নেপালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে রাজাকার সন্তান দেবাশীষ

নেপালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে রাজাকার সন্তান দেবাশীষ

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও থেমে নেই বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। বিশেষায়িত অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে স্বাধীনতাবিরোধীদের অপতৎপরতা চলছেই। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি নেপালে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত বিশেষ ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র।

পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিচুক্তি পূর্ববর্তী সময় থেকেই পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদি গোষ্ঠী, যার মূলে রয়েছে রাজা দেবাশীষ রায়। শান্তি চুক্তি পরবর্তী সময়ে নতুন কৌশলে ‘আদিবাসী’ নামক অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে এ তৎপরতা জোরদার করছে রাজা দেবাশীষ এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী।


জানা গেছে, নেপালে আয়োজিত এই ওয়ার্কশপটি ভারতে করার চেষ্টা হলেও তা ভেস্তে যায়। শেষ পর্যন্ত নেপালে বাংলাদেশবিরোধী এই ওয়ার্কশপটি হতে যাচ্ছে। এই ওয়ার্কশপের নেপথ্য নায়ক রাজা দেবাশীষ এবং তার স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্র। বিষয়টি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে।

ওয়ার্কশপে তারা আদিবাসী ইস্যু ও মানবাধিকার নিয়ে কর্মরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানায়। তাদের মধ্যে অন্যতম হল মাইকেল ভ্যান ওয়াট, লোরা জি এলিক্স, টম এসকিল্ডসেন, ইডা নিকোসাইলেন ও লোলা জেমি।

ওই ওয়ার্কশপে আমন্ত্রিত বাংলাদেশি কথিত বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের কিছু সদস্য রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিওকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ সকল সংগঠন সব সময় এদেশের সরকারবিরোধী প্রতারণায় জড়িত এবং তুচ্ছ ঘটনাকে বিশাল আকারে বহিঃবিশ্বে প্রকাশ করে আসছে। এর বিনিময়ে তারা মোটা অঙ্কের টাকা অনুদান পেয়ে থাকে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে এ তথ্যও বেরিয়ে এসেছে।

চট্টগ্রামের চাকমা জনগোষ্ঠীর বর্তমান কথিত ‘রাজা’ দেবাশীষ এর বাবা ত্রিদিব রায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল একজন স্বঘোষিত রাজাকার। বর্তমানে রাজাকারপুত্র দেবাশীষ প্রতিনিয়ত তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অদ্যবধি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে তার কোনরূপ সহযোগিতামূলক মনোভাব ও ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি; বরং তিনি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ব্যাহত করতেই সর্বদা তৎপর রয়েছে। তার এ ধরনের আচারণের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো চাকমা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তার প্রভাব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা।


নিরীহ উপজাতিদের ভুল বুঝিয়ে দলে ভিড়ানোর চেষ্টায় লিপ্ত দেবাশীষ হয়তো জানে না, জুম্মল্যান্ড একটি আলাদা স্বাধীন দেশ হলে তারা পাবে না বাংলাদেশের কোনো সুযোগ সুবিধা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সড়ক পথ, আকাশ পথ, স্থল/জল বন্দর, উৎপাদিত ফসল, প্রযুক্তি, প্রশাসন সহ আরো অসংখ্য সুবিধা।

১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় চাকমা রাজাকারদের নেতৃত্ব দেয়া এই উপজাতি রাজপরিবারটি নিজেদেরকে চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে দাবি করলেও তার বাবা পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পেয়ে স্থায়ীভাবে আমৃত্যু সেখানে বসবাস করে এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করে। অথচ যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের পুত্র হয়েও এই দেবাশীষ রায় রাঙামাটি সার্কেলের চাকমা রাজার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে, যা পুরো চাকমা সম্প্রদায় এবং পুরো বাঙালি জাতির জন্য অসম্মান, লজ্জার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী।
https://goo.gl/oRsVeu