আজ থেকে ৩-৪ বছর আগে আওয়ামীলীগ যখন এসকে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়, তখন একটা লেখা লিখেছিলাম। বলেছিলাম- হিন্দুদের এখন পলিটিক্যাল ওরিয়েনটেশন চলতেছে। আওয়ামীলীগ এখন যে হিন্দুদের সুযোগ করে দিচ্ছে, তারাই কয়েকদিন পর সেই হিন্দু থাকবে না, আওয়ামীলীগের শত্রু হয়ে যাবে, দুধ কলা দিয়ে পোষা সাপ আওয়ামীলীগকে ছোবল মারবে।
জানিনা, আওয়ামীলীগ তখন কতটুকু বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলো, কিন্তু কয়েকদিন পর সিনহা যখন আওয়ামীলীগের গলায় ছুরি মারার চেষ্টা করে, তখন কিছুটা হলেও আওয়ামীলীগের বুঝতে পারার কথা।
হিন্দুদের এ আচরণের কারণ- হিন্দুরা এক সময় কংগ্রেসীয় হিন্দু (রুশব্লক) করতো, মোদি আসার পর বাংলাদেশের হিন্দুরা রুশব্লক চেঞ্জ করে বিজেপি-রিপাবলিকান ব্লক এ যোগ দিতে থাকে, সম্ভবত আওয়ামীলীগ আগে বিষয়টি ক্যালকুলেশন করে নাই। যার কারণে প্রশাসনসহ সর্বত্র রিপাবলিকান ব্লকের উগ্র হিন্দু দিয়ে ভরপুর হয়ে যায়, যারা প্রত্যেকে স্বভাবগতভাবে আওয়ামীবিদ্বেষী।
হিন্দুদের এ আচরণের কারণ- হিন্দুরা এক সময় কংগ্রেসীয় হিন্দু (রুশব্লক) করতো, মোদি আসার পর বাংলাদেশের হিন্দুরা রুশব্লক চেঞ্জ করে বিজেপি-রিপাবলিকান ব্লক এ যোগ দিতে থাকে, সম্ভবত আওয়ামীলীগ আগে বিষয়টি ক্যালকুলেশন করে নাই। যার কারণে প্রশাসনসহ সর্বত্র রিপাবলিকান ব্লকের উগ্র হিন্দু দিয়ে ভরপুর হয়ে যায়, যারা প্রত্যেকে স্বভাবগতভাবে আওয়ামীবিদ্বেষী।
যেমন আজকে যে মহিলা ট্র্যাম্পের কাছে গিয়ে মিথ্যা বিচার দিয়ে আসলো, সেই প্রিয়া সাহার হ্যাসবেন্ড সরকারী বড় কর্মকর্তা। সরকার তাকে মোটা বেতন দিয়ে রাখে, সুযোগ সুবিধা দেয়, তাই বউ হয়ে প্রিয়া সাহাও সরকারী সুবিধায় ভাগ বসায়। কিন্তু দিন শেষে আওয়ামীলীগের গলায় ছুরি মারে। আজকে যদি ট্র্যাম্পের অফিসে লাইভ ভিডিও না চলতো, তবে অনেকেই হয়ত হিন্দুদের রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার দেখতে পারতো না, অথচ এটা তাদের হরহামেসা স্বভাব। ব্রিটিশরা যখন এ অঞ্চলে ব্যবসা করতে এসেছিলো, তখনও নবাব সিরাজউদদৌল্লাহ থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত হিন্দুরাই গিয়ে ব্রিটিশদের কাছে বলেছিলো- তারা চায় মুসলমানদের শাসনের পতন হোক এবং ব্রিটিশরা যেন এ অঞ্চলের শাসন দখল করে, প্রয়োজনে তারা ব্রিটিশদের সব ধরনের সাহায্য করবে।
যেটা বলছিলাম, পলিটিক্যাল অরিয়েনটেশন হওয়ায় বাংলাদেশের হিন্দুরা আর আগের অবস্থায় ফেরত আসবে না, তারা বিজেপি’র প্রভাবে দিনে দিনে উগ্র ও আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অবস্থার বিরুদ্ধে যাবে, মানে আওয়ামীলীগ চীনে দিকে ঝুকে পড়ায় হিন্দুরা চরমমাত্রায় আওয়ামীবিরোধী হয়ে উঠবে এবং আমার ধারণা ইতিমধ্যে বড় হংশ হয়ে উঠেছে।
এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের উচিত হবে, বেশ কৌশলে কাজ করা। সব হিন্দুকে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে, আমি তা বলছি না, তবে যে সব ব্যক্তি বা সংগঠনের সংস্পর্শে দেশী হিন্দুরা উগ্রপন্থী হয়ে উঠছে, সেই লাইনটা কেটে দিতে হবে। মানে হিন্দুদের উগ্রপন্থী আওয়ামীবিরোধী হওয়ার দিক্ষা দিচ্ছে এমন কিছু সংগঠন ও ব্যক্তিকে তালিকা করে উগ্রবাদী ও রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে ব্ল্যাক লিস্টেড করে নিষিদ্ধ করে দিলেই হয়। এ রকম সংগঠনের তালিকা-
১) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
২) বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট
৩) হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি
৪) বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ
৫) আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)
৬) শারদাঞ্জলী ফোরাম
৭) সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ
৮) সনাতন মৈত্রী সংঘ
৯) জাগো হিন্দু
১০) বাংলাদেশ হিন্দু যুব উন্নয়ন সংগঠন
১১) জাতীয় সমাজ সংস্কার সমিতি
১২) শ্রীশ্রী ভোলাগিরি আশ্রম
১৩) প্রণব মঠ
১৪) মহানাম সম্প্রদায়
১৫) হিন্দু ল’ইয়ার্স অর্গানাজেশন
১৬) মাইনো রিটি জনতা পার্টি
১৭) বাংলাদেশ হিন্দুলীগ
১৮) বাংলাদেশ ব্রাহ্মন সমা জ
১৯) পতঞ্জলী যোগ সংঘ
২০)বাংলাদেশ সংখ্যালঘু অধিকার ঐক্য
২১) বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ
২২) সনাতন ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন
২৩) বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি)
২৪) বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)
২৫) বাংলাদেশ মাইনোরিটি পরিষদ
২৬ বাংলাদেশ মাইনোরিটি কোয়ালিশন
২৭) সংখ্যালঘু স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ,
২৮) বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ
২৯) হিন্দু সেনা বাংলাদেশ
৩০) বাংলাদেশ হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন
২) বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট
৩) হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি
৪) বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ
৫) আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)
৬) শারদাঞ্জলী ফোরাম
৭) সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ
৮) সনাতন মৈত্রী সংঘ
৯) জাগো হিন্দু
১০) বাংলাদেশ হিন্দু যুব উন্নয়ন সংগঠন
১১) জাতীয় সমাজ সংস্কার সমিতি
১২) শ্রীশ্রী ভোলাগিরি আশ্রম
১৩) প্রণব মঠ
১৪) মহানাম সম্প্রদায়
১৫) হিন্দু ল’ইয়ার্স অর্গানাজেশন
১৬) মাইনো রিটি জনতা পার্টি
১৭) বাংলাদেশ হিন্দুলীগ
১৮) বাংলাদেশ ব্রাহ্মন সমা জ
১৯) পতঞ্জলী যোগ সংঘ
২০)বাংলাদেশ সংখ্যালঘু অধিকার ঐক্য
২১) বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ
২২) সনাতন ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন
২৩) বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি)
২৪) বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)
২৫) বাংলাদেশ মাইনোরিটি পরিষদ
২৬ বাংলাদেশ মাইনোরিটি কোয়ালিশন
২৭) সংখ্যালঘু স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ,
২৮) বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ
২৯) হিন্দু সেনা বাংলাদেশ
৩০) বাংলাদেশ হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন
একইসাথে সরকারের বিভিন্ন লেভেলে ঢুকে পরা হিন্দু কর্মকর্তা-কর্মচারিদের লিস্ট করে, তাদের নজরদারিতে রাখা দরকার। যে সব হিন্দুর মোদি-রিপাবলিকান ব্লক কানেকশন পাওয়া যাবে, সেগুলোকে ওএসডি বা চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। সরকারের এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও হার্ডলাইনে যেতে হবে, অন্যথায় সিনহা যেভাবে আওয়ামীলীগের গলায় ছুরি বসাতে চেয়েছিলো, ঠিক একইকাজটা ঐ গোত্রের হিন্দুরা বার বার করতেই থাকবে।