এক লোক খুব অপকর্ম করতো।

জলে জ্বালাই বাতিএক লোক খুব অপকর্ম করতো। অন্যায় দুর্নীতি করে বহু টাকা কামাই করেছিলো। সেই টাকা দিয়ে সে বিরাট এক বাড়ি তৈরী করলো।
লোকটা ভাবলো সে খারাপ কাজ করলেও পাবলিকের সামনে তার বাড়ির একটা সুন্দর অবস্থান তৈরী করতে হবে।
এজন্য প্রথমে সে হজ্জ করে আসলো। এরপর তার ঐ নতুন বাড়ির সামনে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলো, যেখানে লেখা হলো- হাজীর বাড়ি।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কাজ বোঝা দায়। শুরুতেই ঐ বাড়িতে আশ্চর্যজনকভাবে ইদুরের উৎপাত শুরু হলো। এত ইদুর যে পুরো এলাকার মানুষ ইদুরের কথা জেনে গেলে। দেখা গেলো জনমুখে ঐ বাড়িটি তখন প্রচলিত হয়ে গেলো- ‘ইদুরের বাড়ি’ হিসেবে।
আওয়ামীলীগ তার রাজনৈতিক ফেস ভালো করার জন্য এ বছরটিকে তৈরী করতে চেয়েছিলো মুজিববর্ষ হিসেবে। কিন্তু এখানেও সৃষ্টিকর্তার কাজ বুঝা দায় ! আশ্চর্যজনকভাবে এ বছরে করোনা ভাইরাস ব্যাপক উৎপাত শুরু করলো। উৎপাত এমন হলো যে মুল ১৭ই মার্চের অনুষ্ঠানই পণ্ড হয়ে গেলো। বিষয়টি এমন দাড়ালো- এই বছরকে মানুষ মুজিব বর্ষ নামে চিনবে না, চিনবে একটি ভাইরাসের নামে, অর্থাৎ করোনা ভাইরাস বর্ষ নামে।
আসলে কৃত্তিমভাবে আসলে কোন কিছুই স্থায়ী যায় না।
আজ থেকে ৪৯ বছর আগে পাকিস্তানী ক্ষমতালোভী শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে নিজেরা কৃত্তিমভাবে জনস্থায়ীত্ব চেয়েছিলো।
কিন্তু ঐ ক্ষমতালোভী শাসকরা স্থায়ী হয়নি, বঙ্গবন্ধু স্থায়ী হয়ে গেছেন, কারণ তার মধ্যে কৃত্তিমতা ছিলো না।
আবার এখন আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক ও ব্যক্তি ফায়দা নিতে কৃত্তিম মুজিববর্ষ চালু করলো।
কিন্তু সেটাও স্থায়ী হলো না। এটা বঙ্গবন্ধুর দায় নয়, ক্ষমতালোভী আওয়ামীলীগের দায়।