• চট্টগ্রামের বলাকা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত (ফেব্রুয়ারি-২০১১) পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস বইয়ে জামালউদ্দিন লেখেন, ...অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পাক দালাল খ্যাত চিহ্নিত এক উপজাতীয় নেতার (রাজা ত্রিদিব রায়) বিশ্বাসঘাতকতায় ওই দিনই পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী রাঙামাটিতে এসে চুপিসারে অবস্থান নেয়, যা মুক্তিযোদ্ধাদের জানা ছিল না। ভারত প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের বাংলোর কাছাকাছি পৌঁছার সাথে সাথে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা পাকিস্তানি সৈনিকেরা মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে ফেলে। এই দলের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইফতেখার (পৃষ্ঠা নম্বর ৩৭৯-৩৮০)।
• এর আগে রাঙামাটি মহকুমা সদরের এসডিও আবদুল আলী কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে দুটি স্পিডবোটে করে মহালছড়ি থেকে রাঙামাটি আসেন। স্পিডবোটে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এসএম কালাম, আবদুল শুকুর, শফিকুল ইসলাম, মামুন, শামসুল হক মাস্টার এবং রাঙামাটি হাইস্কুলের তদানীন্তন হেডমাস্টার রহমান আলীর ছেলে ইফতেখার। এর মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করার জন্য আবদুল আলীকে রাঙামাটিতে পুলিশ লাইনের এক ব্যারাকে আটক করে রেখে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড দিয়ে আঁচড় দেয়া হয়েছিল। এরপর সেসব জায়গায় লবণ দেয়া হয়েছিল। তাছাড়া তাকে একটি জিপের পিছনে বেঁধে টেনে রাঙামাটির বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়েছিল। সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম শরবিন্দু শেখর চাকমা, (অঙ্কুর প্রকাশনী, জানুয়ারি-২০০৬ পৃষ্ঠা ২৫)।
• ইফতেখার ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র এবং এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া প্রথম ব্যাচের সদস্য ছিলেন তিনি। তার বাবা যেহেতু রাঙামাটি স্কুলের হেডমাস্টার, তাই রাঙামাটি গিয়ে বাড়ির সবাইকে দেখবেন এবং যুদ্ধ করে তাদের মুক্ত করে আনবেন এমন ইচ্ছায় সে টগবগ করছিলেন তিনি। নিজের ছাত্র ইফতেখার সম্পর্কে আমার একাত্তর (সাহিত্য প্রকাশন, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭, পৃষ্ঠা নম্বর ৪৮) বইতে অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান লিখেছেন এই কথা।
• রাজা ত্রিদিব রায় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকেই বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বের হওয়া হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র (সশস্ত্র সংগ্রাম-১) নবম খণ্ডের (জুন ২০০৯) ৯৩ পৃষ্ঠায় মেজর জেনারেল (অব.) মীর শওকত আলী বীর উত্তম লেখেন- চাকমা উপজাতিদের হয়তো আমাদের সাহায্যে পেতাম। কিন্তু রাজা ত্রিদিব রায়ের বিরোধিতার জন্য তারা আমাদের বিপক্ষে চলে যায়। অন্যদিকে ১৯৭১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম তার বই বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১-এর (মার্চ ২০০৪) ২৬০ পৃষ্ঠায় লেখেন- চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় প্রথম থেকেই নির্লিপ্ত এবং গোপনে পাকিস্তানিদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।
• চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের স্বাধীনতাবিরোধিতার আরো নমুনা আমরা পাই বাংলা একাডেমী থেকে বের হওয়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহিরের (বীর প্রতীক) বই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন আফতাব কাদের বীর উত্তম-এ (ডিসেম্বর ২০০৮)। বইটির ৬৩ পৃষ্ঠায় তিনি লেখেন- মার্চ মাসের প্রথম থেকেই রাজা ত্রিদিব রায় এবং মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা কোনো কারণে মুক্তিকামী বাঙালিদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলত।
আফসান চৌধুরী তার বই বাংলাদেশ ১৯৭১ : প্রথম খ--এর ৪১৩ পৃষ্ঠায় (ফেব্রুয়ারি ২০০৭, মাওলা ব্রাদার্স) লেখেন- পূর্বপাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১৬২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহের একটি আসন ছাড়া বাকি ১৬০টি আসনই লাভ করে। ময়মনসিংহ-৮ আসনে পিডিপি নেতা নুরুল আমিন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়।
• ত্রিদিব রায় জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী চারু বিকাশ চাকমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, যে আসনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। বলছেন মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক তার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতি মূল্যায়ন বইয়ের (ফেব্রুয়ারি ২০০১, মাওলা ব্রাদার্স) ৭৭ পৃষ্ঠায়।
• বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বইয়ে ডা. মাহফুজুর রহমান (মার্চ ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ৪৬৭) লিখেছেন, রাজা ত্রিদিব রায়, এস টি হোসেন প্রমুখের নেতৃত্বে রাঙামাটি মুসলিম লীগ তার রাজনীতি চালিয়ে যায়। তপন কুমার দে সম্পাদিত আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা (ফেব্রুয়ারি ২০১০, অন্বেষা প্রকাশন) বইয়ের ৫৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- রাজা ত্রিদিব রায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়। অন্যদিকে আইয়ুব হোসেন এবং চারু হক-এর বই মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীর (ফেব্রুয়ারি ২০০৮, ঐতিহ্য) ৮২ পৃষ্ঠায়ও রাজা ত্রিদিব রায়ের স্বাধীনতা-বিরোধিতায় প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে।
• রাজা ত্রিদিব রায় মনে করতো, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হবে না, যদি ভারত পাকিস্তানকে যুদ্ধে পরাস্ত করতে না পারে। আর ভারত পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে পারবে না। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে চীন এবং আমেরিকা রয়েছে। তারা কোনদিন পাকিস্তানকে ভারতের কাছে পরাজিত হতে দেবে না। সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম, শরবিন্দু শেখর চাকমা (জানুয়ারি ২০০৬, অঙ্কুর প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৩১)।
• এছাড়া চাকমা রাজপরিবার চিরদিনই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বিরুদ্ধে থেকেছে। বিচারপতি আবু সায়েম দেশের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপতি হবার পর তিনি রাজা ত্রিদিব রায়ের মা বিনীতা রায়কে তার অন্যতম উপদেষ্টা করেন। সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম, শরবিন্দু শেখর চাকমা (জানুয়ারি ২০০৬, অঙ্কুর প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৩৫)।
• রাজা ত্রিদিব রায় মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানে চলে যায় এবং বাংলাদেশে স্বাধীন হলে আর দেশে ফিরে আসেনি। করাচি থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক ডন পত্রিকার ৮ অক্টোবর ২০০০ সংখ্যায় সে ‘চিটাগাং হিল ট্র্যাক্ট : লেট জাস্টিস বি ডান’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখে- (ইব্রাহিম, পৃষ্ঠা-৭৮) মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ তাকে (রাজা ত্রিদিব রায়) ইসলামাবাদ নিয়ে যাওয়া হয় এবং কয়েক দিন পর তাকে পাকিস্থানের সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম শ্রীলঙ্কা, পরে বার্মা, থাইল্যান্ড প্রভৃতি বৌদ্ধ রাষ্ট্রে পাকিস্তানের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য পাঠানো হয়। (শরবিন্দু শেখর চাকমা, পৃষ্ঠা ৪১)।
• অন্য যুদ্ধাপরাধী বোমাং সার্কেলের রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরীও ছিল স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও মন্ত্রী এই রাজা পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে এবং হানাদার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিল। সে ১৯৬৫ সালে মুসলিম লীগের টিকিটে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও যোগ দিয়েছিল। তার পরিবারের লোকজনও পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে। তবে বোমাং রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরী স্বাধীনতার পর জেলে বন্দি হয়। (ইব্রাহিম পৃষ্ঠা- ৭৮)। হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, সপ্তম খ-ের (জুন ২০০৯) ৫৪০ পৃষ্ঠায় আছে, পাকিস্তান সরকারের তৎকালীন মন্ত্রিসভায় একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হয় বোমাং রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরী। প্রদেশের মনোনীত সংখ্যালঘু মন্ত্রী অং শৈ প্রু অন্য সবার সাথে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেনি। কারণ সে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার জন্য নির্দিষ্ট বিমানে আরোহণ করতে পারেনি। তাকে বন, সমবায় ও মৎস্য দফতরের দায়িত্ব দেয়া হয়। সে সংখ্যালঘু বিষয়ও দেখাশোনা করেছে।
• চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় এবং বোমাং রাজা অং শৈ প্রুর নাম বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে তৈরি যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বই যুদ্ধাপরাধ-এর (ফেব্রুয়ারি ২০০৮) ৮১ পৃষ্ঠায় এই দুই রাজার নাম জ্বলজ্বল করছে তাদের সেই সময়ের সহযোগী গোলাম আযম, আলী আহসান মুজাহিদ বা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামের পাশে। অন্যদিকে ডা. এমএ হাসানের বই যুদ্ধাপরাধীর তালিকা ও বিচার প্রসঙ্গতেও (ফেব্রুয়ারি ২০০৯, তাম্রলিপি, পৃষ্ঠা ১৫২) আছে দুই রাজাকার রাজার নাম। তাদের রাজাকার নম্বর ৯৪৮ এবং ৯৫২ : 948. Mr. Raja Tridiv Roy, Father Late Raja Nalinakhya Roy, Village Rajbari Rangamati, Thana Kotwali, Chittagong. 952. Mr. Aung Shwe Prue Chowdhury, Father Thwi Aung Prue, Village Bandarban, Bandarban, Bandarban.
• শুধু রাজা নয়, চাকমা যুবকরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয় এবং সিভিল আর্মড ফোর্স বা সিএএফ অথবা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়। চাকমা যুবকদের রাজাকার বাহিনীতে প্রশিক্ষণ নেয়া প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক তার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতি মূল্যায়ন’ বইয়ের ৭৭ পৃষ্ঠায় লেখেন- “উপজাতীয় যুবকদের কিছুসংখ্যক মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলেও অধিকাংশই পকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠিত সিভিল আর্মড ফোর্স বা সিএএফ (রাজাকার বাহিনী হিসেবে পরিচিত)-এ যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতায় অংশ নেয়। তৎকালীন রাজাকার বাহিনীতে চাকমাদের সংখ্যাই বেশি ছিল। অনেকেই বেতন এবং অস্ত্রের লোভে সিএএফে যোগ দেয়। রাজা ত্রিদিব রায় তার সার্কেলে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে জনগণকে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য প্রচারণা চালাতে থাকে। চাকমা যুককেরা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, পানছড়ি প্রভৃতি এলাকায় স্থাপিত পাকিস্তানি ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। উপজাতিদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষক হিসেবে ছিল রাজশাহী বিভাগ থেকে পালিয়ে আসা ইপিআরের হাবিলদার মিস্টার নলিনী রঞ্জন চাকমা এবং হাবিলদার মিস্টার অমৃতলাল চাকমা। এরা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দোভাষীর কাজও করতো। উপজাতি যুবকেরা টেনিং ক্যাম্প ৩০৩ রাইফেল, কারবাইন, স্টেনগান, এলএমজি চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতো।
আফসান চৌধুরী লিখেছেন- (বাংলাদেশ ১৯৭১ : প্রথম খ-, ফব্রে. ২০০৭, মাওলা ব্রাদার্স, পৃষ্ঠা ৪৩২) : উপজাতি অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামে মিজো এবং চাকমা উপজাতি পাক সৈন্যদের সাহায্য করে।
• বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, উপজাতিচাকমা রাজাকারদের নিয়ে সবচেয়ে মজার দুটি উদাহরণ পাওয়া যায়। তপন কুমার দে সম্পাদিত বই উপজাতি মুক্তিযোদ্ধা (ফেব্রু-২০১০, পৃষ্ঠা ৫৩) এবং তার দুবছর আগে প্রকাশিত আইয়ুব হোসেন ও চারু হকরে বই মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীতে (ফেব্রুয়ারি ২০০৮ পৃষ্ঠা ৮৩) লেখক- সম্পাদক তনিজন একটি শব্দও পরিবর্তন না করে লেখেন- মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়ে পরবর্তীকালে এদের (চাকমাদের) মধ্যে কেউ কেউ হতাশাগ্রস্ত হয়ে ও পাকসেনার ইন্ধনে সিভিল আর্মড ফোর্স অথবা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়।