বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস RNA-ভাইরাস নয়, MDA-ভাইরাস - ১

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস RNA-ভাইরাস নয়, MDA-ভাইরাস - ১
সাজ বাতি - Home | FacebookMDA-ভাইরাস কি ?
MDA হইলো মিডিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ। করোনা ভাইরাস মূলত RNA-ভাইরাস । কিন্তু বাংলাদেশে আমরা যে করোনার অস্তিত্ব টের পাচ্ছি তা RNA দিয়ে তৈরী না, ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের মিডিয়া দিয়ে তৈরী ফেইক ভাইরাস, বাস্তবে যার কোন অস্তিত্ব নেই।
যারা এটা বুঝে তা কিন্তু মোটেও এ ভাইরাসকে পাত্তা দিচ্ছে না।
যেমন ধরেন মুজিব বর্ষে সাবেক মেয়র কামরান ব্রিটেন থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের সবার সাথেই মিশছে।
একটু হিসেব কষেন- নিশ্চয়ই আমার-আপনার থেকে প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন।
আবার মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীদের বেশিরভাগের বয়স হইলো ৭০ উর্ধ্ব।
সেটাই যদি হয়,তাহলে তাদের জন্যই তো সবচেয়ে ভয়ের কারণ।
তারা কিন্তু বিষয়টি তত পাত্তা দেয়নি।
পরে হয়ত মিডিয়ার মাধ্যমে প্রেসার দিয়ে কামরানকে হোম কোরাইন্টাইন করা হইছে।
কিন্তু হিসেব মতে এখন তো উচিত ছিলো প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রী পরিষদকে কোরাইন্টাইন করা।
কিন্তু সেটা কিন্তু তারা হয়নি এবং হচ্ছেও না।
কারণ রাজনীতি করার কারণে তারা পুরো বিষয়টি বুঝে এবং এ কারণে তারা বিষয়টি ততটা পাত্তা দিচ্ছে না, যতটা মিডিয়ায় রটেছে।
তাহলে কি করোনা ভাইরাস বলে কিছু নেই ?
অবশ্যই আছে। কিন্তু সেটা আমাদের দেশের জন্য ভয়ের কারণ নয়।
লক্ষ্য করুণ- শীত প্রধান দেশগুলোতে শীতকালে ফ্লূ টাইপের রোগগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে। যেমন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৮০-৯০ হাজার লোক ফ্লুতে মারা যায় (https://bit.ly/395wzEn)। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ০.০৩% লোক প্রতি বছর মারা যায়। কিন্তু তাদের জন্য করোনা ভাইরাস ভয়ের কারণ, সাধারণ ফ্লু এর তুলনায় করোনায় মৃত্যুহার ১০ গুন বেশি। অর্থাৎ তারা আশঙ্কা করতেছে আমেরিকায় এ বছর করোনায় মারা যেতে পারে ৮-৯ লক্ষ লোক। এর কারণে ইউরোপ-আমেরিকায় করোনা নিয়ে এত লাফ-ঝাপ শুরু হইছে। আর তাছাড়া ঐ দেশগুলোতে বৃদ্ধদের সংখ্যা অনেক বেশি, মোট জনসংখ্যার ৪ ভাগর ১ ভাগ, তাই তাদের জন্য ভয়ের কারণ বেশি। কিন্তু আমাদের দেশে এত ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। এর প্রধান কারণ- বাংলাদেশ গরম বা নাতিশীতোষ্ণ দেশ এবং বাংলাদেশে শীতকালও শেষ। আর তাছাড়া বাংলাদেশে বৃদ্ধের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬%। বাংলাদেশে যদি সত্যিই করোনা আসতো তবে অনেক আগেই আসতো। আপনি বাংলাদেশের জেলা হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে খবর নিন, হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ ধরনের ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর ভীড় নেই। এবং করোনা আবির্ভাবের ১২৫ দিনের মধ্যে যেহেতু আসে নাই, এবং হাসপাতালগুলোতেও বিন্দুমাত্র ভীড় নাই, সুতরাং এটা নিয়ে ভয়ের কোন কারণ থাকতে পারে না।
অনেকে বলছে, গরমের দেশগুলোতে তো করোনা এসেছে ।
হ্যা এসেছে, কিন্তু মৃত্যুর পরিমাণ যদি দেখেন, তবে দেখবেন, গরমের দেশগুলোতে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তির মাধ্যমে হয়ত করোনা এসেছে, কিছু রোগী সংখ্যাও বেড়েছে, কিন্তু মৃত্যু কিন্তু বাড়েনি (https://bit.ly/2UohVCz)। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং সব গরমের দেশের জন্যই সত্য।
সম্প্রতি এটা নিয়ে একাত্তর টিভিও রিপোর্ট করছে, যেখানে চীনা গবেষকদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মূলত শীত অঞ্চলের জন্য। এ কারণে এটা জনবহুল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে না গিয়ে শীত প্রধান ইউরোপ-আমেরিকার দিকে চলে গিয়েছে। এশিয়ার দিকে গরম হওয়ায় তাপমাত্রার কারণে ভাইরাসটি অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। (https://bit.ly/3b89mCM)
(চলবে)