পতিতালয়ের মাধ্যমে ধর্ষণ কমবে : ঢাবি অধ্যাপক নেহাল করিম ! এন.সি -১৬৪

পতিতালয়ের মাধ্যমে ধর্ষণ কমবে : ঢাবি অধ্যাপক নেহাল করিম !
17 September 2019
Related imageপতিতালয়ের মাধ্যমে ধর্ষণ কমবে : ঢাবি অধ্যাপক নেহাল করিম !
প্রশ্ন- ধর্ষণ কিভাবে বন্ধ হবে ?
উত্তর- পতিতালয়ের মাধ্যমে সমাজে ধর্ষণ বন্ধ করতে হবে।
এই বক্তব্য হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়্যারম্যান অধ্যাপক নেহাল করিমের।
সম্প্রতি সময়টিভির সাথে এক সাক্ষাৎকারে ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নেহাল করিম বলে,
“প্রত্যেকটা মানুষের এটা সহজাত প্রবৃদ্ধি জৈবিক চাহিদা মেটানোর। এখানে যদি তারা ব্যবস্থা না পায় তাহলে তারা অন্য পথে যাবেই। শিল্প এলাকায় এবং বড় বড় শহরে জৈবিক চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা থাকতেই হবে। ” (https://bit.ly/2mgPeu0)
নেহাল করিমের বক্তব্যকে ঘিরে কয়েকটি প্রশ্ন তৈরী হয়-
১) পতিতালয়গুলোতে নারীরা জঘণ্যরূপে নির্যাতনের শিকার হয়, এটা সবার জানা। কথা হলো, নেহাল করিমরা কিছু নারীকে বাচাতে কি কিছু নারীকে নির্যাতনের শিকার হওয়ার বৈধতা দিচ্ছে কি না ?
২) পতিতালয়গুলোতে নারীরা নিকৃষ্টরূপে নির্যাতনের শিকার। এক শ্রেণীর পুরুষ টাকার বিনিময়ে সেই নারী নির্যাতনগুলো করে আসছে। নেহাল করিমের বক্তব্য অনুসারে, টাকার বিনিময়ে নারী নির্যাতন করা বৈধ। তাহলে সেই সূত্র অনুসারে এটাও বলা যায়, ধর্ষক যদি ধর্ষিতাকে ক্ষতিপূরণরূপে টাকা অফার করে এবং ধর্ষিতা যদি সেটা মেনে নেয়, তবে ধর্ষকের শাস্তি হওয়ার কোন দরকার নেই।
৩) পতিতালয় বৃদ্ধি হলেই যে ধর্ষণ কমবে তার দলিল কি ? পৃথিবীর এমন কি কোন রাষ্ট্র আছে, যেখাণে পতিতালয় সংখ্যা বৃদ্ধি করার পর সেখানে ধর্ষণের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ? পৃথিবীতে শীর্ষ ধর্ষণ প্রবণ রাষ্ট্রগুলোর তালিকা দেখলে দেখা যায়, সেখানে প্রায় প্রতিটা রাষ্ট্রেই পতিতা ব্যবসা বৈধ এবং প্রচুর পরিমাণে রাষ্ট্র স্বীকৃত পতিতালয় আছে। তাহলে সে সব দেশে ধর্ষণ হ্রাস না পেয়ে রেকর্ড করছে কেন ? নেহাল করিমরা ভার্সিটির প্রফেসর, চেয়্যারম্যান হয়ে বসে আছে, বক্তব্য দিচ্ছে খুব জোরসে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া সেই বক্তব্যগুলো ছাড়ছে কিভাবে ??
৪) প্রাণীমাত্র জৈবিক চাহিদা আছে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষের জৈবিক চাহিদা মেটানোর সমাজস্বীকৃত পন্থা হচ্ছে বিয়ে, অপরদিকে প্রাণীরা সবার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। সভ্য মানুষ ও জঙ্গলের প্রাণীর মধ্যে এখানেই তফাৎ। কথা হলো- বৈধ বিয়ের করেই তো জৈবিক চাহিদা মেটানো যায়, সেটা এড়িয়ে গিয়ে কেন অবৈধ পতিতালয়ের দিকে সমাজকে প্রমোট করা হচ্ছে ?
৫) নেহাল করিম যে পতিতালয়ের কথা বলছে, সেই পতিতালয়ের অবশ্যই কোন নারীকে থাকতে। আর সেই নারী অবশ্যই কারো মা, কারো বোন কিংবা করো মেয়ে হবে। কথা হলো- নেহাল করিম কি তার মা, বোন কিংবা মেয়েকে ১০০ পুরুষের জৈবিক চাহিদা মেটানোর মেশিন হিসেবে মেনে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে ??
৬) বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ (https://bit.ly/2lV9NvV)। কথা হলো- দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের চেয়্যারম্যান ও অধ্যাপক হয়ে নেহাল করিমরা এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে কি না ? প্রকাশ্যে সংবিধান বিরুদ্ধ বক্তব্য দেয়ায় পর তার চাকুরীর বৈধতা থাকে কতটুকু ?
নেহাল করিমের ফেসবুক আইডির (https://www.facebook.com/nehal.karim.33/) ফ্রেন্ড লিস্ট দেখে বুঝলাম সে নিজেই একটা পার্ভার্ট কোয়ালিটির লোক। আমার মনে হয়, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞানী, অপরাধবিজ্ঞানী বা ভার্সিটির প্রফেসর রূপে এ ধরনের প্রচুর পার্ভার্ট বসে আছে। এরাই শীর্ষ স্থানে বসে আমাদের সমাজকে নৈতিকতার বদলে বরং অনৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছে। সমাজে দৃশ্যত শিক্ষার হার বাড়লেও এদের কারণেই ধর্ষণের হার কমছে না বরং বাড়ছে। তাই এদেরকে পদচ্যূত ও সমাজচ্যূত করার মাধ্যমেই সমাজে ধর্ষণ হ্রাস সম্ভব বলে আমার মনে হয়।