বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে কেন হত্যা করা হলো ?

বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে কেন হত্যা করা হলো ?
অনেকে হয়ত বলবে- ভারতের সাথে চুক্তির বিরোধীতা করার কারণে।
কিন্তু খুনিদের জবানবন্দিতে তো বের হয়েছে-
আবরার অনেক আগে থেকেই তাদের টার্গেটে ছিলো, এবং সপ্তাহ খানেক আগেই তাকে মারার পরিকল্পনা করা হয়। এবং ফাহাদের ফেসবুকে লেখালেখি ছিলো তার প্রতি শ্রত্রুতা পোষনের কারণ।
কিন্তু- ফাহাদের যে স্ট্যাটাসকে সবাই পূজি করছে, সেই স্ট্যাটাসটা তো দেয়া হয়েছিলো মৃত্যুর মাত্র ১ দিন আগে। তাহলে তার আগে কি লিখতো সে ?
ফাহাদের প্রোফাইল ঘেটে বুঝা যায়, সে অনেক আগে থেকেই লেখালেখি করতো, কিন্তু সেটা অনলি ফ্রেন্ড বা গ্রুপ ভিত্তিক, যা সাধারণ মানুষ দেখতে পারতো না। এবং ঐ ‘ওনলি ফ্রেন্ড’ ও গ্রুপ ভিত্তিক লেখালেখির কারণেই মূলত তার প্রতি শত্রুতা পোষণ করা হয়েছে।
কথা হতে পারে- সেই ওনলি ফ্রেন্ড লেখাগুলো কি ?
এখানে ফাহাদের একটি লেখা আমি পেয়েছি (ছবিতে),
যা ২০১৫ সালের। যা, বাংলাদেশে মুসলমানরা যে হিন্দুদের পূজায় অংশ গ্রহণ করে,
সে সেটার বিরুদ্ধে লিখেছে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনার কথা চিন্তা করে পূজায় যেতে বারন করেছে।
তাহলে যারা এতক্ষণ বলছিলাম- শুধু ভারত বিরোধীতার কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে,
তাদের কথা কিন্তু সত্য হচ্ছে না। শুধু ভারত বিরোধীতা নয়, বরং হিন্দুত্ববাদ অনুপ্রবেশের বিরোধীতাও সে করতো এবং সেখানে তার অবস্থান বেশ শক্ত ছিলো।
সত্যি বলতে-
বর্তমান সময়ে অবশ্য ভারত বেছে নিয়েছে উগ্রহিন্দুত্ববাদ।
এবং সেটার উপর নির্ভর করেই সে তার আগ্রাসীপনা বিস্তার লাভ করছে।
তাই ভারতীয় আগ্রাসান আর উগ্রহিন্দুত্ববাদ (সেটা বাংলাদেশে হলেও) আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।
এবং বাংলাদেশ হোক আর ভারত হোক উভয় স্থানের উগ্রহিন্দুত্ববাদী লক্ষ্য এক- অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা।
আবরার মূলত- সেই হিন্দুত্ববাদ তথা অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা উভয়ের বিরোধী ছিলো।
এবং সম্ভবত সেই সূত্র ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তাই যারা প্রচার করছে- ``ধর্মীয় বিষয় আনার দরকার নাই”, “বাংলাদেশের হিন্দুরা খুব ইনোসেন্ট”, “ফাহাদের মৃত্যুর পেছনে ভারতীয় আগ্রাসীভাব বা ছাত্রলীগের রাজনীতি জড়িত”,
তাদের বলতে চাই- আপনারা আপনাদের অবস্থানের ব্যাপারে আরেকটু নিশ্চিত হয়ে আসুন।