পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সরকারের যুদ্ধ ঘোষণা
পুরান ঢাকায় শত বছর ধরে গড়ে ওঠা ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে শেখ হাসিনা সরকার। বুড়িঙ্গার তীর জুড়ে পর্যটন ও বিনোদন নগরী, বাণিজ্য উচ্ছেদ করে হেরিটেজ পার্ক এবং নতুন শহর নির্মাণ (আরবান ল্যান্ড রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্প) করার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে তৈরী জনমতকে কাজে লাগতে চাইছে সরকার। আসুন, এ সম্পর্কিত কিছু খবর দেখি-
১) ৩ দিনের মধ্যে গোডাউন ছাড়বেন, ৬ মাসের মধ্যে নতুন গোডাউন পাবেন !
দৈনিক প্রথম আলোর খবর; “২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে টাস্কফোর্সের অভিযান” (https://bit.ly/2UeGvox)
খবরের ভেতর- তিন দিনের মধ্যে পুরান ঢাকায় কেমিকেল গোডাউন বিরোধী অভিজান শুরু করবে বিশেষ বাহিনী, কোন বাড়িতে কেমিকেল পাওয়া গেলে ঐ বাড়ির গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেবে। সাথে নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। ১ মাসের মধ্যে পুরো পুরান ঢাকা কেমিকেল গোডাউন শূণ্য হবে।
এরপর খবরে নিচের অংশে বলা হচ্ছে, “শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে শিল্পনগর তৈরি করে দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রাসায়নিক পল্লির জমির পরিমাণ ৫০ একর থেকে বাড়িয়ে ২০০ একর করার চিন্তা করা হচ্ছে। এ জন্য কেরানীগঞ্জে নতুন কয়েকটি জায়গা দেখা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন ধাপ থাকে, সেটা এড়িয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এ ক্ষেত্রে ছয় মাসের বেশি লাগবে না বলে আশা করা হচ্ছে।”
তারমানে যদি সরকার তড়িৎ কাজও করে (যদিও এখনও জমি ঠিক হয়নি) তবে ৬ মাস পর কেরানীগঞ্জ কেমিকেল গোডাউন প্রস্তুত হবে। এবার নিজেই একটু বিবেক খাটিয়ে চিন্তা করে দেখুন তো, কোন বাড়িয়ালা আপনাকে বললো, “৩ দিনের মধ্যে বাসা ছাড়বেন, আর ৬ মাস পর নতুন বাসা পাবেন। ” বিষয়টা কেমন ? আপনি নিজে যদি থাকতেন, তবে না হয় স্টেশন, পথে ঘাটে ঘুমাতেন। কিন্তু কোটি কোটি টাকার মালামাল নিয়ে কোথায় যাবেন ? ৬ মাস রাস্তায় থাকবেন ? খোলা আকাশের নিচে এসব মালামাল রাখলে তা ৬ মাস তো দূরের কথা, ৬ দিন থাকবে না। সরকার যদি সত্যিই চাইতো, এসব ব্যবসা টিকে থাকুক, তবে সঠিক উপায়ে কেমিকেল গোডাউনের পুনর্বাসন করতো, এভাবে উচ্ছেদ চাইতো না। এখানে স্পষ্ট, সরকার নিজেই চাইছে পুরান ঢাকায় দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা ব্যবসা-বাণিজ্যের পতন ঘটুক।
দৈনিক প্রথম আলোর খবর; “২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে টাস্কফোর্সের অভিযান” (https://bit.ly/2UeGvox)
খবরের ভেতর- তিন দিনের মধ্যে পুরান ঢাকায় কেমিকেল গোডাউন বিরোধী অভিজান শুরু করবে বিশেষ বাহিনী, কোন বাড়িতে কেমিকেল পাওয়া গেলে ঐ বাড়ির গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেবে। সাথে নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। ১ মাসের মধ্যে পুরো পুরান ঢাকা কেমিকেল গোডাউন শূণ্য হবে।
এরপর খবরে নিচের অংশে বলা হচ্ছে, “শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে শিল্পনগর তৈরি করে দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রাসায়নিক পল্লির জমির পরিমাণ ৫০ একর থেকে বাড়িয়ে ২০০ একর করার চিন্তা করা হচ্ছে। এ জন্য কেরানীগঞ্জে নতুন কয়েকটি জায়গা দেখা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন ধাপ থাকে, সেটা এড়িয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এ ক্ষেত্রে ছয় মাসের বেশি লাগবে না বলে আশা করা হচ্ছে।”
তারমানে যদি সরকার তড়িৎ কাজও করে (যদিও এখনও জমি ঠিক হয়নি) তবে ৬ মাস পর কেরানীগঞ্জ কেমিকেল গোডাউন প্রস্তুত হবে। এবার নিজেই একটু বিবেক খাটিয়ে চিন্তা করে দেখুন তো, কোন বাড়িয়ালা আপনাকে বললো, “৩ দিনের মধ্যে বাসা ছাড়বেন, আর ৬ মাস পর নতুন বাসা পাবেন। ” বিষয়টা কেমন ? আপনি নিজে যদি থাকতেন, তবে না হয় স্টেশন, পথে ঘাটে ঘুমাতেন। কিন্তু কোটি কোটি টাকার মালামাল নিয়ে কোথায় যাবেন ? ৬ মাস রাস্তায় থাকবেন ? খোলা আকাশের নিচে এসব মালামাল রাখলে তা ৬ মাস তো দূরের কথা, ৬ দিন থাকবে না। সরকার যদি সত্যিই চাইতো, এসব ব্যবসা টিকে থাকুক, তবে সঠিক উপায়ে কেমিকেল গোডাউনের পুনর্বাসন করতো, এভাবে উচ্ছেদ চাইতো না। এখানে স্পষ্ট, সরকার নিজেই চাইছে পুরান ঢাকায় দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা ব্যবসা-বাণিজ্যের পতন ঘটুক।
(২) বলপ্রয়োগ করে হলেও কেমিক্যাল গুদাম সরাতে হবে: নাসিম (https://bit.ly/2ExhMpM)
মন্তব্য : আপনার ও আপনার পুত্রের লুটপাট ও চুরির দরুন বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন যে পরিমাণ রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, তার বিচার হবে কবে ?
মন্তব্য : আপনার ও আপনার পুত্রের লুটপাট ও চুরির দরুন বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন যে পরিমাণ রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, তার বিচার হবে কবে ?
(৩) এলসি বন্ধ হলেই পুরান ঢাকা ছাড়বেন ব্যবসায়ীরা : এনবিআর চেয়ারম্যান (https://bit.ly/2NvcSwi)
কয়েকদিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেছিলো, আওয়ামী সরকার হলো ব্যবসাবান্ধব সরকার। তখন আমি স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছিলো, আওয়ামী সরকার ব্যবসা বান্ধব সরকার নয়, আওয়ামী সরকার হলো ব্যবসাখেকো সরকার (https://bit.ly/2VfkkOS)। পুরান ঢাকার ব্যবসা বন্ধ করে রিয়েল স্টেট ও পর্যটন ব্যবসা চালু করতে সরকারী কর্মকর্তাদের হুমকি ধামকি দেখলে সেটা সহজে অনুমেয়।
কয়েকদিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেছিলো, আওয়ামী সরকার হলো ব্যবসাবান্ধব সরকার। তখন আমি স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছিলো, আওয়ামী সরকার ব্যবসা বান্ধব সরকার নয়, আওয়ামী সরকার হলো ব্যবসাখেকো সরকার (https://bit.ly/2VfkkOS)। পুরান ঢাকার ব্যবসা বন্ধ করে রিয়েল স্টেট ও পর্যটন ব্যবসা চালু করতে সরকারী কর্মকর্তাদের হুমকি ধামকি দেখলে সেটা সহজে অনুমেয়।
(৪) কেমিকেল গোডাউনের সংখ্যা কত ?
বাংলানিউজ২৪ একটি প্রতিবেদন বলছে, এর সংখ্যা ৯ হাজার। (https://bit.ly/2tHV8Vn), এমন গোডাউন আছে, যেখানে শত-হাজার কোটি টাকার মালামালও আছে। এগুলো ৩ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করে, ৬ মাসের মধ্যে নতুন বাসা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া কতটুকু যুক্তিযুদ্ধ, আপনি বিচার করুন।
বাংলানিউজ২৪ একটি প্রতিবেদন বলছে, এর সংখ্যা ৯ হাজার। (https://bit.ly/2tHV8Vn), এমন গোডাউন আছে, যেখানে শত-হাজার কোটি টাকার মালামালও আছে। এগুলো ৩ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করে, ৬ মাসের মধ্যে নতুন বাসা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া কতটুকু যুক্তিযুদ্ধ, আপনি বিচার করুন।
সারা বিশ্ব এখন নিজের দেশে উৎপাদনের উপর জোর দিয়েছে। চায়না নিজস্ব শিল্পের উপর জোর দিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যে কর্তৃত্ব করছে। ট্র্যাম্প নিয়েছে ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন' কর্মসূচি। মোদি নিয়েছে ‘মেইক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি। সবাই চায় নিজের দেশে উৎপাদন বা প্রডাকশন হোক। কিন্তু বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার দেশের সামান্য একটু অঞ্চলে গড়ে ওঠা প্রডাকশনকে ধূলায় মিশিয়ে দিয়ে পুরোপুরি বিদেশ নির্ভর হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । এই তাদের দেশপ্রেম ! ছি :