ভারতের মলমিশ্রিত নোংরা পানি ঢুকছে বাংলাদেশে, দুর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে সুয়ারেজের নোংরা পানি বাংলাদেশের প্রবেশ করছে। এতে শুধু সুয়ারেজ লাইনের পানি নয়, আছে আগরতলার ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ডাইং কারখানা, চামড়া কারখানা ও মেলামাইন কারখানার বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য। যে খালের মাধ্যমে এই দুষিত পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তার নাম ‘কালান্দি খাল’। আর এলাকার মানুষ এই পানিকে ডাকে কালান্দির কালো পানি নামে। এই খালের কারণে বাংলাদেশের বি-বাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মাইলের পর মাইল এলাকা মৌ মৌ করে ভারতীয়দের মলমূত্রের গন্ধে।
বিভিন্ন সময়ে খবরে প্রকাশ, এই বিষাক্ত পানির কারণে খালের সাথে যুক্ত আখাউড়া উপজেলার ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার লোক স্বাস্থ্যঝুকির মধ্যে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি, মরে ভেসে উঠছে মাছ (https://bit.ly/2Wp2fQ3)।
এই বিষয়টির প্রতিবাদে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার মানবন্ধনও করেছে (https://bit.ly/2sOY5Du)। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
আজ থেকে ৫ বছর আগে সেই কালো পানি পরিশোধন করতে প্ল্যান্ট বসানোর অর্থও বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছিলো (https://bit.ly/2B7L7VF), কিন্তু এতটুকুই। এখনও অবাধে প্রবেশ করে যাচ্ছে সেই দুষিত পানি।
আজ থেকে ৫ বছর আগে সেই কালো পানি পরিশোধন করতে প্ল্যান্ট বসানোর অর্থও বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছিলো (https://bit.ly/2B7L7VF), কিন্তু এতটুকুই। এখনও অবাধে প্রবেশ করে যাচ্ছে সেই দুষিত পানি।
ভারত বিভিন্ন নদীতে বাধ নিয়ে পানি আটকে রাখছে। বিশুদ্ধ পানি সে দিতে চায় না, কিন্তু প্রতিদিন টয়লেট করে তার পানি ঢুকিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে, আশ্চর্য ! পৃথিবীর কোন অন্য কোন দেশে এভাবে টয়লেট সেরে সেই পানি পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠিয়ে দেয়ার নজির আছে কি না, তা আমার জানা নাই। কিন্তু তারপরও বলতে হয়, “তবু তো দিচ্ছে, সেটা মলমিশ্রিত পানি হোক না”। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় “কুছ তো মিল গেয়্যা” ( https://bit.ly/2FVh5c3)।