আওয়ামীলীগ করোনা থেকে অনেক ভাবেই লাভবান হবে।
ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের মালিকানাধীন বীকন ফার্মার ফেভিপিরা ওষুধের খুব প্রচার চলতেছে দেখলাম। জাপানসহ অনেক দেশ নাকি অনুমুতি দিছে(তাদের ওধুষের নাম অ্যাভিগান), এমন গুজব রটাইছে কেউ কেউ। বাস্তবতা হইলো, জাপানেও ট্রায়াল চলতেছে, এখনও সেটাকে করোনার জন্য ১০০% ফিট বলে নাই কেউ।
জাপানে কিছু ট্রায়াল যে সফলতা পাইছে, সব হইলো, ৩০ বছরের নিচের রোগীর মধ্যে, বয়স্ক রোগীদের মধ্যে সফলতা পায় নাই। কিন্তু কথা হইলো, ৩০ বছরের নিচের মানুষের শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে, তা তো এমনিতেই করোনা দমন করতে পারে। এদের অনেকের তো লক্ষণ পর্যন্ত ফুটে উঠে না। সেই রোগীদের উপর প্রয়োগ করে যদি সফলতা আসে, তবে সেটা কতটুকু সফল তা আমার মাথায় আসে না। তাছাড়া এই এন্টি ভাইরাল ড্রাগ প্রেগনেন্ট মহিলা বা কিডনী রোগীদের শরীরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরী করবে বলে শুনতেছি।
কথা হইলো, এটার যেভাবে প্রচার চলতেছে সেটাই নিয়ে আমার মাথাব্যাথা।
১টা ওষুধের দাম ৪০০ টাকা, একজনকে খাইতে হবে ৪০ টা ওষুধ। তাহলে একজনের জন্য খরচ হবে ১৬ হাজার টাকা। ১ কোটির জন্য পড়বে ১৬ হাজার কোটি, ৫ কোটির জন্য পড়বে ৮০ হাজার কোটি। ১০ কোটির জন্য লাগবে ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
উফ ! এক করোনা নিয়ে আওয়ামী এমপির কোম্পানি যা কামাই করবে, তা নিঃসন্দেহে এক বড় ইনকাম।
উপরের দিকে এর পার্সেন্টিজ যাবে নিঃসন্দেহে।
তাই যত করোনা তত লাভ, এটা ভুলে গেলে চলবে না।
এজন্যই বলি, করোনার ক্ষেত্রে সাইন্সের মধ্যে আর্টস (অর্থনীতি-রাজনীতি) ঢুকে গেছে।