গত ডিসেম্বরে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।
বলেছিলাম- যদি দেখেন ছুটির দিন বা তার আগের রাতে আগুন লাগছে তাহলে বুঝবেন সেই আগুন এমনি এমনি লাগে নাই, লাগানো হইছে।
এবং যে আগুন লাগানো হয়, সেটা কিন্তু পোড়া না শেষ হওয়া পর্যন্ত নিভে না।
আগুন ধরার অনেকগুলো সুত্র উল্লেখ করছিলাম, সেগুলো মুখস্ত রাইখেন।
(স্ট্যাটাস লিঙ্ক-https://tinyurl.com/r8bo2hl)
বলেছিলাম- যদি দেখেন ছুটির দিন বা তার আগের রাতে আগুন লাগছে তাহলে বুঝবেন সেই আগুন এমনি এমনি লাগে নাই, লাগানো হইছে।
এবং যে আগুন লাগানো হয়, সেটা কিন্তু পোড়া না শেষ হওয়া পর্যন্ত নিভে না।
আগুন ধরার অনেকগুলো সুত্র উল্লেখ করছিলাম, সেগুলো মুখস্ত রাইখেন।
(স্ট্যাটাস লিঙ্ক-https://tinyurl.com/r8bo2hl)
গতকাল রাত এবং আজকে দিনে যথাক্রমে মিরপুরের চলন্তিকা বস্তি (https://bit.ly/2TVr1bI) এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন মির্জাপুল এলাকার ডেকোরেশন গলির বস্তিতে আগুন ধরছে (https://bit.ly/2TV7ZC0)।
এখন ঘন ঘন বস্তিতে আগুন লাগার মূল কারণ সরকার দেশটাকে নদী বা খাল ভিত্তিক পর্যটন বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য গরীব মানুষরা ডোবা বা খালের উপর কাচা ঘর বানিয়ে থাকলে শহরের সৌন্দর্য্য্ নষ্ট হবে, বিদেশীরা এসে খারাপ বলবে। তাই বুলডোজার দিয়ে পাকা বাড়ি উচ্ছেদ করলেও, কাচা ঘর উচ্ছেদের সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত উপায় হলো আগুন লাগিয়ে দেয়া। গত এক বছর এই বস্তিতে আগুন লাগা ছিলো নিয়মিত ঘটনা।
এখন ঘন ঘন বস্তিতে আগুন লাগার মূল কারণ সরকার দেশটাকে নদী বা খাল ভিত্তিক পর্যটন বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য গরীব মানুষরা ডোবা বা খালের উপর কাচা ঘর বানিয়ে থাকলে শহরের সৌন্দর্য্য্ নষ্ট হবে, বিদেশীরা এসে খারাপ বলবে। তাই বুলডোজার দিয়ে পাকা বাড়ি উচ্ছেদ করলেও, কাচা ঘর উচ্ছেদের সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত উপায় হলো আগুন লাগিয়ে দেয়া। গত এক বছর এই বস্তিতে আগুন লাগা ছিলো নিয়মিত ঘটনা।
সরকার উন্নয়ন করতেছে সমস্যা নাই,
কিন্তু এই যে গরীব পোড়ানোর উন্নয়ন হাতে নিছে, এর থেকে কতটুকু সফলতা আসবে ?
মন্ত্রীরা প্রায় বলে “এত সালের মধ্যে দেশে আর গরীব থাকবে না্।”
আপনারা যে গরীবকে পুড়িয়ে মেরে ফেলবেন, এটা তো স্পষ্ট।
কিন্তু এই যে গরীব পোড়ানোর উন্নয়ন হাতে নিছে, এর থেকে কতটুকু সফলতা আসবে ?
মন্ত্রীরা প্রায় বলে “এত সালের মধ্যে দেশে আর গরীব থাকবে না্।”
আপনারা যে গরীবকে পুড়িয়ে মেরে ফেলবেন, এটা তো স্পষ্ট।
আপনারা যতই বলেন-
গরীব মেরে আপনারা পর্যটন করবেন,
মসজিদ ভেঙ্গে আপনারা সৌন্দর্য বাড়াবেন,
গরীবের টাকা দিয়ে মেট্রোরেল-৪ লেনের রাস্তা বানাবেন,
লাভ হবে না। এগুলো অভিশপ্ত।
গরীব মেরে আপনারা পর্যটন করবেন,
মসজিদ ভেঙ্গে আপনারা সৌন্দর্য বাড়াবেন,
গরীবের টাকা দিয়ে মেট্রোরেল-৪ লেনের রাস্তা বানাবেন,
লাভ হবে না। এগুলো অভিশপ্ত।
একজন গতকালকে ফেসবুকে কমেন্টে বলছে- আমি নাকি অর্থনীতির ‘অ’ বুঝি না, এসব কন্সট্র্যাকশনের কাজ শেষ হলে নাকি তখন বুঝবো,
দেশ কিভাবে এগিয়ে যায়।
আরে ভাই- আমি নাইলে বুঝি না, অশিক্ষিত।
আমি না হয়, ৩ বছর ধরে বক বক করতেছি, দেশের অর্থনীতিতে খারাপ পরিস্থিতি আসতেছে বলে,
আমার কথা না হয়, নাই বিশ্বাস করলেন,
কিন্তু আপনি পুরো দেশের মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা এখন ভালো আছে না, খারাপ আছে ?
দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়তেছে তাদের পরিবারের প্রকৃত অবস্থাটা কেমন ?
যে গতিতে দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তেছে, যেভাবে প্রাইভেট সেক্টরে ধস নামতেছে, মানুষ বেকার হচ্ছে,
তাতে আর কত বছর তারা সারভাইভ করতে পারবে ?
ধরে নিলাম- এসব রাস্তাঘাট আর সেতু কমপ্লিট হতে আরো ১০ বছর লাগবে।
তাদের জিজ্ঞেস করেন, এইভাবে তারা আরো ১০ বছর টিকতে পারবে কি না ?
এই অবস্থা চলতে থাকলে তারা কি অত্যাধুনিক ৪ লেনের রাস্তায় মার্সিডিস বেঞ্চ ছুটাবে,
নাকি ৪ লেনের ধারে দাড়ায় ভিক্ষা করবে? সেটা তাদেরকেই জিজ্ঞেস করেন।
দেশ কিভাবে এগিয়ে যায়।
আরে ভাই- আমি নাইলে বুঝি না, অশিক্ষিত।
আমি না হয়, ৩ বছর ধরে বক বক করতেছি, দেশের অর্থনীতিতে খারাপ পরিস্থিতি আসতেছে বলে,
আমার কথা না হয়, নাই বিশ্বাস করলেন,
কিন্তু আপনি পুরো দেশের মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা এখন ভালো আছে না, খারাপ আছে ?
দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়তেছে তাদের পরিবারের প্রকৃত অবস্থাটা কেমন ?
যে গতিতে দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তেছে, যেভাবে প্রাইভেট সেক্টরে ধস নামতেছে, মানুষ বেকার হচ্ছে,
তাতে আর কত বছর তারা সারভাইভ করতে পারবে ?
ধরে নিলাম- এসব রাস্তাঘাট আর সেতু কমপ্লিট হতে আরো ১০ বছর লাগবে।
তাদের জিজ্ঞেস করেন, এইভাবে তারা আরো ১০ বছর টিকতে পারবে কি না ?
এই অবস্থা চলতে থাকলে তারা কি অত্যাধুনিক ৪ লেনের রাস্তায় মার্সিডিস বেঞ্চ ছুটাবে,
নাকি ৪ লেনের ধারে দাড়ায় ভিক্ষা করবে? সেটা তাদেরকেই জিজ্ঞেস করেন।
সরকারের এত এত উন্নয়নের জন্য অনেক টাকার দরকার, তাই আয়করের সীমা কমায় দিছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ একটা আর্টিকেলে বর্তমান আয়কর ব্যবস্থাকে গরীব মারার ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে পাশ্ববর্তী ভারতে যেখাবে মাসিক ইনকাম ৫০ টাকা হলে আয়কর দিতে হয়, সেখানে বাংলাদেশে আয়কর দিতে হয় ২০ হাজার ৮০০ টাকার মাসিক ইনকামে। তার বক্তব্য হলো-এই টাকা দিয়ে কি ৪-৫ জনের একটা পরিবার মাসে চলতে পারে, সেখান থেকে যদি সরকার টাকা কেটে নিয়ে যায় তবে সে চলবে কিভাবে ? (https://bit.ly/37nmVwE)
বাংলাদেশের সব মানুষের ধারণা- সবাই খারাপ আছে, শুধু সরকারি চাকুরীজীবি ছাড়া।
কিন্তু সরকারী চাকুরীজীবিদের সাথে আলাপ করে বুঝলাম-
তারাও খারাপ আছে, শুধু দুর্নীতিবাজ ছাড়া।
সরকারী বেতনে দুর্নীতিহীনরাও সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে।
এখান থেকে একটি প্রশ্ন আসে, সেহেতু কয়েক বছর আগেই সরকারী বেতন দ্বিগুন হয়েছে,
তাতেও যদি তাদের কষ্ট হয়, তাহলে বাকিদের বেতন তো দ্বিগুন হয়নি,
তারা কিভাবে চলছে ? অবশ্যই নে খেয়ে বা অন্যান্য মৌলিক চাহিদা বন্ধ করে।
কিন্তু সরকারী চাকুরীজীবিদের সাথে আলাপ করে বুঝলাম-
তারাও খারাপ আছে, শুধু দুর্নীতিবাজ ছাড়া।
সরকারী বেতনে দুর্নীতিহীনরাও সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে।
এখান থেকে একটি প্রশ্ন আসে, সেহেতু কয়েক বছর আগেই সরকারী বেতন দ্বিগুন হয়েছে,
তাতেও যদি তাদের কষ্ট হয়, তাহলে বাকিদের বেতন তো দ্বিগুন হয়নি,
তারা কিভাবে চলছে ? অবশ্যই নে খেয়ে বা অন্যান্য মৌলিক চাহিদা বন্ধ করে।
শুনেছিলাম- কাক নাকি চোখ বন্ধ করে খাবার লুকিয়ে রাখার সময় ভাবে-
সে দেখে নাই, তাই কেউ দেখে নাই।
বর্তমাস সরকারের অবস্থা হইছে সে-রকম।
সেও ভাবতেছে আমি আনন্দে আছি, তারমানে সবাই আনন্দে আছে।
তারা এখন দিন ছাপিয়ে বছর জুড়ে মুজিববর্ষ পালনের নামে মোজ ফূর্তি করতেছে,
কনসার্ট, বিদেশী নতর্কী দিয়ে অর্ধ উলঙ্গ ড্যান্স, কিংবা বিদেশী খেলোয়ার দিয়ে খেলা,
আতশবাজির নামে অপচয়, সব চলতেছে। কিন্তু দেশের জনগণের আর্থিক অবস্থা যে দিনে দিনে কোমায় চলে যাচ্ছে,
সেটা তারা চোখ বুজে অস্বীকার করতেছে।
কথা হইলো- তারা তো সেকেন্ড হোমে ১৪ পুরুষের খরচ জমিয়ে রেখেছে,
জনগণ কি করবে ? তার তো সম্বল নেই, পরের বেলার খাবার জমা নেই।
তাদের তো পদ্মা সেতুর স্প্যান দেখে পেট ভরে না, মেট্রোরেলের ধূলা খেয়ে ক্ষিদা মিটে না,
সালমান খান, ক্যাটারিনা কাইফ আর জুলিও সিজারের ফুটবল খেলা দেখে অসুখ ভালো হয় না।
সে হিসেব করলে আমি বলবো- বস্তিবাসীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সরকার ভালোই করেছে,
ধূকে ধুকে মরার থেকে যাকে মারবেন, একবারে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলুন, এটাই ভালো।
সে দেখে নাই, তাই কেউ দেখে নাই।
বর্তমাস সরকারের অবস্থা হইছে সে-রকম।
সেও ভাবতেছে আমি আনন্দে আছি, তারমানে সবাই আনন্দে আছে।
তারা এখন দিন ছাপিয়ে বছর জুড়ে মুজিববর্ষ পালনের নামে মোজ ফূর্তি করতেছে,
কনসার্ট, বিদেশী নতর্কী দিয়ে অর্ধ উলঙ্গ ড্যান্স, কিংবা বিদেশী খেলোয়ার দিয়ে খেলা,
আতশবাজির নামে অপচয়, সব চলতেছে। কিন্তু দেশের জনগণের আর্থিক অবস্থা যে দিনে দিনে কোমায় চলে যাচ্ছে,
সেটা তারা চোখ বুজে অস্বীকার করতেছে।
কথা হইলো- তারা তো সেকেন্ড হোমে ১৪ পুরুষের খরচ জমিয়ে রেখেছে,
জনগণ কি করবে ? তার তো সম্বল নেই, পরের বেলার খাবার জমা নেই।
তাদের তো পদ্মা সেতুর স্প্যান দেখে পেট ভরে না, মেট্রোরেলের ধূলা খেয়ে ক্ষিদা মিটে না,
সালমান খান, ক্যাটারিনা কাইফ আর জুলিও সিজারের ফুটবল খেলা দেখে অসুখ ভালো হয় না।
সে হিসেব করলে আমি বলবো- বস্তিবাসীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সরকার ভালোই করেছে,
ধূকে ধুকে মরার থেকে যাকে মারবেন, একবারে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলুন, এটাই ভালো।