রোজার সময় বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা চলে।

রোজার সময় বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা চলে।
Image result for হারিকেন
রোজার সময় বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা চলে।
এটা এক বছর না, বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে।
সারাদিন খালি পেটে থেকে, রাতের বেলায় তারাবির নামাজ পরে দিনে পরীক্ষা দেয়া কঠিন, তাই অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই রোজা রাখতে পারে না।
৯৫% ছাত্র-ছাত্রীর প্রয়োজনে রোজার মধ্যে যেন কলেজ-ভার্সিটিগুলোতে পরীক্ষা না ফেলানো হয়, এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে, এটা কাউকে কখন বলতে দেখলাম না।
বাদ দেই মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারের কথা।
বাংলাদেশে এখন নীতি নৈতিকতার খুব অভাব। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান দেশে মুসলিম ছেলে-মেয়েদের রোজা করতে দেন না, তারা নৈতিকতা শিখবে কিভাবে ?
তবে রোজা পালন করতে না দিলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতী পূজা কিন্তু বেশ হয়েছে।
কথা হলো সরস্বতী পূজা কি আমাদের জাতিকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে পারবে?
পশ্চিমবঙ্গে তো সরস্বতী পূজার অপর নাম বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন ডে,
বাচ্চাদের ‘প্রেম প্রেম’ হাতে খড়ি হয়, এই পূজোয়।
এখন যায়গায় যায়গায় ধর্ষণ বাড়বে, ইভটিজিং বাড়বে আপনি কার দোষ দিবেন ?
আপনি বাচ্চা কাচ্চাদের রোজা পালন করতে দিবেন না, বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করতে দিবেন,
ওড়না পড়তে দিবেন না, বাচ্চাদের সরস্বতির স্তনের স্তুতির মন্ত্র পড়াবেন, তাহলে তো এমনটা হবেই।
[সরস্বতী পূজার মন্ত্র -
“ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।”
অর্থ- সরস্বতী এমন দেবী যার স্তন দুটো শোভা বর্ধন করছে মুক্তার হারে। যে দেবী বীনা দ্বারা রঞ্জিত হয়েছে, হাতে পুস্তক আছে। সেই ভগবতী ভারতী দেবী কে নমস্কার করি।]
ব্রিটিশ আমলে বাঙালী মুসলমানরা স্বরসতী পূজার এ প্রভাবগুলো ধরতে পেরেছিলো। যার কারণে ব্রিটিশ আমলে মুসলমানদের স্বাধীকার আন্দোলনের একটি বড় ধাপ ছিলো পূর্ববঙ্গের স্কুলগুলোতে স্বরসতী পূজা পালন বন্ধ করা। (সূত্র: বই: ‘বাঙলা ভাগ হলো: হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা ও দেশবিভাগ’, লেখক: জয়া চ্যাটার্জি)।
কথা হইলো, প্রত্যেকের একটা আলাদা সংস্কৃতি আছে।
সেটা হিন্দুর যেমন আছে, মুসলমানের তেমন আছে।
আওয়ামীলীগের যেমন আছে, বিএনপির তেমন আছে, বামদের তেমন আছে।
সবাই চায় সবার সংস্কৃতি রক্ষা হোক, কেউ কারো সংষ্কৃতিতে মিক্সিং চায় না।
আওয়ামীলীগ কিন্তু জিন্দাবাদ, বিএনপি জয় বাংলা কিংবা বামরা নারায়ে তাকবীর শ্লোগান দিতে চায় না, গোড়ামি করে বেকে বসে।
কিন্তু মুসলমান যদি অন্যের সংস্কৃতি গ্রহণ না করতে চায়, তখন সবাই বেজার হয়। বলে মুসলমান গোড়ামি করছে।
সমানাধিকারের কথা যদি বলেন, তবে গনতান্ত্রিক সিস্টেমে-
৫% হিন্দুর সাথে ৫% মুসলমানের সংস্কৃতির আদান প্রদান হইতে পারে,
কিন্তু ৫% হিন্দুর সংস্কৃতি যদি ৯৫% মুসলমানকে চাপায় দেন, তবে হিন্দুকে আপনি হিন্দুকে মুসলমানের তুলনায় ১৯ গুন বেশি গুরুত্ব দিতেছেন,
এটা সমানাধিকার হয় কিভাবে ?
আর সমানাধিকারের দায় কেন শুধু মুসলমানকেই নিতে হবে,
আপনারা বাকিরাও সমাধিকারের দায় নেন।
হিন্দুরাও ঈদের জামাতে আসুক, কোরবানীর ঈদ করুক, গরু জবাই দিক, তাহলেই তো বোঝা যাবে কেমন সমানাধিকার। শুধু দূর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা আর বৈশাখী পূজার সময় সমানাধিকারের কথা বলবেন,
মন্দিরের পূজা স্কুলে এনে মুসলিম বাচ্চাদের দিয়ে পূজা করাবেন,
কিন্তু বাকি সময় সমানাধিকারের কথা ভুলে যাবেন, এটা কেমন কথা ??
আপনারা যতই সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু করে চিল্লান,
দাদারা কিন্তু সংখ্যালঘু ধারায় আর নাই।
তারা বুঝছে তাদের বলপ্রয়োগ করতে হবে।
ভারতে যেমন তারা মারমার কাটকাট করতেছে, তেমন সব যায়গায় করতে হবে।
কিসের নৈতিকতা আর কিসের সমানাধিকার, জোর যার মুল্লুক তার।
তারা ধর্মীয় কারণে ৩০ কোটি মুসলমানকে দেশ ছাড়া করার ঘোষণা দিছে, কেউ ওদের উল্টাইতে পারছে ?
দেখন না, কোটার নুরুকে সনজিত ধরে দুইবার পিটাইছে, এবার কোটার নুরুর স্বরসতীর পক্ষে কথা বলা শুরু করছে।
এটাই নিয়ম রে ভাই, আর কোন নিয়ম নাই, আপনি যতই কথাই বলেন।
ভারতেও সরস্বতী পূজা ২৯ তারিখ, বাংলাদেশেও ২৯ তারিখ।
কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুরা নবাবজাদা, তারা ২৯ তারিখ মদ খাবে আর আবরারদের মারার প্ল্যান নিবে, তাই ৩০ তারিখ বিশ্রামের জন্য তাদের ছুটি লাগবে।
দেন তাদের ছুটি দেন, সমস্যা কোথায় ?
ভারতের মত বাংলাদেশেও উগ্র হিন্দুবাদ মাথায় তুলে আস্কারা দেন,
দুইদিন আপনারাও এনআরসি খেয়ে বঙ্গপোসাগারে গিয়ে পড়বেন,
বাংলাদেশ অখণ্ড ভারতের অংশ হবে,
সমস্যা কোথায় ? ভালো তো।