মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পর বিবাহ অস্বাস্থ্যকর নয় বৈজ্ঞানিকভাবে সমর্থিত।


Image result for বিবাহ  বৈজ্ঞানিক
নাস্তিক ইসলামবিদ্বেষিরা বাল্য বিবাহের বিষেধাগার করতে যেয়ে নানাবিধ অবাস্তবিক, অবৈজ্ঞানিক এবং কল্পনাপ্রসুত তথ্য উপস্থাপন করে। যার কোন ভিত্তি-ই নেই। যে বিষয়গুলো  উপস্থাপন করা হবে ইনশা আল্লাহ ।

মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পর বিবাহ অস্বাস্থ্যকর নয় বৈজ্ঞানিকভাবে সমর্থিত।
গবেষণা মতে, ১৯ এর নিচে মা হতে যদি সিজারিয়ান অপরেশন লাগে ৫%, সেখানে ২৬-এ মা হলে সিজারিয়ান হার বেড়ে দাড়ায় ২৫% -এ। এছাড়া লন্ডন থেকে প্রকাশিত গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, অতি সম্প্রতি বিজ্ঞানিরা আবিষ্কার করেছে, সময় যত কাছে আসছে, ছেলে ও মেয়েরা তত তাড়াতাড়ি বয়ঃপ্রাপ্ত হচ্ছে। কয়েক বছর আগে, জার্মান বিজ্ঞানিরা এক গবেষণায় বলেছে, ১৮৬০ সালে মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হতো ১৬.৬ বছর বয়সে, ১৯২০ সালে তা নেমে আসে ১৪.৬ বছর বয়সে, ১৯৫০ সালে তা হয় ১৩.১ বছর বয়স, ১৯৮০ সালে তা আরো নেমে দাড়ায় ১২.৫ বছর বয়স, এবং ২০১০ সালে তা দাড়িয়েছে ১০.৫ বছর বয়সে এবং সূত্রমতে ২০১৮ সালে এই বয়স ৯ এর ঘরে নেমে এসেছে সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বাল্যবিবাহের ফলে মায়ের স্বাস্থ্যগত ঝুকির প্রচারণাও মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী এনজিও, নারীবাদীদের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা।

জরায়ুর মুখের ক্যান্সার বিষয়ে কথিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের জঘন্য মিথ্যাচার
জরায়ুমুখের ক্যানসার বিষয়ে  কাট্রা ইসলামবিদ্বেষিরা অপপ্রচার করে যে -  
"বিশ্বে নারীদের ক্যানসারের তালিকায় বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে। আর দেশে এ রোগের প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ। অল্প বয়সে বিয়ে হলে বিবাহিত জীবন দীর্ঘ হয়, সন্তান জন্ম দেওয়ার হার বেড়ে যায়। এতে জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় ও খাদ্যাভাসও এর জন্য দায়ী"
এ ধরনের বক্তব্য বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচারীতা। জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেনা যে বাল্য বিয়ে এই রোগের প্রধান কারন। অল্প বয়সে  বিবাহ ব্যাপারে পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষ এখন যেন দায়ভার ইসলামের উপর চাপিয়ে দেবার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আর এই অসুস্থ প্রচারণার শিকার হয়ে আজ এমনকি মুসলিমরাও এর বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছে অথবা নানাভাবে একে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইছে।নাউযুবিল্লাহ।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার বা জরায়ুর ক্যান্সার (ইংরেজি: Cervical cancer) নারীদের একটি রোগ যে কোনো বয়সেই নারীদের জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে। তবে ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের নারীরা এ রোগের শিকার হন বেশি। আবার ৫০ বছর বয়স্ক কিংবা এর থেকে বেশি বয়সের নারীরাও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।২০ বছরের কম বয়সীদের নিচে এ রোগ সাধারণত হয় না। উপযুক্ত চিকিৎসায় শতভাগ আরোগ্য সম্ভব।

গন্ডমুর্খ চিকিৎসকেরা জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের দায় বাল্য বিয়ের উপর ছাপিয়ে দিয়েছে। অথচ চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমন কোন কথা-ই সুনির্দিষ্টভাবে নেই। যার প্রমাণ এখন উপস্থাপন করবো ইনশা আল্লাহ।
১) ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এর তথ্য মতে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের কারন সম্পর্কে যা বলা আছে -
ক) হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি দিয়ে ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। HPV একটি গ্রুপ ভাইরাস। এর প্রায় ১০০ টাইপ আছে আছে। সাধারনত অবৈধ এবং বিকৃত সম্পর্কের কারনে এই ভাইরাস ছড়ায়। বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য HPV 16 ,  HPV 18 টাইপ দায়ী
খ) অতিরিক্ত কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে কিন্তু যা জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার মুল কারন নয় তা হল -
* যেসকল নারী ধুমপান করে
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে যেমন এইডস হলে।
* জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি গ্রহন করলে
২) ন্যাশনাল সারভাইকাল ক্যান্সার কোয়ালিশনের তথ্যমতে -
* হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি দিয়ে ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। HPV একটি গ্রুপ ভাইরাস। এর প্রায় ১০০ টাইপ আছে আছে। সাধারনত অবৈধ এবং বিকৃত সম্পর্কের  কারনে এই ভাইরাস ছড়ায়। বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য HPV 16 ,  HPV 18 দায়ী
৩) ইংল্যান্ডের ক্যান্সার রিসার্চ এর তথ্যমতে-
* HPV ভাইরাসে আক্রান্ত পুরুষের সাথে অবৈধ এবং বিকৃত সম্পর্কের কারনে আক্রান্ত হয়।
* খতনাঃ যেসকল পুরুষ খতনা করে থাকে তাদের থেকে এই ভাইরাস মহিলাদের মাঝে যায়না।মুসলিম মাত্রই খতনা করে থাকেন। 
* যাদের এইডস এবং অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ আছে তাদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি। আর এইডস হয় অবৈধ এবং বিকৃত সম্পর্কের কারণে।
* যে সকল মহিলা ধুমপান করে 
* প্রতি ১০ টা কেসের একটার কারন হল জন্মনিয়ন্ত্রন গ্রহন করা .
* পরিবারের অন্য কারো পুর্ব থেকে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত থাকলে হতে পারে।
* দারিদ্রতা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠার কারণেও এই রোগ হতে পারে।
৪)  আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটিঃ
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের বিষয়ে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টরের কথা বলেছে।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি যেসকল রিস্ক ফ্যাক্টর উল্লেখ করেছে তা হল-
১) হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি দিয়ে ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়।
২) অতিরিক্ত কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে কিন্তু যা জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার মুল কারন নয় তা হল-
ক) যে সকল মহিলা ধুমপান করে 
খ) দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন AIDS আক্রান্ত মহিলা
গ) যারা অটোইমুইনি রোগের জন্য ইমুনিসাপ্রেসেন্ট ড্রাগ ব্যবহার করছে
ঘ) Chlamydia infection - এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা বিকৃত সম্পর্কের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত মহিলার জরায়ুর মুখের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি।
ঙ) ফলফলাদি এবং শাকসব্জি কম খেলে রোগ প্রতিরোধ ঠিকমত হয়না যার কারণে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
চ) অতিরিক্ত ওজন হলে
ছ) জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি ব্যবহার করলে 
জ) একাধিক পুরুষের সাথে বিকৃত সম্পর্ক 
ঞ )  দারিদ্রতা
ট) পরিবারের অন্য কারো পুর্ব থেকে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত থাকলে হতে পারে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের জন্য মুল দায়ী হল একটি ভাইরাস যার নাম HPVহিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি দিয়ে ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়।   যা অবৈধ এবং বিকৃত আচরণের কারণে ছড়ায় বেশি। কোনক্রমেই অল্প বয়সে বিয়ের কারন নয়।এখানে রিস্ক ফ্যাক্টরের কোনটিতেই বলা হয়নি যে অল্প বয়সে বিয়ে হলে এই রোগ হয়।

যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানই বলছে ৯৯ ভাগ মুল কারন হল HPV, সেখানে তারা কি করে বলতে পারে বাল্য বিয়ে মুল কারন? তারা বলেনি এই রোগ ছড়ায় বিকৃত আচরণের মাধ্যমে, অল্প বয়সে বিয়ের কারণে নয়। বরং অল্প বয়সে বিয়ে করলে পুরুষের একাধিক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক কিংবা নারীর একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক হবেনা এবং এ রোগ থেকে রক্ষা পাবে। পাশ্চাত্য সমাজে অবৈধ, অনৈতিক, বিকৃত আচরণের কারণে তাদের দেশ এই রোগের প্রকোপ বেশি কিন্তু মুসলিম দেশে নয়।
আজকে যারা বাল্য বিবাহকে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের মুল কারন বলে তারা মুসলিম সমাজে অশ্লীলতা ,বেহায়াপনা,নোংরামী , অনৈতিকতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অল্প বয়সে বিবাহ কিছুতেই জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের কারন নয় ,বরং এ ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে অল্প বয়সে বিয়েই এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে খাছ সুন্নত অল্প বয়সে বিবাহের বিরুদ্ধাচরন করা অপপ্রচার
মুসলিম সমাজে অশ্লীলতা ,বেহায়াপনা,নোংরামী , অনৈতিকতা ছড়িয়ে দেওয়াই যার মুল লক্ষ্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অল্প বয়সে বিবাহ ক্ষতিকর নয় ,বরং উপকারী।
অল্প বয়সে  বিবাহ ব্যাপারে পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষ এখন যেন দায়ভার ইসলামের উপর চাপিয়ে দেবার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আর এই অসুস্থ প্রচারণার শিকার হয়ে আজ এমনকি মুসলিমরাও এর বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছে অথবা নানাভাবে একে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইছে।নাউযুবিল্লাহ। আধুনিক বিজ্ঞান এবং মেডিক্যাল সাইন্স এবং আজকে থেকে হাজার বছর পরের বিজ্ঞান ও মেডিক্যাল সাইন্স একমাত্র মহান  আল্লাহ পাক তিনিই জানেন। সুতরাং মহান  আল্লাহ পাক যেটা হালাল করেছেন, সেটা উনার অসীম ইলমে গইব থেকেই হালাল করেছেন এবং মহান আল্লাহ পাক যেটা হারাম করেছেন সেটা উনার অসীম ইলমে গইব থেকেই হারাম করেছেন। এবার মেডিক্যাল সাইন্সের প্রেক্ষাপটে অল্প বয়সে বিবাহের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডার কিছু অজানা দিক তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।
সম্মানিত ইসলামে চিকিৎসা নেয়ার ব্যাপারে কোন বাধা-নিষেধ নেই চিকিৎসা গ্রহন করা ফরজ-সুন্নত উনাদের অন্তর্ভুক্ত। তবে বর্তমান যুগে মেডিক্যাল সাইন্স এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, মানুষ অনেক ক্ষেত্রে একে মহান আল্লাহ পাক উনার স্থলে ইলাহ হিসাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে! নাউযুবিল্লাহ। আর মানুষের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে স্বার্থবাদী গোষ্ঠী মেডিক্যাল সাইন্সকে ব্যবহার করে গোপন সব ফায়দা লুটে নিচ্ছে যা চিরকালই সাধারণ মানুষের ধারণার অতীত হয়ে থাকবে।

অল্প বয়সে বিয়ের ক্ষেত্রে তারা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে দেশি বিদেশি দালাল আর মিডিয়ার মাধ্যমে এ বিরোধীতা করার একমাত্র কারন সম্মানিত ইসলামকে অবমাননা করা, সুন্নতকে ইহানত করা।  সাধারনত মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্কতা প্রকাশ পায় ৮ বছর বয়সে আর ছেলেদের ৯.৫ বছর বয়সে ইহা মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৩ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৩.৫ ও হতে পারে। তাহলে দেখা যাচ্ছে এই বয়সেই একটি ছেলে বা মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহনে ভুমিকা রাখতে পারে
 এবার আসা যাক বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে বলা সকল মেডিক্যাল সমস্যাগুলোর ব্যাপারে।
১. অল্প বয়সে গর্ভধারণ বিষয়ক প্রধান যে সমস্যাগুলো সম্পর্কে বলা হয় তা হলো- রক্ত স্বল্পতা, অধিক সময় ধরে ডেলিভারী, ইঊটেরাস বা গর্ভাশয় ফেটে যাওয়া, গর্ভে বাচ্চার ডিস্ট্রেস ইত্যাদি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই সকল গর্ভজনিত কমপ্লিকেশন বা সমস্যা যে শুধু অল্পবয়সী মায়ের ক্ষেত্রেই হবে তা নয়, বরং এগুলো যে কোন বয়সের মায়েদেরই হতে পারে এবং এমন কোন কমপ্লিকেশন নেই যা কেবল অল্পবয়সী মায়েদেরই হয়।যারা এসকল দোহাই দিয়ে অল্প বয়সে বিবাহের বিরুদ্ধ বলা , চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে তাদের অজ্ঞতাই প্রমান পায়। 
২. মেডিক্যাল সাইন্সের অবসট্রেটিকস বা ধাত্রীবিদ্যায় প্রায় সবকটি রোগের প্রথম ভুক্তভোগীর নাম হলো 'এলডারলি প্রাইমি' বা 'বেশী বয়সে প্রথম গর্ভধারণ' এমনকি আমাদের দেশে (যে দেশ সম্বন্ধে অমুসলিমরা বলে থাকে যে বাল্য বিবাহের হার অনেক বেশী) হাসপাতালগুলোতেও গর্ভজনিত রোগের প্রধান ভুক্তভোগীরা হলো এলডারলি প্রাইমি বা বেশী বয়সে প্রথম বাচ্চা নেয়া মা। তবে, কম বা বেশী বয়সী মা যাই হোকনা কেন, সকল রোগই এখন চিকিৎসা যোগ্য। বয়স কম হোক কিংবা বেশি সঠিক পুষ্টিমান আর যত্ন নিরাপদ প্রসবের অন্যতম শর্ত এখন কেউ যদি এ শর্ত মেনে না চলার কারনে কোন সমস্যা হয় তাহলে তার দায় একান্ত তার, অল্প বয়সে বিয়ের উপর নয়।
৩. আরেকটি ব্যাপার হলো এই যে, মেডিক্যাল সাইন্সেই অল্পবয়সে গর্ভধারণ নারীর অনেক জটিল রোগের কার্যকর প্রতিরোধোক বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন- জরায়ুর টিউমার ও ক্যান্সার, ব্রেস্ট টিউমার, হরমোনাল অনেক সমস্যা, ঋতুজনিত সমস্যা ইত্যাদি।
৪. অল্প বয়সে বিয়ে হলে মানষিক সমস্যার কথা বলে অল্প বয়সে বিবাহের অপপ্রচারকারীরা। অথচ গবেষনায় এসেছে অল্প বয়সে বিয়ের মানষিক দিকগত সুবিধা অনেক যেমন- 
ক. সার্থক দম্পত্তি হনঃ   একে অন্যকে জানার সুযোগ পায়, পরষ্পরের প্রতি মুহব্বত বৃদ্ধি পায় , সহনশীল হন
খ. পারষ্পরিক সহযোগীতা করার মনোভাব বৃদ্ধি পায়ঃ এরা সক্রিয় এবং একে অন্যকে সহযোগিতা করার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
গ.একসাথে অনেক বছর জীবন কাটানোর সুযোগ পায়।
ঘ.মানষিক সক্ষমতা বৃদ্ধি-  আহাল রুজির জন্য বাহিরে যান এবং আহলিয়া সংসার ও বাচ্ছাদের দেখভাল করেন।  ফলে এ দম্পত্তি তাদের সন্তানদের যথেষ্ট সময় দিতে পারেন এবং সন্তানদের পিছনে সময় দেয়ার যে শক্তি প্রয়োজন তা পুরন করতে পারেন।
ঙ. সন্তান জন্মদানে বেশি সক্ষম থাকে
৫. কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে  ফিস্টুলা হওয়ার দোহাই দেয় অল্প বয়সে বিবাহের অপপ্রচারকারীরা। অথচ কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে ফিস্টুলা হওয়ার  কারণ নয়। ফিস্টুলা হল দুই বা তার অধিক আবরণী স্তরের মধ্যে অস্বাভাবিক যোগাযোগ।প্রধান কারণ হল-বাচ্চা প্রসবের সময় যদি বাধা পায় যাকে obstructed (বাধাগ্রস্থ) labour বলে।  ফিস্টুলা হওয়ার সাথে বয়সের কোন সম্পর্ক নেই। মেয়েদের বিভিন্ন আকার আকৃতির পেলভিস দেখা যায়। কিছু পেলভিস আছে যেখানে Obstructed labour হয়। বাংলাদেশে ফিস্টুলা কেন বেশি হয়?
১. বাচ্চা পেটে থাকার সময় যত্ন না নেয়া ২. জন্মের সময় যত্ন না নেয়া ৩. জন্মের পর থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত যত্ন না নেয়া ৪. চিকিৎসকদের  অদক্ষতা ৫. অপারেশনের সময় যত্ন না নেওয়া (Ref-prof.Nurjahan/5th/106) এখানেও বয়সের সাথে বিন্দুমাত্র কোন সম্পর্ক নেই। যারা ফিস্টুলা ক্ষেত্রে কম বয়সে বাচ্চা নেয়া কে দায়ী করে তাদের কথার কোন ভিত্তি নেই।
অর্থাৎ অল্প বয়সে বিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ক্ষতিকর তো নয়-ই , বরং অনেক উপকারী। 
দুঃখজনক হলেও সত্যি, আজ যারা অল্প বয়সে বিয়ের ধোঁয়া তুলে সম্মানিত ইসলাম উনার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডায় নেমেছে, তারাই সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে শিশু পর্নোগ্রাফির মতো সাঙ্ঘাতিক অনৈতিকতা। এদের মুখের মিষ্টি কথা দিয়ে এরা নিজেদের শিশুদের মহান রক্ষক হিসাবে তুলে ধরে, অথচ এরাই আজ বাঝে জায়গায় গিয়ে গিয়ে শিশু নির্যাতন করে।নিজ ঘরে গিয়ে এরা দেখে তার ছোট্ট শিশু সন্তানটি বল্গাহীন জীবন-যাপন করছে বাল্য বিবাহ বিরোধী সমাজে আজ আর পারিবারিক বন্ধন বলে কিছু নেই। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে আর বিশ্বাস নেই, সন্তানেরা বাবা-মাকে মানেনা আর বাবা-মাও সমাজ ও তাদের নিজেদের তৈরী করা আইনের ফাঁদে পড়ে সন্তানদের কিছু বলতে ভয় পায়। যে চিত্রটি পাশ্চাত্য সমাজে মহামারী আকারে দেখা যায়। বাল্য বিবাহ বিরোধীরা তা-ই চায় যাতে মুসলিম সমাজ ও পাশ্চাত্যের মত অনৈতিকতায় ডুবে যাক। মুসলিম বিশ্বকে কাফিরদের বাল্য বিবাহ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে এদের বিষদাত সমুলে উপড়ে ফেলতে হবে