“করোনা টেস্টের সুযোগ বাংলাদেশে নাই, তাই কত মানুষ করোনায় আক্রান্ত, এই তথ্য আমরা জানতেছি না”
আমার মনে হয় এই কথাটার মধ্যেই করোনার মূল গোমর লুকায় আছে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সবাইকে করোনা স্টেটের সুযোগ হচ্ছে না, বড় বড় রাষ্ট্রও সেটা করতে পারতেছে না। আর এই না সুযোগ হওয়ায়, সেই অজ্ঞতার সুযোগ নিচ্ছে একটি বিশেষ মহল, যেই বিশেষ মহলটির নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বজুড়ে অবস্থিত। এরা দেশ ও জনগণের অজ্ঞতাকে পূজি করে লড ডাউনের মত ভয়ঙ্কর ডিসিশন চাপিয়ে দিচ্ছে। যদি প্রকৃত ডাটা প্রকাশ পেতো, তবে কখনই করোনা নাম দিয়ে লক ডাউনের মত বিধ্বসী সিদ্ধান্ত নিতে পারতো না।
কয়েকদিন আগে কোরোনা নিয়ে একটি টিভি টকশোতে ডা. এ এস এম আলমগীর বলেছেন- যদি ১ লক্ষ করোনা আক্রান্ত রুগী থাকে, তবে এর মধ্যে ৮২ হাজারকে হাসপাতালেই আসতে হবে না। আর বাকি ১৮ হাজারকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এবং সেই ১৮ এর ৩% অর্থাৎ ৫৪০ জনের ক্রিটিকাল কেয়ার লেগেছে।
(https://youtu.be/SfxU8yJSXls)
(https://youtu.be/SfxU8yJSXls)
ধরে নিতে পারি, এই ১ লক্ষ রুগি হচ্ছে টেস্টিং করোনা পজিটিভ রুগী।
অন্যদিকে, চীনের একটি গবেষণা বলছে, ৩ জনে ১ জন করোনা রুগী লক্ষণ প্রকাশ করে, বাকি ২ জনের মধ্যে কোন লক্ষণই প্রকাশ পায় না। (https://bit.ly/2xlCasU)
তারমানে ১ লক্ষ যদি টেস্টিং করোনা পজিটিভ হয়, তবে মোট রুগী সংখ্যা ৩ লক্ষ।
অন্যদিকে, চীনের একটি গবেষণা বলছে, ৩ জনে ১ জন করোনা রুগী লক্ষণ প্রকাশ করে, বাকি ২ জনের মধ্যে কোন লক্ষণই প্রকাশ পায় না। (https://bit.ly/2xlCasU)
তারমানে ১ লক্ষ যদি টেস্টিং করোনা পজিটিভ হয়, তবে মোট রুগী সংখ্যা ৩ লক্ষ।
অর্থাৎ মোট রুগি সংখ্যা যদি ৩ লক্ষ হয়, তবে ক্রিটিকাল কন্ডিশনের রুগীর সংখ্যা ৫৪০। শতকরা হিসেবে দাড়াচ্ছে করোনা হইলে ক্রিটিকাল কন্ডিশন হইতে পারে ১০০ জনে ০.১৮%।
অর্থাৎ ১ হাজার যদি করোনা আক্রান্ত হয় তবে ক্রিটিকাল কন্ডিশন হতে পারে সর্বোচ্চ ২ জন।
অর্থাৎ ১ হাজার যদি করোনা আক্রান্ত হয় তবে ক্রিটিকাল কন্ডিশন হতে পারে সর্বোচ্চ ২ জন।
এখানে ৩টি বিষয় লক্ষণীয়-
১) কোন এলাকায় করোনা আক্রান্ত হলে সবাই করোনা আক্রান্ত হচ্ছে না। হয়ত ৫ হাজার জনসংখ্যা আছে, এর মধ্যে ১ হাজার লোকের করোনা হলো।
২) যে ২ জন ক্রিটিকাল কন্ডিশন হচ্ছে, তারাই কিন্তু মারা যাচ্ছে না, হয়ত ২ জনে ১ জন মারা গেলো।
৩) ইতালিতে করোনায় মৃতের গড় বষয় ৭৮ বছর। আর বাংলাদেশে ৭২ বছরের বেশি, যা বাংলাদেশের গড় আয়ুর বেশি। আবার বাংলাদেশে যারা মারা যাচ্ছে তাদের হয়ত হার্টে সমস্যা, নয়ত কিডনীতে সমস্যা, নয়ত লিভারে সমস্যা এমন অনেক রোগে আগে থেকেই ভুগছিলো।
১) কোন এলাকায় করোনা আক্রান্ত হলে সবাই করোনা আক্রান্ত হচ্ছে না। হয়ত ৫ হাজার জনসংখ্যা আছে, এর মধ্যে ১ হাজার লোকের করোনা হলো।
২) যে ২ জন ক্রিটিকাল কন্ডিশন হচ্ছে, তারাই কিন্তু মারা যাচ্ছে না, হয়ত ২ জনে ১ জন মারা গেলো।
৩) ইতালিতে করোনায় মৃতের গড় বষয় ৭৮ বছর। আর বাংলাদেশে ৭২ বছরের বেশি, যা বাংলাদেশের গড় আয়ুর বেশি। আবার বাংলাদেশে যারা মারা যাচ্ছে তাদের হয়ত হার্টে সমস্যা, নয়ত কিডনীতে সমস্যা, নয়ত লিভারে সমস্যা এমন অনেক রোগে আগে থেকেই ভুগছিলো।
অর্থাৎ বিষয়টি এমন দাড়াচ্ছে-
৫ হাজার জনসংখ্যার একটি গ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে হয়ত ১ জন অতি রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ মারা গেলো, এরপর মৃত ব্যক্তির লাশের ছবি ভিডিও করে ৫ হাজার লোককে ৫০ বার করে দেখানো হলো। এতে ঐ ৫ হাজার লোক ভয় পেয়ে ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে থাকলো বা লক ডাউন খেলো।
৫ হাজার জনসংখ্যার একটি গ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে হয়ত ১ জন অতি রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ মারা গেলো, এরপর মৃত ব্যক্তির লাশের ছবি ভিডিও করে ৫ হাজার লোককে ৫০ বার করে দেখানো হলো। এতে ঐ ৫ হাজার লোক ভয় পেয়ে ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে থাকলো বা লক ডাউন খেলো।
অথচ আশার কথা ছিলো-
এই যে ১ হাজার লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থ হয়ে উঠলো, এতে কিন্তু তাদের শরীরে করোনা প্রতিরোধে একটি শক্তি তৈরী হলো, অর্থাৎ তারা নিজেরা এক একজন করোনা বিরোধী মেশিন হয়ে উঠলো, অর্থাৎ তার শরীরের কাছে করোনা ভাইরাস আসলেই উল্টো ভাইরাসটিকে সে মেরে ফেলবে। অর্থাৎ কিছুদিনের মধ্যেই করোনা ভাইরাস ঐ এলাকা থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
এই যে ১ হাজার লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থ হয়ে উঠলো, এতে কিন্তু তাদের শরীরে করোনা প্রতিরোধে একটি শক্তি তৈরী হলো, অর্থাৎ তারা নিজেরা এক একজন করোনা বিরোধী মেশিন হয়ে উঠলো, অর্থাৎ তার শরীরের কাছে করোনা ভাইরাস আসলেই উল্টো ভাইরাসটিকে সে মেরে ফেলবে। অর্থাৎ কিছুদিনের মধ্যেই করোনা ভাইরাস ঐ এলাকা থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
কিন্তু কথা হলো- এই যে আপনি ৫ হাজার লোককে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখলেন ১ মাস, এতে তাদের যে আর্থিক ক্ষতি হলো, খাবারের দাম বেড়ে গেলো, মানুষ ভীত হয়ে হার্ট এ্যাটাক করে মারা গেলো, চিকিৎসকরা ভয় পেয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করাতে রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলো, বহু লোক বেকার হয়ে আত্মহত্যা করলো, সংসারে আর্থিক অশান্তি হয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় প্রাণ গেলো, দরিদ্রতা সামাল দিতে গিয়ে ডাকাতি করে মানুষ হত্যা হলো, সব মিলিয়ে দেখা গেলো মৃতের সংখ্যা হয়েছে অনেক বেশি এবং ৫ হাজার লোকের মধ্যে ৫ হাজার লোকই কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।