ছাত্রলীগের ছেলেরা জুনিয়রদের থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য অনেক সময় খারাপ ব্যবহারের আশ্রয় নেয়, এটা আমি অস্বীকার করবো না। অনেক ক্ষেত্রে হয়ত মারপিটও করে।
হলের ভেতরে সেটা চড় থাপ্পরও হয় অনেক সময়।
এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে হাড়গোর ভাঙ্গার ঘটনাও ঘটে।
হলের ভেতরে সেটা চড় থাপ্পরও হয় অনেক সময়।
এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে হাড়গোর ভাঙ্গার ঘটনাও ঘটে।
কিন্তু সাধারণ ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলার কালচার এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।
কোন কিছু হলেই পিটিয়ে মেরে ফেলার কালচার এটা মূলতঃ বিজেপি কালচার।
পার্শ্ববর্তী ভারতে এটা বহুল ব্যবহৃত একটি কালচার।
বিরোধী পক্ষকে তারা হাত-পা ভাঙ্গার জন্য মারে না,
একেবারে হত্যার জন্য মারে।
আর বিজেপি যেহেতু সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, সেহেতু তাদের বিরোধীপক্ষ মূলত নিয়মিত ধর্ম-কর্ম পালন করা মুসলিমরা। বুয়েটের আবরার ছেলেটা সম্ভবত সেরকম ধার্মীক মুসলমান ছিলো। আর সেই বিজেপি কালচারটাই বাস্তবায়ন গতকালকে দেখা গেলো।
কোন কিছু হলেই পিটিয়ে মেরে ফেলার কালচার এটা মূলতঃ বিজেপি কালচার।
পার্শ্ববর্তী ভারতে এটা বহুল ব্যবহৃত একটি কালচার।
বিরোধী পক্ষকে তারা হাত-পা ভাঙ্গার জন্য মারে না,
একেবারে হত্যার জন্য মারে।
আর বিজেপি যেহেতু সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, সেহেতু তাদের বিরোধীপক্ষ মূলত নিয়মিত ধর্ম-কর্ম পালন করা মুসলিমরা। বুয়েটের আবরার ছেলেটা সম্ভবত সেরকম ধার্মীক মুসলমান ছিলো। আর সেই বিজেপি কালচারটাই বাস্তবায়ন গতকালকে দেখা গেলো।
আমার দেখা- শোভন-রব্বানী প্যানেল হয়ত দুর্নীতি করেছিলো, কিন্তু তারা কিন্তু ডাইরেক্ট ফিল্ডে মারামারি করতো না। কিন্তু লিখক ভট্টাচার্য এসেই ঘোষণা দিলো মারামারি করার। প্রকাশ্যে মারামারি করলো, চেয়ার টেনে নিলো, নানান অভদ্র আচরণ কররো। আজকাল মিডিয়া ও স্ম্যার্ট পলিটিক্সের যুগে এগুলো একদম বে-মানান। এসব অভদ্র আচরণ করা মূলত বিজেপির সংস্কৃতি। এজন্য বিজেপির এ ধরনের আচরণকে সবাই গো-মূত্রখোরদের কালচার হিসেবে ছিঃ ছিঃ করে।
বুয়েটে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার যেমন উগ্র মারামারির জন্য কুখ্যাত ছিলো,
ঠিক তেমনি ঢাবির বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসও এই মারামারির জন্য কুখ্যাত। শুভ্র জ্যোতি টিকাদার যেমন শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলতো, ঠিক তেমনি সনজিতও নিজ দলের সিনিয়র নেতাকে জনসম্মুখে পিটাতে অভ্যস্ত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিনকে সে ৮ তলা থেকে মারতে মারতে নিচে নামানোর ঘটনা সবার জানা।
ঠিক তেমনি ঢাবির বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসও এই মারামারির জন্য কুখ্যাত। শুভ্র জ্যোতি টিকাদার যেমন শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলতো, ঠিক তেমনি সনজিতও নিজ দলের সিনিয়র নেতাকে জনসম্মুখে পিটাতে অভ্যস্ত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিনকে সে ৮ তলা থেকে মারতে মারতে নিচে নামানোর ঘটনা সবার জানা।
একটি বিষয় এখন মোটামুটি শিওর, ছাত্রলীগের মধ্যে এখন ব্যাপক হারে বিজেপিপন্থী ইনফিলট্রেট করেছে। এবং সময়ের পরিক্রমায় তারা নেতৃস্থানীয় পদেও চলে এসেছে। ছাত্রলীগের সবাই খারাপ আমি এটা বলবো না, যদি সবাই খারাপ হতো, তবে একটা সংগঠন কখন টিকে থাকতে পারে না। তবে ছাত্রলীগের মধ্যে বিশেষ করে নেতৃস্থানীয় পদে এই বিজেপিপন্থীদের অনুপ্রবেশ খুব খারাপ লক্ষণ। একটা সংগঠনকে যদি ধ্বংস করে দিতে চাও, তবে তার মধ্যে এক্সট্রিমিজম প্রবেশ করিয়ে দাও, ছাত্রলীগের মধ্যে বিজেপিন্থীরা কিন্তু সেটাই করছে। সমাজের যে অংশটা ছাত্রলীগের শত্রু ছিলো না, তাদেরকেও ছাত্রলীগের শত্রু বানিয়ে দিচ্ছে। আমি ছাত্রলীগের মধ্যে থাকা সেই ভালো মহলটিকে বলবো, আপনারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন, আপনাদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করা সেই বিজেপিপন্থীদের কিক আউট করুন। সংস্কার করে বিজেপিপন্থীমুক্ত ছাত্রলীগ তৈরী করুন। শুধু দায় এড়ানো বহিষ্কার করেই শেষ রক্ষা হবে না, বরং মূল যায়গায় হাত দিতে হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নিন, নয়ত ছাত্রলীগের বিদায় ঘণ্টা বিজেপিন্থীরা দ্রুত বাজিয়ে দিবে নিশ্চিত।