ভোলায় হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বের মূল কারণ ইসকন মন্দিরের জমি

ভোলায় হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বের মূল কারণ ইসকন মন্দিরের জমি
ভোলায় হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্বের মূল কারণ ইসকন মন্দিরের জমি। ২০১৭ সালে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের ইসকনের কেন্দ্র স্বামীবাগ মন্দিরে গিয়ে বলে আসে ভোলায় একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে ইসকনের মন্দিরের জন্য যায়গা দেয়া হবে।
খবরে প্রকাশ, “বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই জন্মাষ্টমীর দিনে ভোলা জেলায় ৫ থেকে ৬ হাজার ইসকন ভক্ত মিছিল করেছেন। ইসকনের এই ভক্তদের মন্দির স্থাপনের জন্য একটি জায়গা চিহ্নিত করেছি। কিন্তু সেই জায়গার মালিকানা নিয়ে মামলা চলছে। জায়গাটি পেতে আইনি লড়াই চলছে। আশা করছি পেয়ে যাবো। যদি নাও পাই তবে অন্য জায়গায় ইসকন মন্দির স্থাপন করা হবে।” (https://bit.ly/2My7D0k)
এই বিরোধপূর্ণ জমিতেই সূচনা হয় ভোলাতে হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্ব। আর পুরো জিনিসটাতে কলকাঠি নাড়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে। (ফেসবুক আইডি-https://bit.ly/31ygJy0)
উল্লেখ্য এই বিরোধপূর্ণ জমিটি ভোলা শহরের সার্কুলার রোডে অবস্থিত। এই জমিটির মূল মালিক একজন মুক্তিযোদ্ধা। গত আগস্ট মাসে পুলিশের সহায়তায় জমিটি দখলে নিতে চায়্ ইসকন, যা সকল স্থানীয় মিডিয়া বেশ হাইলাইট হয়। (https://bit.ly/2oQaOr8)
এই ঘটনার পর তৌহিদি জনতার ব্যানারে ভোলায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবী তুলে স্থানীয় মুসলমানরা। (https://bit.ly/2MwFOVQ)
কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয় ইসকন। তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, তারা নাকি জন্মাষ্ঠমী পালনে বাধা দিয়েছে এবং পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেকে লাঞ্চিত করেছে। এই সময় তৌহিদি জনতা নেতাদের গ্রেফতারের দাবীতে তারা পুলিশ সুপারের কাছে বিচার দিয়ে আসে।(https://bit.ly/2My7PwA)
এদিকে মুসলমানদের বাধার মুখে ইসকন মন্দিরের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকায় তা চালু করতে নতুন ফন্দি আটে ইসকন। তাদের সদস্য বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্যকে দিয়ে ধর্ম অবমাননার ঘটনা সাজায় এবং মুসলিম জনতাকে উত্তেজিত করে। তাদের সম্ভবত ইচ্ছা ছিলো, যখন মুসলিম জনতা আন্দোলন করবে, সেই সুযোগে নিজেদের বাড়িঘরে নিজেরাই হামলা করে মুসলমানদের মামলা দিয়ে ফাঁসাবে। সে অনুসারে গতকালকে যখন পুলিশ-জনতা মারামারি চলছিলো তখন নিজেরাই নিজেদের মন্দির ভাংচুর করে ছবি ফেসবুক ছড়ায়। (https://bit.ly/35PKI89)
তবে সমস্যা ঘটায় মুসলমানরা। তারা তাদের প্রতিটি অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করে এবং হিন্দুদের বাসাবাড়ি বা মন্দিরের দিকে যায় না। এতে তাদের পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে যায়। তখন স্থানীয় আওয়ামীলীগের হিন্দু নেতা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে পুলিশের সহায়তায় সাধারত জনতার উপর উস্কানিমূলক হামলা চালিয়ে মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তোলে, যার ফলশ্রুতিতে এত বড় হতাহতের ঘটনার জন্ম হয়।
এ ভিডিওর (https://www.facebook.com/natunsomoylive/videos/2257841814507009) শুরুর কয়েক সেকেন্ড খেয়াল করুন, একজন সিভিল ড্রেস পরিহিত পুলিশ বা অন্যকেউ সাধারণ জনতার উপর গুলি বর্ষণ করছে। আর তাতেই ক্ষেপে উঠছে সাধারণ জনতা।
আমার ধারণা- পুলিশ বা হিন্দুরা ‘নতুন সময়’ নামক এই টিভি সাংবাদিককে ভাড়া করে এনেছিলো বিশেষ উদ্দেশ্য। তাদের নির্দেশনা অনুসারে, নতুন সময় নামক টিভিটি সেখান থেকে লাইভ শুরু করেছে, যেখান থেকে পাবলিক ক্ষেপে গিয়েছে। কিন্তু কিভাবে ক্ষেপালো সেটা প্রকাশ করেনি। পাবলিকের আক্রমণের ভিডিও সে লাইভ প্রকাশ করেছে, কিন্তু তার আগে সে লাইভ করেনি। এই টিভি সাংবাদিকের মূল উদ্দেশ্য ছিলো মুসলমানরা পুলিশের উপর হামলা করবে সেটা ভিডিও করে রাখা, যা পরবর্তীতে তাদের মূল উদ্দেশ্যে সার্ভ করবে। এই সাংবাদিকের আচরণ ছিলো সন্দেহজনক, সে দুই-একটা পুলিশ আহত হয়েছে এটা বেশি হাইলাইট করে, অথচ শতাধিক জনতা আহত হলো, সেদিকে সে যায়নি। সে যদি নিরপেক্ষ হতো, তবে উভয় পক্ষের ভিডিও করতো। কিন্তু সে নিরপেক্ষ নয় বলে সে শুধু পুলিশের আহত হওয়াকে হাইলাইট করেছে, কিন্তু সাধারণ জনতাকে এড়িয়ে গিয়েছে। এ দ্বারা প্রমাণ হয়, নতুন সময়ের এই সাংবাদিককে আনাই হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্য, যা পূর্ব পরিকল্পিত।