ইসকন পেয়াঁজ খায় না, আমরাও পেয়াঁজ খাবো না

ইসকন পেয়াঁজ খায় না, আমরাও পেয়াঁজ খাবো না
অনেক মুসলমান কাঁচা পেয়াজ না খেলেও প্রায় সব মুসলমান রান্না করা পেয়াঁজ খায়। কিন্তু ইসকন বা উগ্রহিন্দুদের একটা বড় অংশ পেয়াঁজ খায় না, সেটা কাঁচা হোক অথবা রান্নাকরা হোক। তাদের ধর্মমতে পেয়াজ খাওয়া অভক্ষ্য ও নিষিদ্ধ।
(সূত্র: ক) https://tinyurl.com/y2tl6wn4, খ) https://bit.ly/2q2PYVz, গ) https://bit.ly/2NqaEis)।
মূলত উগ্রহিন্দুরা মুসলমানদের গরুর মাংশ খাওয়াকে যেমন নিন্দা করে, ঠিক একইভাবে অনেক আগে থেকেই পেয়াঁজ খাওয়াকেও নিন্দা করে আসছিলো। প্যাঁজখোর শব্দটা মুসলমানদের নিন্দা করাতে ব্যবহৃত একটি শব্দ যা সাহিত্যে পাওয়া যায়।
ব্রিটিশ আমলের কবি ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত তার কবিতায় মুসলমানদের ব্যঙ্গ করে কবিতা লিখেছিলো-
“প্যাঁজখোর যারা তারা আহারে সন্তোষ
লোম ফুঁড়ে গন্ধ ছুটে এই বড় দোষ।”
যাই হোক, সম্প্রতি পেয়াঁজের দাম বৃদ্ধিতে অনেকে অনেক কথা বলছে। শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে রাধুনিকে রান্নায় পেয়াজ ব্যবহার করতে না করেছি বলেও অনেক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। কিন্তু গত ২৯শে অক্টোবর মিডিয়ার সামনে তিনি এ কি বললেন?
তিনি বললেন- “পেঁয়াজ ছাড়াও রান্না করা যায়, আমাদের বাসায় পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা হয়। পেঁয়াজ নিয়ে এত অস্থির হওয়ার কি আছে আমি জানি না।” (https://bit.ly/2BZqBqq)
আমার কাছে শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের সাথে পেয়াজের দাম বৃদ্ধির সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না।
“পেয়াজ ছাড়া রান্না করা যায়”, “আমার বাসায় পেয়াজ ছাড়া রান্না হয়”- এ কথাগুলোর সাথে দামবৃদ্ধির সম্পর্ক নয়, বরং রান্নায় পেয়াজ না ব্যবহারে অভ্যস্থ হওয়াকেই বেশি হাইলাইট করে।
উল্লেখ্য-
‘ইসকন ফুড ফর লাইভ’ এর মাধ্যমে প্রসাদ বিতরণের কথা সবার নজরে এসেছে।
আরো নজরে এসেছে বিভিন্ন এলাকায় ইসকনের রেস্ট্রুরেন্ট তৈরী করার কথা।
অর্থাৎ তারা চাইছে তাদের রান্নার তত্ত্ব (পেয়াজ ছাড়া রান্না) সর্বত্র ছড়িয়ে যাক।
এছাড়া আমরা দেখি, ভারতীয় মিডিয়ায় পূজা আসলেই পেয়াজ ছাড়া কিভাবে রান্না করতে হয়, তার শিক্ষা দেয়া হয়। (https://bit.ly/2JAhQqQ)
এছাড়া বাংলানিউজ২৪ নামক পোর্টালটি কিভাবে পেয়াজ ছাড়াও মজাদার রান্না করা যায়, তা শেখায়। (https://bit.ly/2oznYbR)
ঠিক সেই হিসেব মিলিয়ে শেখ হাসিনা যখন বলেন- পেয়াজ ছাড়া রান্না করা যায় কিংবা তার রান্নাঘরে পেয়াজ ছাড়াই রান্না হয়, তখন তিনি আসলে কোন মতাদর্শে বিশ্বাসী কিংবা কার মতবাদ প্রচার করছেন, সেটা নিয়ে সন্দেহ তৈরী হওয়া স্বাভাবিক।