প্রবাসী যে সব বাংলাদেশেী আসতেছেন, তাদের সাথে অমানবিক ব্যবহার কখনই ঠিক না।

এখনো ১৩% মানুষের সম্বল কেরোসিনের বাতিপ্রবাসী যে সব বাংলাদেশেী আসতেছেন, তাদের সাথে অমানবিক ব্যবহার কখনই ঠিক না।
তারা এতদিন কষ্ট করে ইনকাম করে দেশে পাঠাইছে, তখনই তো ভালোই ছিলো।
এখন যখন বিপদে পড়ে দেশে আশ্রয় চাইছে, তখন নিজে বাচতে তাদেরকে দূর দূর করতেছে,
তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা তো পুরোটাই স্বার্থবাদী কাজ।
হ্যা তাদের প্রবেশের সময় সবাইকে পর্যাপ্ত চেকআপ করা হোক,
যদি কেউ আক্রান্ত হোন, তবে তাকে চিকিৎসায় পাঠানো হোক।
কিন্তু তার বেশি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি কখনই ঠিক না।
বাংলাদেশের অনেক মানুষকে ফেসবুকে দেখলাম-
প্রবাসীদের উপর বাড়াবাড়ি করার কথাও বলছে।
আসলে এরা বাস্তবতা বর্জিত।
তারা বুঝতেছে না, ইতালিতে লক ডাউন করার পর কি ভয়ানক অবস্থা তৈরী হয়েছে,
সেখানে কমপক্ষে ২ মাসের খাদ্য মজুদ করতে হয়েছে।
কিন্ত যাদের ইনকাম কম, তাদের পক্ষে সেটা সম্ভব হয় নাই।
ফলে না খেয়ে সেখানে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
বাধ্য হয়ে শুধু জীবন বাচাতে তারা দেশে ফিরেছেন।
বাঙালী এতটাই ফ্যান্টাসি প্রিয়, তারা নিজেরাই ইতালিকে দেখে নিজেদের লক ডাউন করতে চাইছে, আবার লক ডাউন ইতালি ফেরত বাঙালীদের দূর দূর করতেছে। এরা নিজেরাই জানে না কি করছে।
তবে এখানে ইসলামীক ধর্মবেত্তাদেরও সচেতন হয়ে বার্তা দেয়া দরকার।
অনেক ধর্মবেত্তা ইতিমধ্যে ফতওয়া দিয়েছে-
“কোন মহামারি আক্রান্ত এলাকা থেকে কেউ যেন না আসে।”
আরে ভাই তোমার ধর্ম তো করোনাকে মহামারি ঘোষণা দেয় নাই, এটাকে মহামারী ঘোষণা দিছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু।
তোমার ধর্ম সূত্রে মতে, করোনা তো সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে জুলুমবাজদের প্রতি শাস্তি, যার পরিভাষা গজব।
আর ধর্মে দেখা যায়, কোন এলাকায় গজব পড়লে হলে সেখান থেকে মুসলমানদের সরে যাওয়ার কথা বলা হইছে, সেখানে বসে থাকতে বলা হয় নাই।
সত্যিই যদি এটা সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে শাস্তি বা গজব হয়, তবে বাংলাদেশীরা সেখান চলে এসে তো ভুল কিছু করেন নাই, ঠিকই করেছেন। তাহলে কোন যুক্তিতে তাদের কষ্ট দিচ্ছেন ?? এটা ঠিক না।
আসলে আমি এইজন্য বাঙালীদের মধ্যে গুজব বা ভীতি সৃষ্টির বিরুদ্ধে।
এরা গুজব পেলে হিংস্র হলে যায়।
কয়েকদিন আগে ছেলে ধরা গুজবে মানুষ পিটিয়ে মেরেছে।
এখন যদি করোনা গুজব ছড়িয়ে দেয়া যায়, দেখা যাবে-
-করোনার আক্রান্ত হয়েছে এমন অজুহাতে মানুষ পিটিয়ে মারা শুরু হইছে,
-খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ তৈরী শুরু হয়েছে।
করোনায় যদি ৫ জন মারা যায়, তখন সেই গুজবে মারা যাবে ৫ লক্ষ লোক।
শুধু তাই না চিকিৎস বা নার্সদের মধ্যে গুজব তৈরী হলে হাসপাতালগুলো চিকিৎসক শূণ্য হয়ে যাবে (একটা মহল সেই কাজটি করতে চাইছে)।
ফলে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে অসংখ্য লোক।
তখন কি করবেন ? তাই ভীতি ছড়ানো বা নিজেকে ভীতিগ্রস্ত করা থেকে সাবধান !!