‘ক্রিমিনাল মাইন্ডেড’ বলে একটা বিষয় আছে।
ক্রিমিনাল মাইন্ডেড ব্যক্তি চিন্তা চেতনায় একজন ক্রিমিনাল হবে।
এ ধরনের মানুষের সাথে সহ-অবস্থান করাটা আসলেই কঠিন,
এবং এদের ত্যাগ করাই বরং জরুরী।
ক্রিমিনাল মাইন্ডেড ব্যক্তি চিন্তা চেতনায় একজন ক্রিমিনাল হবে।
এ ধরনের মানুষের সাথে সহ-অবস্থান করাটা আসলেই কঠিন,
এবং এদের ত্যাগ করাই বরং জরুরী।
যেমন ধরেন-
প্রিয়া সাহা। সে নিজের বাড়িতে নিজে আগুন দেয়, এরপর সেই আগুন দেয়ার অজুহাত করে মুসলমানদের নামে মামলা দেয়। এরপর সেই মিথ্যা কথা আবার আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্পের কাছে বলে।
প্রিয়া সাহা কোন এক সময় কোন এক মুসলমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ঐ ব্যক্তি প্রিয়া সাহার ঘটনার পর স্ট্যাটাস দেয়, প্রিয়া সাহা নাকি ৬ মাসের ভাড়া আটকে রাখতো। তার কাছে ভাড়া চাইতে গেলে প্রিয়া সাহা তাকে হুমকি দিয়ে বলতো- “আমাকে বেশি ডিস্ট্রাব করলে তোমাকে জঙ্গী বলে পুলিশে ধরিয়ে দিবো।” প্রিয়া সাহা হলো ক্রিমিনাল মাইন্ডেড, এদের সাথে আপনি কিভাবে সহ অবস্থান করবেন ?
প্রিয়া সাহা। সে নিজের বাড়িতে নিজে আগুন দেয়, এরপর সেই আগুন দেয়ার অজুহাত করে মুসলমানদের নামে মামলা দেয়। এরপর সেই মিথ্যা কথা আবার আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্পের কাছে বলে।
প্রিয়া সাহা কোন এক সময় কোন এক মুসলমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ঐ ব্যক্তি প্রিয়া সাহার ঘটনার পর স্ট্যাটাস দেয়, প্রিয়া সাহা নাকি ৬ মাসের ভাড়া আটকে রাখতো। তার কাছে ভাড়া চাইতে গেলে প্রিয়া সাহা তাকে হুমকি দিয়ে বলতো- “আমাকে বেশি ডিস্ট্রাব করলে তোমাকে জঙ্গী বলে পুলিশে ধরিয়ে দিবো।” প্রিয়া সাহা হলো ক্রিমিনাল মাইন্ডেড, এদের সাথে আপনি কিভাবে সহ অবস্থান করবেন ?
আজকে মিডিয়ায় একটা খবর খুব দেখা যাচ্ছে, সাবেক এমপি’র মেয়ে ও এসিল্যান্ডের স্ত্রী অদিতি বড়াল চর্তুথ বারের মত ছুরির আঘাতে আহত। (https://bit.ly/2Zhcyqo)
এখানে অতিদি বড়ালের আরেকটা পরিচয় আছে, সম্ভবত মোসাদ এজেন্ট শিপন কুমার বসুর সাথে অদিতির ফুপাতো-মামাতো ভাইবোন সম্পর্ক। এই মহিলার কিছুদিন পর পর একই ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ সে বাড়িতে একা থাকে, এসময় খুনিরা এসে দরজা ধাক্কায়, সে দরজা খুলে দেয়। এরপর তাকে ছুরি দিয়ে হত্যা করতে চায়, কিন্তু ছুরিটা ঠিকমত আঘাত করতে পারে না। এরকম চারবার ঘটনা ঘটলো। চারবার খুনিরা খুন করতে চেয়েও ব্যর্থ হলো, আশ্চর্য !
আসলে দেখা যাবে, কারো সাথে তাদের ব্যক্তিগত রেশারেশি বা মামলা চলতেছে, শুধুমাত্র সেটাকে দৃঢ় করতে বা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পর পর ৪ বার একই অভিনয় করলো। এটাকেই বলে ক্রিমিনাল মাইন্ডেড। এ ধরনের ক্রিমিনাল মাইন্ডেড লোকের সাথে আপনি সহ অবস্থান করবেন কিভাবে ?
এরপর ব্যরিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে মামলার কথাই ধরুন। ব্যারিস্টার সুমন যেহেতু প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছে, তাই তাকে ফাঁসাতে হবে। এজন্য তার নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে, সেই ফেইক অ্যাকাউন্টের অজুহাত করে তার নামে মামলা দিয়ে দিলো। এ কথাটা মুসলমানদের বেলায় কল্পনা করুন তো। এ ধরনের রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে এমন বানোয়াট আইডি খুলে মুসলমানরা যদি মামলা দিতে যেতো, তবে অনেক মুসলমান এর প্রতিবাদ করতো। বলতো- “এভাবে মিথ্যা দিয়ে কখন সত্যের জয় আসতে পারে না।” অথচ হিন্দুরা অ্যাডভোকেটরা যখন মামলা দিলো, তখন কোন হিন্দুকে দেখেছেন, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ? এটাই হলো ক্রিমিনাল মাইন্ডেড।
আপনাদের মনে থাকার কথা, যখন রোহিঙ্গাদের উপর বার্মীজ বাহিনী গণহত্যা শুরু করলো, তখন কিছু কিছু ফেসবুক পেইজে দেখা গেলো, রোহিঙ্গারা টুপি পড়ে নিজের বাড়িতে নিজেরাই আগুন দিচ্ছে। সেই ছবি দিয়ে প্রচার করা হলো, আসলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর হামলা হয়েছে, এটা মিথ্যা কথা। তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করার জন্য এই মিথ্যা কথা রটিয়েছে। কিন্তু পরে আবিষ্কার হলো, টুপি পড়ে যে রোহিঙ্গারা নিজ বাড়িতে আগুন দিচ্ছিলো, তারা আসলে হিন্দু রোহিঙ্গা। মুসলিম রোহিঙ্গাদের নামে মিথ্যা আরোপ করতেই তারা টুপি পড়ে বাড়িতে আগুন দিয়ে সেই ছবি ফেসবুকে প্রচার করে।
(https://bit.ly/2LFDSeL)
(https://bit.ly/2LFDSeL)
২০১৬ সালের বাগেটহাটে বিভিন্ন লোককে আইএস পরিচয়ে হুমকি দিয়ে ভীতি সৃষ্টি করেছিলো। পরে পুলিশ অভিজান চালিয়ে বের করলো আইএস পরিচয়ে হুমকি দাতা অসিত বরণ দাস নামক এক হিন্দু। (https://bit.ly/2Zhcyqo)। শুধু তাই নয়, গত মে মাসের ঘটনা, ভারত থেকে আস ৪ হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যাদের উদ্দেশ্য ছিলো আইএস নাম দিয়ে হামলা চালাবে। (https://bit.ly/2Yq5Jp9)
এরকম আরো বহু উদাহরণ আছে, যা হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা করছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে, অথচ ঐ হিন্দুটি নাটক, সিনেমা, ইতিহাস এমনকি সভা মিটিং এ প্রকাশ্য মুসলমান ব্যক্তিকে দোষারোপ করছে। কিন্তু কথা বলার সময় এত নরম ভাষায়, এত কাদো কাদো ভাবে, নিরীহ ভাষায় বলছে যে মুসলমানরাই ঐ হিন্দুর পক্ষ নিয়ে নির্দোষ মুসলমানকে গালি দিচ্ছে।
আপনি যদি ভাবেন, হঠাৎ করেই কোন ব্যক্তি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন ক্রিমিনাল মানসিকতা প্রকাশ করবে, তবে ভুল করবেন। এই মানসিকতা একদিনে তৈরী হয়নি, এই মানসিকতা বহুদিন, বহু বছর প্রজন্মের পর প্রজন্ম শত্রুতা মনোভাব পোষণ করার ফলাফল। এবং মুসলমানদের প্রতি সেই শত্রুতা মনোভাবই তাকে শিখিয়েছে কতভাবে মুসলমানের ক্ষতি করা যায়। এবং এই ক্ষতির বিষয়ে তারা প্রায় সবাই একজোট।
দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক মুসলমান গোষ্ঠী কখনই এ বিষয়টি বুঝতে চায় না এবং হিন্দুদের ইনোসেন্ট নিরীহ বলে মনে করে। এই জন্যই এত সংখ্যা হয়েও মুসলমানরা আজ সারা বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত ও নিপীড়িত গোষ্ঠী।
দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক মুসলমান গোষ্ঠী কখনই এ বিষয়টি বুঝতে চায় না এবং হিন্দুদের ইনোসেন্ট নিরীহ বলে মনে করে। এই জন্যই এত সংখ্যা হয়েও মুসলমানরা আজ সারা বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত ও নিপীড়িত গোষ্ঠী।
(ব্যক্তি জীবনে আপনি কোন হিন্দু ব্যক্তি দ্বারা নির্যাতিত হয়ে থাকলে সেটা কমেন্টে লিখতে পারেন)