ঢাকার কড়াইল বস্তি !


2g7 mtSpomnAsopchirincnlgred 
ঢাকার কড়াইল বস্তি !
সামান্য একটু যায়গার মধ্যে ২৫ হাজার ঘর।
প্রতি ঘরে যদি ৪ জন করে থাকে, তবে কমপক্ষে ১ লক্ষ লোকের বসবাস।
করোনা ভাইরাস আসার সাথে সাথে আমাদের শিখানো হইলো সোশ্যাল ডিসটেন্স পালন করতে হবে।
৩ ফুট- ৬ ফুট। এমনকি নিজের ঘরের ভেতরেও সোশ্যাল ডিসটেন্স করতে হব্
এবং আরো সোশাল ডিসটেন্স হইলো করোনার একমাত্র চিকিৎসা।
সোশ্যাল ডিসটেন্স পালন না করা মানেই- “মরতে হবে তোমাকে।”
ফেসবুকে কথিত সোশাল ডিসটেন্সবিহীন এক ছবি দিতো, আর পাবলিককে বলতো সেই কথিত অসচেতন মানুষকে গালি দেয়ার ট্রেনিং দেয়ার জন্য।
কথা হচ্ছে, এই কড়াইল বস্তিতে কি সোশাল ডিসটেন্স পালন হয় ?
১ লক্ষ লোক ৬ ফুট দূর করতে দাড়াইতে কত কিলো যায়গায় লাগবে ??
জানি না, এই বস্তিতে কারো করোনা পজিটিভ হইছে কি না ?
যদিও হয়ও, এবং করোনা যদি মহামারী রোগ হয়, এবং দাবীকৃত ছোয়াচে হয়,
তবে এই বস্তিতে তো লাশের স্তুপ হয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু কড়াইল বস্তিতে লাশের স্তুপ পাওয়া গেছে এমন কোন খবর হয় নাই।
আসলে সোশ্যাল ডিসেটন্সটা হইলো ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের পরিবেশবাদী উপ-অংশের একটা টেস্ট কেইস। ধর্মের ভাষায় বললে ‘আমল’।
যা তারা করোনা ভাইরাসের নাম দিয়ে বিশ্বকে পালন করাইলো, সামনে আরো করাইতে পারে।
বাস্তবে এই করোনা দমনে এই সোশ্যাল ডিসটেন্সের কোন গুরুত্ব নাই।
যদি গুরুত্ব থাকতোই, তবে কড়াইল বস্তির মানুষ সামলাইতে কুয়েত মৈত্রি আর কুর্মিটোলা হাসপাতালের বারোটা বেজে যাইতো।
শুধুমাত্র নিজেদের মতবাদ ছড়ানোর জন্য ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের (পরিবেশবাদী অংশের) এই কর্ম, দেশের সব মানূষকে পালন করাইলো, এমনকি নামাজের ফতওয়া চেঞ্জ করে এক মুসল্লী অন্য মুসল্লী থেকে ২ হাত দূরে দাড় করাইলো।
মূল হইলো এসডিজি বা সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট গোল-২০৩০ সালের যে ১৭টা পয়েন্ট আছে, তার মাধ্যে একটা বড় অংশ হইলো পরিবেশবাদীদের বিভিন্ন কার্যক্রম । এই কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে আগেই মানুষকে ট্রেনিং দেয়ার উদ্দেশ্যে এইসব সোশ্যাল ডিসটেন্স, লকডাউন হাবিজাবি। তারাই দেখাবে এগুলো করে অনেক উপকার হইছে, সমুদ্রে ডলফিন-কাকড়া আসছে, বাতাস বিশুদ্ধ হইছে। মানে পরিবেশের অনেক উপকার হইছে, কিন্তু মানুষ যে না খেতে পেয়ে মারা গেছে, এই হিসেব তাদের কাছে নাই।
Image may contain: sky and outdoor471 shares