প্রথাগতভাবে চাকমা রাজার স্ত্রী হিসেবে চাকমা রানী হলেও সে জন্মগতভাবে বার্মিজ রাখাইন সম্প্রদায়ভুক্ত এবং পরবর্তীতে বান্দরবানের অধিবাসী রানী ইয়েন ইয়েন। বৈবাহিক সূত্রে আত্মস্বীকৃত রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী রাজা ত্রিদিব রায়ের পুত্র এবং রাঙামাটি সার্কেল চিফ ও কথিত রাজা দেবাশীষ রায়ের দ্বিত্বীয় স্ত্রীর মর্যাদায় চাকমা রানী হিসেবে অধিষ্ঠিত হলেও নানা রকম জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক-উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড, সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে সম্পর্ক এবং অবাধ মেলামেশা ও লাগামহীন জীবন যাপনের কারণে খুব দ্রুতই সে বিতর্কিত হয়ে পড়ে।
কথিত রাজা দেবাশীষ রায়ের প্রথম স্ত্রী রানী তাতু রায় ১৯৯৮ সালে এক দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করলে প্রায় দেড় যুগ পর পরিবার ও সম্প্রদায়ের অমতেই কন্যা বয়সী ইয়েন ইয়েনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর নিজ সন্তান ইয়াদ্ধা দেবা ইয়ানের পথের কাঁটা মনে করে ভবিষ্যৎ রাজা হিসেবে দেবাশীষ রায়ের বড় ছেলে ত্রিভুবন আর্য্যদেব রায়কে মন থেকে মেনে নিতে না পারায় রাজপরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হয়- যা এখনও বিরাজমান।
জানা যায়, ইয়েন ইয়েন লোভে পড়ে পিতার বয়সী রাজা দেবাশীষকে বিয়ে করলেও একসময় বহুগামিতায় অভ্যস্ত ছিল যা এখনো ছাড়তে পারেনি। গত পনেরো ফেব্রুয়ারি উস্কানি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ইয়েন ইয়েনকে অপহরণের নাটক সাজালেও পরে রাঙামাটি হোটেল সাবারাং এ তাকে পুরুষ বন্ধুসহ মাতাল অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেলে তার বহুগামিতার তথ্য ফাঁস হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, স্বামী দেবাশীষ রায়ও ইয়েন ইয়েনের এমন অভ্যাসের কথা জানে এবং সে নিজেই, নিজের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক স্বার্থে লবিংয়ের জন্য অনেককে খুশী রাখতে তাকে ব্যবহার করে। বর্তমানে সে তার স্ত্রীকে ব্যবহার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেশের সার্বভৌমত্ব ও বাঙালিদের বিরুদ্ধে।
গত বছর শতাব্দীর ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের মর্মান্তিক ও রুদ্ধশ্বাসের সময়ে রাঙামাটি জেলার লংগদুর অগ্নিকাণ্ডের মিথ্যা কলঙ্ক বাঙালি সম্প্রদায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়ার হীন মানসিকতায় জনসমাবেশের আহ্বানসহ অতিসম্প্রতি রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার আলোচিত দুই মারমা তরুণীর কথিত ধর্ষণকে ভিন্নখাতে প্রবাহের অব্যাহত চেষ্টাসহ নানাবিধ ইস্যুতে ষড়যন্ত্র করে চলেছে সে।
এছাড়া রানী ইয়েন ইয়েনের বিপক্ষে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিরোধী উপজাতি সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং সরাসরি ইউপিডিএফ- এর নারী সংগঠনের কাউন্সিলে যোগদান এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই তাকে বিকৃত করে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক রঙ দিয়ে উস্কানি সৃষ্টির মাধ্যমে রাঙামাটিসহ পুরো পার্বত্য অঞ্চলকেই অশান্ত করে তোলার মতো দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ও রয়েছে।
তাই জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে পাহাড়ের পরিস্থিতি অশান্ত করা ও দেশ-বিদেশে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে রাঙামাটির চাকমা রানী ইয়েন ইয়েনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন সচেতন মহল। অন্যথায় পরবর্তীতে পার্বত্য অঞ্চলে ভয়াবহ জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।