা হলো- তার ফেসবুক আইডির স্ট্যাটাস বা কমেন্টের (https://www.facebook.com/anika.hossain.374549) সাথে খবরের প্রচারিত আচরণের মিল কিন্তু বোঝা যায় না।
৩) বাংলাদেশে অনেক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। কিন্তু বেশিরভাগ গলায় ফাঁস বা বিষ খেয়ে। কিন্তু গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না।
৪) সম্প্রতি দুটি আগুনে পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়কে আত্মহত্যা বলে প্রচার করার চেষ্টা করা হয়েছে। একটি বহুল আলোচিত নুসরাত হত্যাকাণ্ড (https://bit.ly/2meSSom), অন্যটি প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে আটক আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের পঞ্চগড় জেলা কারাগারের ভেতর আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি। (https://bit.ly/2kfwBpH)
৫) পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, “দুদক পরিচালক ইউসুফ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছে, এটি আত্মহতার ঘটনা। এ নিয়ে তানিয়া ইশরাতের পরিবারের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।” (https://bit.ly/2ma17Sp)
আমার কাছে মনে হয়েছে, বাবুল আক্তারের মত ঘটনা যেন আর দূর না গড়ায়, সে জন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই শিখিয়ে দেয়া সিস্টেমে ইতি টানলো দুদক পরিচালক ইউসুফ। এর থেকে বেশি কিছু বললে হয়ত বাবুল আক্তারের মত চাকুরী হারানো বা জেলের ভাত খেতে হতো।
আমার কাছে মনে হয়েছে, বাবুল আক্তারের মত ঘটনা যেন আর দূর না গড়ায়, সে জন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই শিখিয়ে দেয়া সিস্টেমে ইতি টানলো দুদক পরিচালক ইউসুফ। এর থেকে বেশি কিছু বললে হয়ত বাবুল আক্তারের মত চাকুরী হারানো বা জেলের ভাত খেতে হতো।