করোনার অজুহাতে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে যেভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নামক অ্যালকোহল (মদ) মিশ্রিত বস্তু ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে, সেটা আমার কাছে ভালো ঠেকছে না। অবাক হলাম- আজকে যদি ভারতে বলা হতো করোনা থেকে বাচতে গরুর চর্বি মাখতে হবে, তবে অনেক হিন্দুই হয়ত এর বিরুদ্ধে অবজেকশন দিতো, কিন্তু বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানকে হাত অ্যালকোহল মিশ্রিত করে রাখতে বলা হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে এর বিরুদ্ধে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখছি না। বরং তারা সেটা চাহিদা বাড়িয়ে দাম কয়েকগুন করে দিয়েছে।
আমি যতটুকু বুঝি-
১) হ্যান্ড স্যানিটাইজারে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল আছে। আর এই দ্রব্যটি যেভাবে ব্যবহার করে (ব্যবহারের পর হাত ধুইতে হয় না), তাতে অবশ্যই একজনের হাত অ্যালকোহলযুক্ত হয়ে যাবে। এতে ইচ্ছা অনিচ্ছায় তার মুখে অ্যালকোহল যাবে। আবার আমার জানা মতে কারো শরীর বা কাপড়ে অ্যালকোহল থাকলে ইসলাম ধর্মমতে সে নামাজ পড়তে পারবে না।
২) যে সমস্ত হ্যান্ডওয়াশে অ্যালকোহল মিশ্রিত আছে (করোনার কারণে অনেকে অ্যালকোহল মিশ্রিত হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে বলছে) সেগুলো ব্যবহার করার পর যদি খুব ভালোভাবে পানি দিয়ে সেটা ধৌত না করা হয়, তবে তার অবশিষ্ট অংশ হাতে থেকে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। সেটাও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মত দেহকে অ্যালকোহলযুক্ত করে ফেলবে।
১) হ্যান্ড স্যানিটাইজারে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল আছে। আর এই দ্রব্যটি যেভাবে ব্যবহার করে (ব্যবহারের পর হাত ধুইতে হয় না), তাতে অবশ্যই একজনের হাত অ্যালকোহলযুক্ত হয়ে যাবে। এতে ইচ্ছা অনিচ্ছায় তার মুখে অ্যালকোহল যাবে। আবার আমার জানা মতে কারো শরীর বা কাপড়ে অ্যালকোহল থাকলে ইসলাম ধর্মমতে সে নামাজ পড়তে পারবে না।
২) যে সমস্ত হ্যান্ডওয়াশে অ্যালকোহল মিশ্রিত আছে (করোনার কারণে অনেকে অ্যালকোহল মিশ্রিত হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে বলছে) সেগুলো ব্যবহার করার পর যদি খুব ভালোভাবে পানি দিয়ে সেটা ধৌত না করা হয়, তবে তার অবশিষ্ট অংশ হাতে থেকে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। সেটাও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মত দেহকে অ্যালকোহলযুক্ত করে ফেলবে।
হ্যান্ড স্যানেটাইজার নামক অ্যালকোহল দিয়ে হাত ধুলেই মানুষ করোনা থেকে বেচে যাবে, আমি এটা বিশ্বাস করি না, এগুলো সব কর্পোরেট ধান্ধা। কিন্তু একটি সংখ্যাগরিষ্ট জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসের বিপক্ষে গিয়ে কিভাবে করে কর্পোরেটরা এগুলোর প্রচার চালায়, সেটি আমাকে অবাক করে।
অ্যালকোহল ছাড়াও আরো অনেক জীবানুনাশক থাকতে পারে। যেমন হোয়াইট ভিনেগার দিয়ে হ্যান্ড ওয়াশ বা সানেটাইজার বানালে সে ইসলাম ধর্মমতে হালালও হবে আবার জীবানুও ধ্বংস করবে। ইতিমধ্যে অনেক দেশে করোনার জীবানু ধ্বংসে হোয়াইট ভিনেগারের ব্যবহার কথা ওয়েবসাইটে দেখেছি। আমার মনে হয় বাংলাদেশেও হ্যান্ড স্যানেটাইজার বা ওয়াশে অ্যালকোহলের পরিবর্তে হোয়াইট ভিনেগার দেয়া যেতে পারে। এতে ধর্মীয় বিরুদ্ধচারণও হবে না আবার জীবানু ধ্বংসেও কার্যকর হবে এবং খরচও অনেক সাশ্রয়ী হবে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব নিয়েই ভেবে দেখা দরকার।