অল্প বয়সে বিয়ে
যাদের ,অনেক সুবিধা রয়েছে তাদের
অল্প বয়সে বিয়ে
হলে মানষিক ও শারীরিক সমস্যার কথা বলে অল্প বয়সে বিবাহের অপপ্রচারকারীরা।সরকার ও উদ্যোগ
নিচ্ছে খাছ সুন্নত বাল্যবিবাহবিরোধী আইন করতে!
অথচ গবেষনায়
এসেছে অল্প বয়সে বিয়ের মানষিক দিকগত সুবিধা অনেক । যেমন-
১) স্বামী স্ত্রী
একেক অপরের জীবন এবং ব্যক্তিত্ব গড়তে সাহায্য করেন, ফলে তাদের মাঝে ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ কম হয়।
২) এই বয়সে বিয়ে
করলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সহজেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং এই বন্ধুত্ব বজায় থাকে সারাজীবন।
৩) হাতে হাত
রেখে জীবনের অনেক বড় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়ে দুজনকে। ফলে একটা বোঝাপড়া গড়ে ওঠে তাদের
মাঝে।
৪) এই বয়সে পড়াশোনা
বা ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন, ভাবেন পাশে প্রেরণা দেবার
একজন মানুষ থাকলে ভালো হলো। বিয়ে করে থাকলে এই মানুষটি সর্বক্ষণই আপনার পাশে থাকবেন।
৫) কম বয়সে সবাই
ই থাকেন বেশ টানাটানির মধ্যে। বিলাসিতা ছাড়া এভাবে জীবন শুরু করে একটা সময়ে সচ্ছলতার
মুখ দেখেন দুজনেই। এর ফলে একজনের প্রতি আরেকজনের আস্থা তৈরি হয়।
৬) আপনার যদি
সন্তানের ইচ্ছে থাকে, তবে অল্প বয়সে সন্তান নেওয়া
সুবিধা। কারণ এ সময়ে শরীর সন্তান ধারণের জন্য উপযুক্ত থাকে।
৭) কম বয়স থেকেই
নিজের জীবন দুজনের জন্য মানিয়ে নিয়ে তৈরি করলে কখনোই সমস্যা হয় না দুজনের মাঝে।
৮) কম বয়সে বিয়ে
করলে জীবনের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সামলে একই সাথে কিছু সাফল্যের স্বাদ নেওয়া যায়। পরে
বিয়ে করলে আর এই সুখটা পাওয়া যায় না।
৯) স্বার্থপর
কোনো অভ্যাস গড়ে ওঠে না দুজনের কারও মাঝেই।
১০) দুজনে একসাথে
ভবিষ্যত পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়।
১১) একে অন্যকে
জানার সুযোগ পায়, পরষ্পরের প্রতি মুহব্বত বৃদ্ধি
পায় , সহনশীল হন। পারষ্পরিক সহযোগীতা করার মনোভাব বৃদ্ধি পায়ঃ এরা
সক্রিয় এবং একে অন্যকে সহযোগিতা করার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
১২) একসাথে অনেক
বছর জীবন কাটানোর সুযোগ পায়। সন্তান জন্মদানে বেশি সক্ষম থাকে ।
যারা বাল্যবিবাহের
বিরোধীতা করে তারা মুলত সুন্নতের বিরোধীতা করে ।
বাল্য বিবাহ
বিরোধীরা চায় যাতে মুসলিম সমাজ পাশ্চাত্যের মত অনৈতিকতায় ডুবে যাক। মুসলিম বিশ্বকে
কাফিরদের বাল্য বিবাহ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে এদের
বিষদাত সমুলে উপড়ে ফেলতে হবে।
বেগম রোকেয়া-সুফিয়ার
আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে নারীবাদীরা কি ১৮ বছরের নীচে বিয়ে করবে ?
নারীবাদী এবং
তাদের সমগোত্রীয়রা বাংলায় মুসলমান মেয়েদের পর্দা প্রথা ও বাল্য বিবাহর বিরুদ্ধে বলে।
পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না! বাল্যবিবাহতে নারী অধিকার হরণ ইত্যাদি বুলি আওড়ায়।তারা
তাদের আদর্শ হিসেবে গ্রহন করে রোকেয়া আর সুফিয়া কামালকে। নারীবাদী এবং মিডিয়া এই দুই
পথভ্রষ্ট মহিলাকে নারীদের আদর্শ হিসেবে গ্রহন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কথিত নারিবাদিরা
এই দুজনের আদর্শে উজ্জেবিত হয়ে বাল্য বিয়ের কথা বলে। অথচ রোকেয়া আর সুফিয়া কামালের
বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের নিচে বাল্য বয়সেই!
১)রোকেয়াঃ সে
জন্মগ্রহণ করে ১৮৮০ সালে রংপুর জেলার পায়রাবন্দর গ্রামে। ১৮৯৬ সালে ১৬ বছর বয়সে রোকেয়ার
বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর
তিনি 'বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন' নামে পরিচিত হয়।
তার স্বামী ভাগলপুরের
ডেপুটি মেজিস্ট্রেট খান বাহাদুর সাখাওয়াত হোসেন তার চেয়ে বয়সে অনেক বড় ছিল (৩৮ বছর), এবং আগে বিবাহিত ছিল।স্বামির অবদানেই আজকের রোকেয়াকে সবাই চিনে
দেখা যাচ্ছে
রোকেয়া ১৮ বছরের কম ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করে তার থেকে দ্বিগুনও বেশি বয়সী এক পুরুষের সাথে।
যে সকল নারীবাদীরা বলে অধিক বয়সী পুরুষের সাথে বিয়ে দিলে শারিরিক মানষিক ক্ষতি হবে, মনের মিল হবেনা, মেয়ের জীবন থমকে যাবে তারা
এখন কি জবাব দিবে ?
২) বেগম সুফিয়া
কামালঃ
জন্ম: ২০শে জুন, ১৯১১ - মৃত্যু: ২০শে নভেম্বর, ১৯৯৯ অর্থাৎ ৮৮ বছর বেছে ছিল। ১৯২৪ সনে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মামাত ভাই সৈয়দ নেহাল
হোসেনের সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়।
অবাক কান্ড
! মাত্র ১৩ বছর বয়সে ! যে কি না আবার নারীবাদীদের আদর্শ! তো সে আদর্শবান নারি মাত্র
১৩ বছর বয়সে বিয়ে করে ৮৮ বছর বেছ ছিলো কি করে ? যেসকল কথিত নারীবাদীরা বলে
১৮ বছরের নীচে বিয়ে হলে নানা সমস্যা হয়, বেশিদিন বাচেনা তারা এখন কি
জবাব দিবে ?
তারা কি রোকেয়া
সুফিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ১৮ বছরের নীচে বিয়ে করবে ? না কি বাল্য বিয়ের কারনে রোকেয়া-সুফিয়াকে বর্জন করবে ?
তারা কোনটাই
করবেনা কারন নারীবাদীরা বাংলাদেশের পরিবার প্রথাকে ভেঙ্গে দিয়ে বিয়ে বহির্ভূত যৌনাচারে
উৎসাহিত করে যাচ্ছে ।
মুলত বাংলাদেশী
নারীদের কল্যাণে তথাকথিত নারীবাদীদের কোনোই ভূমিকা নেই। তথাকথিত নারীবাদীরা কেবলই স্বার্থবাদী ও সুবিধাভোগী
এবং মিডিয়া শিকারী।
৯৫ ভাগ মুসলমান
অধ্যুষিত এদেশে খেয়ে-পরে ইসলামবিদ্বেষী তথাকথিত নারীবাদ ও নারীবাদীদের কোনো স্থান নেই।
বেশি বয়সে বিয়ে
করার সমস্যাসমুহ
১. তাড়াতাড়ি
মেনোপেজ শুরু হয় ( মাজুরতা বন্ধ হয়ে যাওয়া ) । ফলে স্বামীর চাহিদা থাকলে স্ত্রীর আগ্রহ
নষ্ট হয়ে যায়।
২.বাচ্ছা নিতে
ভয় পাওয়া
৩. ৩৫ বছরের পর বেশিরভাগ নারীর শরীরে অক্সিটকিন হরমোনের
ক্ষরণ কমে যায়।অক্সিটোকিন হরমোনের একাধিক কাজ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল প্রসবের
প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়া। এই হরমোনের ক্ষরণ যত বেশি হবে, তত বাচ্চার ডেলিভারি সহজে হবে।আর ৩৫ বছরের পর নারীদের এই হরমোনের
ক্ষরণ কমে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রসবকালীন নানা অসুবিধা দেখা দিতে শুরু করে।৩৫
বছরের পরে নারীদের শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোন ক্ষরণের হারও কমে যায়।
৪. মানসিক বিষণ্ণতায়
ভুগে
৫. ৩৫-৪০ বছরের
বয়সের মহিলাদের সন্তান না হবার হার ৪০% এর অধিক
৬. মতের মিল
হয়না
৭. বিবাহ বিচ্ছেদের
হার বাড়ে
৮. জীবনের প্রতি
অনীহা বাড়ে
৯. প্রেগন্যান্সী
জটিলতাঃ
বেশি বয়সে সন্তানধারন
নানা জটিলতার জন্ম দিতে পারে
১) ৩০ এর পর নারীদের সন্তান ধারন ক্ষমতা কমে যায়।এই
সময়ে infertility (সন্তান ধারনে অক্ষম ) বেড়ে যায়। মাত্র
১৫% মহিলার অধিক বয়সে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২) বাচ্ছা জন্মের সময় জটিলতাঃ
Miscarriage (২০ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্ছা নষ্ট হয়ে যাওয়) এর সম্ভাবনা বেড়ে যায় American
society for Reproductive Medicine এর মতে
"About 20 per cent pregnancies in the
age group 35-39 end in miscarriage. This is 10 per cent higher than the chance
of women in their twenties."
নরমাল ডেলিভারী
হবার সম্ভাবনা কমে যায় এবং সিজার করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারন এ সময়ে oxytocin হরমোন কমে যায় এবং এ বয়সে
বাচ্ছা নিলে বাচ্ছার নানাবিধ জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) বাচ্ছার জন্ম
ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা বেশি
জীনগত সমস্যা
হয় বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, নারী যত বেশি বয়সে মা হবেন, তার সন্তানেরও ডাউন সিনড্রোম
নিয়ে জন্মের আশঙ্কা তত বেশি। এসব কারণে দেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ডাউন সিনড্রোম শিশুর
জন্ম হয়। ২৫ বছর বয়সী প্রতি ১২০০ জন গর্ভবতী মায়ের মধ্যে একজন, ৩০ বছর বয়সী প্রতি ৯০০ জনের মধ্যে একজন, আর ৪০ বছর বয়সী প্রতি ১০০ জন মায়ের মধ্যে একজনের ডাউন সিনড্রোম
শিশু হতে পারে।
৪ ) বিবিধ রোগ
হবার সম্ভাবনা বাড়েঃ
endometriosis, blocked fallopian tubes and
fibroids হবার সম্ভাবনা থাকে এবং মা হতে বাধাগ্রস্ত করে।উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনী ও হার্টের রোগ হয়ে থাকে
এবং বাচ্ছাকে হুমকীর মুখে ফেলে দেয়।
৫) অধিক বয়সে বিবাহিত নারীর গর্ভজাত সন্তানের মধ্যে
শারীরিক অক্ষমতা, দৃষ্টি শক্তি, বাক শক্তি, শারীরিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন
প্রকার এবনরমালিটি বা অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়।
১০. বয়স বাড়ার
সাথে সাথে নারীদের ডিম্বাণুর Quality খারাপ হতে থাকে।
একটি মেয়ে জন্মের
সময়ই কিছুসংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে জন্মায়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষ
হতে থাকে। ৩০ বছরের পর থেকেই ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং গুণগত মান কমতে থাকে। এতে এ সময়
গর্ভধারণ করার চেষ্টার পরও দিনের পর দিন ব্যর্থ হতে পারে।একজন পূর্ণাঙ্গ রমণীর ডিম্বাশয়
থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু নির্গত হয়। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রজনন বয়স ধরা
হলেও ৩৫ বছরের পর থেকে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে।বয়স্ক মহিলাদের ওভুলেশনের (ডিম্বস্ফোটন)
সমস্যা হয়।কারণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে কার্যকরী ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যায়।
বয়স বাড়ার সাথে
সাথে পরিপক্ক ডিম্বানুর সংখ্যা কমে যায়।ফলে শুক্রানুর সাতে নিষিক্ত হওয়ার জন্য যে পরিপক্ক
ডিম্বানুর প্রয়োজন তা অনেকাংশে পাওয়া সম্ভব হয় না।
১১) বয়স্ক মহিলাদের
মহিলাদের সার্ভিক্যাল মিউকাসে সমস্যা দেখা দেয়।বয়স বাড়লে জরায়ু মুখে যে সারভাইকেল
ফ্লুইড থাকে তার এসিডের মাত্রা বা পি.এইচ লেভেল কমতে থাকে।
১৪) বয়সের কারনে
অনেক মহিলারই ওজন বৃদ্ধি পায়। শারীরিক স্থুলতাও গর্ভধারনে বাধা সৃষ্টি করে।
২৮ এর বেশি হলেই
ঝুঁকিতে গর্ভধারণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি বয়সে গর্ভধারণেই বাড়ছে এই ঝুঁকি। ২৮ বছর বয়সের পর থেকেই
মেয়েদের প্রথমবার মা হওয়ার ক্ষেত্রে এ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। শুধু গর্ভপাতের ঝুঁকি নয়, সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে এবং সন্তানের স্বাভাবিকতার ক্ষেত্রেও
ঝুঁকিতে পড়ছেন মায়েরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম কাজল বলেন, নগরায়নের প্রভাবে এই সমস্যা বাড়ছে। অনেক মা’কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করলে তারা সেটি সহজে মেনে নিতে
পারছেন না।
তিনি বলেন, ২৮ বছরের বেশি বয়স হলেই মেয়েদের প্রথম সন্তান গর্ভধারণের ক্ষেত্রে
ঝুঁকি হয়। ৩০ বছরের বেশি হয়ে গেলে এ ঝুঁকি আরো বাড়ে। ৩৫ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলে প্রথম
সন্তান জন্মদান অনেক বেশি ঝুঁকিতে পড়ে। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়
এবং ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পায়। যেটি গর্ভধারণের জন্যে খুবই বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়।
শুধু সন্তান
জন্মদানের ক্ষেত্রেই নয়, সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তান
জন্মদানের প্রশ্নটিও ওঠে অতি বয়সে মা হতে গেলে।
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার বলেন, অটিজমের নির্দিষ্ট কোনো কারণ
এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। তবে অনুমাণ করা যায়, জিনগত কারনেই সন্তানের অটিজম
সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও যে কারণগুলো অনুমাণ করা যায়, তার মধ্যে একটি হচ্ছে, মেয়েদের বেশি বয়সে মা হওয়া।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত এক দশক ধরেই বাড়ছে সময়ের আগেই গর্ভপাত হওয়া এবং নষ্ট হয়ে
যাওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি ৪টি গর্ভের মধ্যে
একটি গর্ভপাত হচ্ছে। স্বাস্থ্য সর্ম্পকিত বৈশ্বিক পত্রিকা ল্যনসেটের এক প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর ৫ কোটি ৬০ লাখ গর্ভপাত
হয়। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা ভয়াবহ।
যারা বাল্যবিয়ের
বিরুদ্ধে বলে তারা মান্ধাতার আমলের, পশ্চাৎপদ মানষিকতার
বয়ঃসন্ধিকাল
আগে সাধারণত ১৪ বছর বয়সের দিকে মানুষের শরীরে এই পরিবর্তন ঘটতো।কিন্তু বিগত শতকে মানুষের
স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, তার ফলে বয়ঃসন্ধি শুরুর সময়
নেমে আসে দশ বছরের কাছাকাছি।
১৯৮০ সালের শেষের
দিকে আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে মার্সিয়া হারম্যান
গিডেন্স একটি পেডিয়াট্রিক ক্লিনিকে ১৭ হাজার মেয়ের ডাটা কালেক্ট করে প্রকাশ করে যে
এশিয়ান, হিস্পানিক আর হোয়াইট মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়েছে ৯.৯ বছর
বয়সে এবং আফ্রিকান-আমেরিকান মেয়েদের ৮.৮ বছর।
জার্মান গবেষকেরা
তথ্য উপাত্তি দিয়ে বলে যে ১৮৬০ সালে বয়ঃসন্ধিকাল গড় বয়স ছিলো ১৬.৬ বছর।
১৯২০ সালে ১৪.৬
বছর , ১৯৫০ সালে ১৩.১ বছর
, ১৯৮০ সালে ১২.৫ বছর , ২০১০ সালে ১০.৫ বছর
ছেলেদের ক্ষেত্রেও
তারা একই তথ্য প্রকাশ করে।
দেখা যাচ্ছে
সময়ের সাথে মেয়ে এবং ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকাল বয়স কমে আসছে। অর্থাৎ একটা ছেলে কিংবা মেয়ের
৮-১০ বছরের মধ্যেই শারীরিক এবং মানষিক চাহিদা তৈরী হয়। অথচ সে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে
আজকে কিছু অজ্ঞ, মুর্খ লোক অস্বীকার করে প্রাপ্ত বয়সে বিয়ের
বিয়ের বিরুদ্ধে বলছে।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সরকার প্রণীত ‘চাইল্ড ম্যারেজ রেসট্রেইন্ট অ্যাক্ট-১৯২৯' ছিল, যাতে বলা হয়েছিল কোনো নারী
১৮ বছরের আগে এবং কোনো পুরুষ ২১ বছরের আগে যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে৷যে আইন অনুসরন করে বাংলাদেশ সরকার
‘বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন’ করেছে। আর তাতে সমর্থন যুগিয়েছে ইসলামবিদ্বেষী এবং তথাকথিত প্রগতশীলেরা।
সরকার এবং কথিত
সুশীলেরা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনকে বাধাগ্রস্থ করছে। অথচ পতিতালয়ের ৬২% মেয়ে হলো
কিশোরী তার বিরুদ্ধে তারা বলছেনা! এখন তারা বলেনা একজন কিশোরী পতিতা দিনে ১০ জন পুরুষের
মনোরঞ্জন করতে যেয়ে তার স্বাস্থ্যহানী, মানষিক অত্যাচার হচ্ছে!
মুলত
এ আইন মান্ধাতার
আমলের আইন।
এই আইন বৃটিশদের
তৈরী আইন।
এই আইন আধুনিকতার
বিরুদ্ধ আইন।
এ আইন বিজ্ঞান
বিরুদ্ধ আইন।
তাই এই মান্ধাতার, অবৈজ্ঞানিক বৃটিশ আইন অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
সুতরাং দেখা
যাচ্ছে, কথিত প্রগতিবাদী, নারীবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী
কিছু মহল পবিত্র সুন্নতী বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করতে গিয়ে অধিক বয়সে বিয়ে করার পক্ষে
যে সভা-সেমনিার, আন্দোলন ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে দেশে প্রতিবন্ধী, অক্ষম, এ্যাবনরমাল শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এই পুঁজিবাদী
সমাজ একটা জাহেল সমাজ। এই সমাজ না বিজ্ঞান মানছে,না ইসলাম মানছে।
মুসলিমরা জীবনের
কোন সিদ্ধান্ত নেবার সময় বিজ্ঞানকে সামনে রেখে সিদ্ধান্ত নেয় না,সিদ্ধান্ত নেয় মহান আল্লাহ পাক এবং নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টি সামনে রেখে।
আর এই জন্যই
অনেক মুসলিম নিজেকে পবিত্র রাখার জন্য দ্রুত বিয়ে করতে চাইছে কিন্তু এই পুঁজিবাদী সমাজ
তাতে বাধা দিচ্ছে।যা বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার আইন করে অল্প বয়সে বিয়ে করার পথ বন্ধ
করেছে।
অতএব, বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ জনশক্তি গড়ে তুলতে
হলে, দেশে প্রতিবন্ধী ও অক্ষম জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে হলে সরকারকে
অবশ্যই ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ বাতিল করে সরকারিভাবে বাল্যবিবাহের গুরুত্ব, উপকারিতা, প্রয়োজনীয়তার প্রচার-প্রসার করতে হবে