আমি আগের সট্যাটাসে কি বলেছিলাম, মিলিয়ে দেখুন তো ঠিক আছে কি না- “চিকিৎস বা নার্সদের মধ্যে গুজব তৈরী হলে হাসপাতালগুলো চিকিৎসক শূণ্য হয়ে যাবে। একটা মহল সেই কাজটি করতে চাইছে। ফলে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে অসংখ্য লোক। (https://bit.ly/33w69up)
খবর-
করোনা আতঙ্কে ঢাকা মেডিকেলে কানাডা ফেরত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাকা, ১৫ মার্চ- কানাডার সাস্কাচুয়ান প্রদেশের রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের শিক্ষার্থী নাজমা আমিন (২৪) গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলাজনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেন।
জানা যায়, গত সোমবার কানাডা থেকে নাজমা আমিন ঢাকায় আসেন। বাসায় ঢুকেই তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করেন। কিছুই খেতে পারছিলেন না। যখনই তাকে কিছু খাওয়ানো হতো তখনই তিনি ব্যথায় কাতরাতে থাকতেন। শুক্রবার রাতে তাকে মোহাম্মদপুরস্থ তাদের বাড়ির কাছের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ঐ হাসপাতালের ডাক্তাররা জানান, তাকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হবে যেটা ঐ হাসপাতালে নেই। নাজমার পিতা আমিন উল্লাহ জানান, রাতে কাছাকাছি আইসিইউ সম্বলিত কোন হাসপাতাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আমিন উল্লাহ জানান, হাসপাতালে নাজমাকে স্যালাইন এবং অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। এরিমধ্যে সকাল ৮টায় নার্সদের শিফট বদল হয়ে যায়। সকাল ১১টায় একজন নার্স এসে তাকে জিজ্ঞেস করে নাজমার কি সমস্যা হয়েছিল। আমিন উল্লাহ তাকে বলেন, সে কানাডা থেকে এসেছে, তার গায়ে জ্বর। সাথে সাথেই নার্স চিৎকার করে দৌঁড়াতে থাকে এবং বলতে থাকে কানাডা থেকে যে রোগী এসেছে সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পুরো ওয়ার্ড জুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়, আতঙ্কে কেউ তার কাছে আসতে চাইলো না। পরে আইইডিসিআর থেকে একজন প্রতিনিধি এসে পরীক্ষা করে দেখলেন করোনা নয়; নাজমা gastrointestinal complications এ ভুগছেন।
অবশেষে বেলা সাড়ে ১২টায় হাসপাতালের একজন ডাক্তার এগিয়ে এলেন। ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। তিনি নাজমার শরীরে এন্টিবায়োটিক পুশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাজমা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। (https://bit.ly/38RPK4p)
পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তার এবং নার্সদের অবহেলায় নাজমার মৃত্যু হয়েছে। একটু সেবা পেলে হয়তো নাজমা বাঁচতে পারতেন বলে মনে করেন তার পরিবার।
সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম জামাল বলেন- “যখন মেয়েটির কানাডা প্রত্যাবর্তনকারী প্রথম কথা প্রকাশিত হয়েছিল তখন ওয়ার্ডটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পডড়েছিল। এমন মৃত্যু কারো জন্য মান্য নয়।’ (https://bit.ly/33lhFsc)
সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম জামাল বলেন- “যখন মেয়েটির কানাডা প্রত্যাবর্তনকারী প্রথম কথা প্রকাশিত হয়েছিল তখন ওয়ার্ডটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পডড়েছিল। এমন মৃত্যু কারো জন্য মান্য নয়।’ (https://bit.ly/33lhFsc)