বিদেশী টাকার খেলা…..
উপস্থাপিকা ফারজানা ব্রাউনিয়ার সাম্প্রতিক পরিবর্তন চোখে পড়ার মত। তিনি এখন একজন কমপ্লিট হিজাবী নারী। ব্যক্তি জীবনে ধর্মপালন ও যতটুকু সম্ভব হিজাব মেইনটেইন করার চেষ্টা করেন। অন্তত তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজের ছবিগুলো সেরকমই বলে। তাকে এখন আর আগের মত অন্যপুরুষের গলায় মালা পরাতে দেখা যায় না, দেখা যায় না অন্যপুরুষের সাথে হাত মেলাতে। শুধু দেখা যায় নিজ সন্তান ও স্বামীর সাথে। যে ফারজানা ব্রাউনিয়া কিছুদিন আগেই হাজার হাজার কিশোরীকে ধাবিত করতেন কথিত ‘প্রগতিবাদী’ হওয়ার জন্য, বলতেন-মেয়েরা যেন ক্যারিয়ার নষ্ট করতে বিয়ে না করে। মেয়েদের উৎসাহিত করতেন ‘কর্পোরেট লুক’ ফলো করার জন্য। বলতেন, এক পুরুষের অধীনে না গিয়ে, ১০ পুরুষের সাথে নেচে মেয়েরা ‘স্বাধীন’ জীবন যাপন করবে, এটাই ছিলো তার শিক্ষা। কিন্তু সেই ফারজানা আজকে হিজাব ও স্বামী-সন্তানের ‘বুক’ বেছে নিয়েছেন।
মানুষ সব সময় অপেক্ষাকৃত ভালো থাকার চেষ্টা করে। ফারজানা ব্রাউনিয়াও আগের জীবন থেকে বর্তমানে অধিক ভালো জীবন বেছে নিয়েছেন, তার ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো সেটাই প্রমাণ করে। এখন কথা হলো, সেই আগের কথিত প্রগতিবাদী ব্রাউনিয়া আর বর্তমানে হিজাবী ব্রাউনিয়ার মধ্যে তফাৎটা কোথায় ?
তফাৎ হলো আগে সে কাজ করতো স্বর্ণকিশোরী নামক একটি এনজিও’র হয়ে। যে এনজিওটি পরিচালিত হতো জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের অর্থায়নে। বাংলাদেশের নারীদের নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন এজেন্ডাগুলো সে প্রগতিবাদের নাম দিয়ে মেয়েদের খাওয়াতো। কিন্তু হঠাৎ চ্যানেল আই গ্রুপের সাথে দ্বন্দ্বের দরুণ সে স্বর্ণকিশোরী ত্যাগ করে। ফিরে আসে আসল রূপে, গ্রহণ করে স্বাভাবিক জীবন। অর্থাৎ বিদেশী টাকাও নেয় না, আর কিশোরীদের বিভ্রান্তও করে না। তারমানে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন’র নামে যেসব তত্ত্ব (বাল্যবিয়ে বন্ধ, পর্দা নিষিদ্ধ, নারী অধিকার, বৈষম্য হ্রাস, নারী ক্ষমতায়ন, নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশা, জন্মনিয়ন্ত্রণ) ছড়ানো হচ্ছে সব হলো পশ্চিমা ফান্ডিং এর ফসল। ফান্ডিং বন্ধ হলে সে সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। একই সাথে যেসব নারী এগুলো প্রচার করছে ব্যক্তি জীবনে তারাও সেগুলো পছন্দ করে না। সুযোগ পেলে তারাও পশ্চিমা এজেন্ডা মাফিক জীবন যাপন ত্যাগ করবে।
তফাৎ হলো আগে সে কাজ করতো স্বর্ণকিশোরী নামক একটি এনজিও’র হয়ে। যে এনজিওটি পরিচালিত হতো জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের অর্থায়নে। বাংলাদেশের নারীদের নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন এজেন্ডাগুলো সে প্রগতিবাদের নাম দিয়ে মেয়েদের খাওয়াতো। কিন্তু হঠাৎ চ্যানেল আই গ্রুপের সাথে দ্বন্দ্বের দরুণ সে স্বর্ণকিশোরী ত্যাগ করে। ফিরে আসে আসল রূপে, গ্রহণ করে স্বাভাবিক জীবন। অর্থাৎ বিদেশী টাকাও নেয় না, আর কিশোরীদের বিভ্রান্তও করে না। তারমানে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন’র নামে যেসব তত্ত্ব (বাল্যবিয়ে বন্ধ, পর্দা নিষিদ্ধ, নারী অধিকার, বৈষম্য হ্রাস, নারী ক্ষমতায়ন, নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশা, জন্মনিয়ন্ত্রণ) ছড়ানো হচ্ছে সব হলো পশ্চিমা ফান্ডিং এর ফসল। ফান্ডিং বন্ধ হলে সে সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। একই সাথে যেসব নারী এগুলো প্রচার করছে ব্যক্তি জীবনে তারাও সেগুলো পছন্দ করে না। সুযোগ পেলে তারাও পশ্চিমা এজেন্ডা মাফিক জীবন যাপন ত্যাগ করবে।
গত কয়েকদিন আগে দৈনিক প্রথম আলো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম, “কিশোরীর ‘উপযুক্ত পোশাক’ও নির্ধারণ করেছে পাঠ্যপুস্তক”। প্রতিবেদনের ভেতরে লেখা হয়, “সাদা-কালো সালোয়ার-কামিজ আর সাদা ওড়না গায়ে এক কিশোরীর ছবি। ছবির নিচে লেখা, ‘উপযুক্ত পোশাকে কিশোরী’। ....২০১৯ শিক্ষাবর্ষের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ের ‘কৈশোরকালীন পরিবর্তন ও নিজের নিরাপত্তা রক্ষা’ বিষয়ক সপ্তম অধ্যায়ে ....। তবে নারী, শিশু ও শিক্ষা অধিকার নিয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা পাঠ্যপুস্তক এভাবে ‘উপযুক্ত পোশাক’ নির্ধারণ করে দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলছেন, একজন কিশোরীর উপযুক্ত পোশাক কোনটি, তা পাঠ্যপুস্তকে কেন থাকবে?” (https://bit.ly/2FnsYpU)
আমার মনে হয় বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম রাষ্ট্রে উপযুক্ত পোষাক বোরকা হওয়ার দরকার ছিলো। কিন্তু সালোয়ার কামিজ আর ওড়না হওয়াতে দৈনিক প্রথম আলো কেন রিয়্যাক্ট করলো ? এর পেছনে কি ফারাজানা ব্রাউনিয়ার মত সেই ‘পশ্চিমা অর্থ’ তত্ত্ব মেলানো যায় না ? বিদেশী অর্থায়ন পেয়ে প্রথম আলো তা প্রচার করছে নারী অধিকারের নাম দিয়ে ?
আমার মনে হয় বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম রাষ্ট্রে উপযুক্ত পোষাক বোরকা হওয়ার দরকার ছিলো। কিন্তু সালোয়ার কামিজ আর ওড়না হওয়াতে দৈনিক প্রথম আলো কেন রিয়্যাক্ট করলো ? এর পেছনে কি ফারাজানা ব্রাউনিয়ার মত সেই ‘পশ্চিমা অর্থ’ তত্ত্ব মেলানো যায় না ? বিদেশী অর্থায়ন পেয়ে প্রথম আলো তা প্রচার করছে নারী অধিকারের নাম দিয়ে ?
কিছুদিন আগে ড. কামালের ‘খামোস’ শব্দটা খুব মিডিয়া পেয়েছিলো। ড. কামাল কিন্তু ঘাগু লোক। তার কোন কথা ফেলনা না। সুপ্রীম কোর্ট বারে তার চেম্বারে কোন মামলা করতে সবচেয়ে বেশি টাকা লাগে। ড. কামালের প্রতি শব্দের জন্য মক্কেলদের টাকা গুনতে হয়। তাই সাধারণ রাজনীতিবিদদের কথা ফেলনা হতে পারে, কিন্তু ড কামালের কোন কথা ফেলনা নয়। ‘খামোস’ শব্দ উচ্চারণের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ড কামাল বলেছিলেন, “কত টাকা পেয়েছো, কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো?”
আপনি ড কামালকে যতই ট্যাগ দেন আর রাগী ভাবেন লাভ নাই । জনগণের মাধ্যম বা গণমাধ্যম দাবীদার নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া অন্যের টাকা খেয়ে জনগণের সাথে বেঈমানি করে তা কিন্তু ফাঁস করে দিয়েছেন বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতা ড কামাল। কারণ তার থেকে সাংবাদিক আর কথিত মিডিয়াকে আর কে ভালো ভালো চিনে, বলুন ? তার বড় মেয়ের জামাই ইহুদী সাংবাদিক, তার মেয়ে সারা হোসেন বাংলাদেশে সিআইএ’র এমন প্রজেক্ট নাই, যার নেতৃত্বে নাই। আজকে যারা ৭১ এর চেতনাবাদী দাবী করে, সেই চেতনাসৃষ্টিকারী তারেক মাসুদ আর ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গী হচ্ছে ড. কামালের ছোট মেয়ে দিনা হোসেন। ড. কামালের স্ত্রী হামিদা হোসেন হচ্ছে বাংলাদেশে লিডিং সিআইএপন্থী অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের বান্ধবী, বাংলাদেশের সুলতানা কামালদের বস, আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন। বিদেশী অর্থায়ন ও ব্যাকিং এ যারা চলে তারা ড. কামালের পরিবারের হাটুর সমান হওয়ার যোগ্যতা হয়নি এখনও। সেই ড কামাল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে “কত টাকা পেয়েছো, কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো?” এই কথা বলে তো তিনি কথিত গণমাধ্যম বা মিডিয়াকে পুরো ন্যাংটো করে দিয়েছেন।
আপনি ড কামালকে যতই ট্যাগ দেন আর রাগী ভাবেন লাভ নাই । জনগণের মাধ্যম বা গণমাধ্যম দাবীদার নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া অন্যের টাকা খেয়ে জনগণের সাথে বেঈমানি করে তা কিন্তু ফাঁস করে দিয়েছেন বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতা ড কামাল। কারণ তার থেকে সাংবাদিক আর কথিত মিডিয়াকে আর কে ভালো ভালো চিনে, বলুন ? তার বড় মেয়ের জামাই ইহুদী সাংবাদিক, তার মেয়ে সারা হোসেন বাংলাদেশে সিআইএ’র এমন প্রজেক্ট নাই, যার নেতৃত্বে নাই। আজকে যারা ৭১ এর চেতনাবাদী দাবী করে, সেই চেতনাসৃষ্টিকারী তারেক মাসুদ আর ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গী হচ্ছে ড. কামালের ছোট মেয়ে দিনা হোসেন। ড. কামালের স্ত্রী হামিদা হোসেন হচ্ছে বাংলাদেশে লিডিং সিআইএপন্থী অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের বান্ধবী, বাংলাদেশের সুলতানা কামালদের বস, আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন। বিদেশী অর্থায়ন ও ব্যাকিং এ যারা চলে তারা ড. কামালের পরিবারের হাটুর সমান হওয়ার যোগ্যতা হয়নি এখনও। সেই ড কামাল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে “কত টাকা পেয়েছো, কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো?” এই কথা বলে তো তিনি কথিত গণমাধ্যম বা মিডিয়াকে পুরো ন্যাংটো করে দিয়েছেন।
এই বাংলাদেশে হঠাৎ করে নাস্তিক্যবাদী ব্লগারদের উত্থ্যান ঘটলো। ভাবখানা এমন যে, নাস্তিক্যবাদ বিরাট কোন মতবাদ, মহৎ কোন চেতনা। ইসলামকে দমন করে এখন মহৎ নাস্তিকতার উত্থান ঘটবে। কিন্তু সেই সময় কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদার বলেছিলো, নাস্তিকতা বলে কিছু নেই, সব ‘তিন বেলা খানা আর পাকা পায়খানা’র লোভ।” আসিফ মহিউদ্দিন জার্মানি যাওয়ার পর এক স্ট্যাটাসে বলেছিলো, “দেশে থাকতে কত ইচ্ছা ছিলো রিকশায় চড়বো, দামী সিগেরেট খাবো, কিন্তু স্বাদ থাকলেও সামর্থ ছিলো না। এখন জার্মানি এসে সব ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।”। গত কয়েকদিন আগে অর্পিতা রায় চৌধুরী (তমালিকা সিংহ) নামক এক কথিত নাস্তিক ব্লগার জার্মানিতে মারা যাওয়ার পর নাস্তিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বে সব ফাঁস হয়ে যায় গোমর। তখন নাস্তিকরাই বলে, এইসব নাস্তিকতা-ফাস্তিকতা বলে কিছু নেই, সব হলো আদম ব্যবসা। নাস্তিকরা কথিত নাস্তিকতার গল্প ফেদে ইহুদীবাদী লেখক সংস্থা ‘পেন ইন্টারন্যাশনাল’র সাথে যোগাযোগ করে। তারাই বাংলাদেশের কথিত নাস্তিক বা ইসলামবিদ্বেষীদের স্ট্যাইপেন দিয়ে ইউরোপে নিয়ে যায়, বাড়ি ভাড়া করে দেয় ২ বছরের জন্য, খাওয়ার ব্যবস্থা করে, পরে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো তার হাল ধরে। তবে একজন নতুনকে ‘পেন’ সংগ্রহ করতে চাইলে পুরাতন একজনের সমর্থন লাগে। এই সমর্থন দেয়ার সময় অনেক নাস্তিক নতুনের থেকে টাকা পয়সা ধান্ধা করে, নারী হলে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের শর্ত জুড়ে দেয়। অর্থাৎ নাস্তিকতা বা ইসলাম বিদ্বেষ বলে কিছু নেই, সব সেই বিদেশী টাকার খেলা।
আমার একটা মত হলো, আমি বিষ খাবো, কিন্তু বিষকে বিষ জেনে খেতে আমি রাজী। কিন্তু বিষ যেন মিষ্টি কাগজে মুড়ে না খাওয়ানো হয়। বাংলাদেশে নারী স্বাধীনতা, পর্দাহীনতা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিয়ে নিরোধ, নারী ক্ষমতায়ন সব কিছু জারি করা হোক, সমস্যা নেই। কিন্তু প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া হোক, কোন বিশেষ গুনাবলীর কারণে নয়, বরং পশ্চিমা টাকার বিনিময়ে এগুলো বাংলাদেশের জারি করার চেষ্টা চলছে। সত্য প্রকাশ হোক, কিন্তু সত্যকে মিথ্যার কাগজে মুড়ে প্রকাশ কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।