ভোলায় ইসকনের সমাবেশ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
ভোলার সার্কুলার রোডে বির্তকিত জমিতে ইসকনের সাত দিনব্যাপী সমাবেশ বন্ধ এবং বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন মুসল্লিরা। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকালে ভোলা শহরের হাঠখোলা জামে মসজিদের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন- মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা তাজউদ্দিন ফারুকি, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা তরিকুল ইসলাম, মাওলানা গোলাম মোর্শেদ, মুফতি আবদুল মমিন, হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মীয় লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে যা পৃথিবীর অন্য দেশে বিরল। আমাদের পার্শবর্তী ভারতে নির্মমভাবে মুসলিম নিধন চলছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন চলছে, চীনে উইঘুর মুসলিমদের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চলছে। কিন্তু বাংলাদেশে সংখালঘু সম্প্রদায় অনেক শান্তিতে আছে। কিন্তু এই শান্তি বিনষ্ট করতে ইহুদি ও হিন্দু উগ্রপন্থিদের যৌথ পরিকল্পনায় সৃষ্ট সংগঠন ইসকন শান্তি বিনষ্ট করতে পাঁয়তারা করছে।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মীয় লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে যা পৃথিবীর অন্য দেশে বিরল। আমাদের পার্শবর্তী ভারতে নির্মমভাবে মুসলিম নিধন চলছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন চলছে, চীনে উইঘুর মুসলিমদের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চলছে। কিন্তু বাংলাদেশে সংখালঘু সম্প্রদায় অনেক শান্তিতে আছে। কিন্তু এই শান্তি বিনষ্ট করতে ইহুদি ও হিন্দু উগ্রপন্থিদের যৌথ পরিকল্পনায় সৃষ্ট সংগঠন ইসকন শান্তি বিনষ্ট করতে পাঁয়তারা করছে।
বক্তারা বলেন, ইসকন কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম বিনষ্ট করতে চায়। যার প্রমাণ কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে মুসলমান শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি দেয় ইসকন। এ সময় কোমলমতি মুসলমান শিশুদের খাওয়ার পূর্বে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করে। এছাড়াও দেশের বেশ কয়েকটি দেশ বিরোধী কার্যক্রমে ইসকনের সম্পৃক্ততা আছে। এই উগ্রবাদী সংগঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরুপ। তাই অবিলম্বে এই উগ্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তরা আরও বলেন, ভোলা শান্তির এলাকা। এখানে বহিরাগত কেউ শান্তি বিনষ্ট করতে এলে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এ সময় তারা ভোলা সার্কুলার রোডে অনুষ্ঠিতব্য ইসকনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন বক্তারা।