আবরার হত্যাকাণ্ড : ছাত্রলীগ আর্টিফিশিয়াল ফেস, রিয়েল ফেস ‘অমিত সাহা’ -২
কেন অমিত সাহা রিয়েল ফেস ?
এটা বুঝতে হলে, প্রথমে বুঝতে হবে-
-আবরারকে কেন হত্যা করা হলো ?
উত্তর- তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য। যা ইতিমধ্যে পুলিশ, ছাত্রলীগসহ অনেকেই স্বীকার করেছে।
-স্ট্যাটাসে কি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কিছু ছিলো ?
উত্তর- না। ছিলো ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে।
-স্ট্যাটাস যে ভারতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে, প্রথম এই অভিযোগটা নির্ণয় করেছিলো কে ?
উত্তর – অমিত সাহা। (সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেট টিভি)
অর্থাৎ আবরারের স্ট্যাটাস ছিলো ভারতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং সেই অভিযোগটা নির্ণয় করেছিলো অমিত সাহা। অর্থাৎ আবরার ছিলো ভারতবিরোধী, কিন্তু সে ভারত বিরোধীতারাকে অমিত সাহা তার সহযোগী মদ্যপ ছাত্রলীগ সদস্যদের কাছে তুলে দিয়েছিলো তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শবিরোধী ‘শিবির’ নামে। অথ্যাৎ নিজের শত্রুকে অন্যের শত্রু বলে চালিয়ে দিয়ে, অন্যকে দিয়ে নিজের শত্রুকে দমন করা, যা বর্তমানে ইহুদীদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
এটা বুঝতে হলে, প্রথমে বুঝতে হবে-
-আবরারকে কেন হত্যা করা হলো ?
উত্তর- তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য। যা ইতিমধ্যে পুলিশ, ছাত্রলীগসহ অনেকেই স্বীকার করেছে।
-স্ট্যাটাসে কি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কিছু ছিলো ?
উত্তর- না। ছিলো ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে।
-স্ট্যাটাস যে ভারতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে, প্রথম এই অভিযোগটা নির্ণয় করেছিলো কে ?
উত্তর – অমিত সাহা। (সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেট টিভি)
অর্থাৎ আবরারের স্ট্যাটাস ছিলো ভারতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং সেই অভিযোগটা নির্ণয় করেছিলো অমিত সাহা। অর্থাৎ আবরার ছিলো ভারতবিরোধী, কিন্তু সে ভারত বিরোধীতারাকে অমিত সাহা তার সহযোগী মদ্যপ ছাত্রলীগ সদস্যদের কাছে তুলে দিয়েছিলো তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শবিরোধী ‘শিবির’ নামে। অথ্যাৎ নিজের শত্রুকে অন্যের শত্রু বলে চালিয়ে দিয়ে, অন্যকে দিয়ে নিজের শত্রুকে দমন করা, যা বর্তমানে ইহুদীদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
কেন অমিত সাহা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ?
কারণ- ছাত্রলীগকে যদি আপনি শুধু দোষ দেন, তবে তা সর্বোচ্চ ছাত্রলীগ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে। আওয়ামীলীগ প্রয়োজনে ১০ জন ছাত্রলীগকে ফাসির আদেশ দিয়ে পরিবেশ ঠাণ্ডা করে ফেলবে। কিন্তু যখনই আপনি অমিতকে দোষী করবেন, তখন তা সিরিয়াল মত অমিত সাহা থেকে ভারতের সাথে চূক্তি পর্যন্ত আসবে। তখন আঘাতটা পড়বে ভারতীয় অধিপত্যবাদের উপর। ডিস্ট্রার্ব হবে বাংলাদেশে তৈরী হতে থাকা ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে। কিন্তু যতক্ষণ আপনার আক্রমণ হবে ছাত্রলীগ, ততক্ষণ ভারতীয় ভারতীয় আধিপত্যবাদ থাকবে নিরাপদ। সেখানে আঘাতটা আসবে না।
কারণ- ছাত্রলীগকে যদি আপনি শুধু দোষ দেন, তবে তা সর্বোচ্চ ছাত্রলীগ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে। আওয়ামীলীগ প্রয়োজনে ১০ জন ছাত্রলীগকে ফাসির আদেশ দিয়ে পরিবেশ ঠাণ্ডা করে ফেলবে। কিন্তু যখনই আপনি অমিতকে দোষী করবেন, তখন তা সিরিয়াল মত অমিত সাহা থেকে ভারতের সাথে চূক্তি পর্যন্ত আসবে। তখন আঘাতটা পড়বে ভারতীয় অধিপত্যবাদের উপর। ডিস্ট্রার্ব হবে বাংলাদেশে তৈরী হতে থাকা ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে। কিন্তু যতক্ষণ আপনার আক্রমণ হবে ছাত্রলীগ, ততক্ষণ ভারতীয় ভারতীয় আধিপত্যবাদ থাকবে নিরাপদ। সেখানে আঘাতটা আসবে না।
এটা কি অমিত সাহা’র প্রতি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী ?
সম্প্রদায়েদের বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভরকৃত দৃষ্টিভঙ্গী বলতে পারেন। কারণ হিন্দু সেই ব্যক্তি, যে হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে। অপরদিকে হিন্দু ধর্মের একটি কার্যক্রম বলতে পারেন ‘অখণ্ড ভারত’ প্রতিষ্ঠা। তাই যে কোন হিন্দু ধর্মীক সেটা ভারতীয় হোক আর বাংলাদেশী হোক অখণ্ড ভারতের পক্ষে কাজ করবে এবং অখণ্ড ভারত বিরোধী যে কোন কার্যক্রমের বিরোধীতা করবে। যেহেতু অমিত সাহা একজন ধার্মীক হিন্দু, সেহেতু এই কাজটা যে ধর্মীয় কাজের অংশ হিসেবেই করবে, এটা নিদ্বির্ধায় মেনে নেয়া যায়।
সম্প্রদায়েদের বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভরকৃত দৃষ্টিভঙ্গী বলতে পারেন। কারণ হিন্দু সেই ব্যক্তি, যে হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে। অপরদিকে হিন্দু ধর্মের একটি কার্যক্রম বলতে পারেন ‘অখণ্ড ভারত’ প্রতিষ্ঠা। তাই যে কোন হিন্দু ধর্মীক সেটা ভারতীয় হোক আর বাংলাদেশী হোক অখণ্ড ভারতের পক্ষে কাজ করবে এবং অখণ্ড ভারত বিরোধী যে কোন কার্যক্রমের বিরোধীতা করবে। যেহেতু অমিত সাহা একজন ধার্মীক হিন্দু, সেহেতু এই কাজটা যে ধর্মীয় কাজের অংশ হিসেবেই করবে, এটা নিদ্বির্ধায় মেনে নেয়া যায়।
চূক্তির মধ্যে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার কি পেলেন ?
অনেক কিছুই আছে। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যার ৩ পাশে ভারত, এটা অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার বড় অন্তরায়। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর নেহেরুর মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়েছিলো ভারতের মাঝখানে মুসলিম শাসিত হায়দ্রাবাদের অস্তিত্ব’ মিটিয়ে দিতে হবে। মাত্র ১ বছরের মধ্যে তা করা হয়েছিলো। সে দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তো অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার অন্যতম অন্তরায়, আর মোদি নিয়োগ দেয়ার পর হিন্দুত্ববাদীদের অন্যতম চাহিদা সে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করবে। । সে দিক বিবেচনায় এবারে শেখ হাসিনার সাথে মোদির চূক্তিগুলোর মধ্যে অনেক গোপন জিনিস লুকিয়ে আছে, যা বাংলাদেশকে গ্রাস করার স্টেপ বলা যায়। যেমন- শুধু ফেনী নদী নিয়ে যদি চিন্তা করি, তবে একটাই যথেষ্ট। ফেনী নদীর সাথে তুলনা করা যায় ভারতের ‘চিকেনস নেক’র সাথে। চিকেনস নেকের অপর নাম হলো শিলিগুড়ি করিডর। চিকেন নেকের এমন একটি যায়গায় যেখানের এক পাশে নেপাল, অন্যপাশে বাংলাদেশ। মাঝখানে মাত্র ২১ কিলো যায়গা। এই ২১ কিলো যায়গা যদি দখল করে নেয়া যায়, তবে মূল ভারত থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চল সম্পূর্ণ কাটা পড়ে। এ কারণে ভারত এই চিকেনস নেক নিয়ে খুব সতর্ক থাকে এবং কারো সাথে কোন ধরনের ক্রিয়া কলাপ সহ্য করে না।
একইভাবে ফেনী নদীও হলো বাংলাদেশের একটি কাটা দাগ, যার মাধ্যমে মূল বাংলাদেশের সাথে ৫টি জেলা- চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা যুক্ত হয়েছে। ফেনী নদী দিয়ে যদি বাংলাদেশকে কেটে ফেলা যায়, তবে এই ৫টি জেলা বাংলাদেশ থেকে পৃথক হয়ে ভারতের ত্রিপুরার সাথে যুক্ত হয়ে যাবে, ভারত লাভ করবে বিশাল সমুদ্র অঞ্চলসহ সমুদ্র সম্পদ। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে ভারতের ত্রিপুরার কিছু সংগঠন এই অংশটি বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের সাথে সংযুক্ত করার দাবী তুলেছিলো। এ অবস্থায় মানবিক কারণে হোক আর পানি নেয়ার কারণে হোক, ফেনী নদীতে ভারতের যে কোন ধরনের প্রবেশাধিকার কখনই গ্রহণযোগ্য নয়, বরং তা দেশের স্বার্বভৌম ও স্বাধীনতার জন্য চরম হুমকিস্বরূপ।
অনেক কিছুই আছে। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যার ৩ পাশে ভারত, এটা অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার বড় অন্তরায়। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর নেহেরুর মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়েছিলো ভারতের মাঝখানে মুসলিম শাসিত হায়দ্রাবাদের অস্তিত্ব’ মিটিয়ে দিতে হবে। মাত্র ১ বছরের মধ্যে তা করা হয়েছিলো। সে দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তো অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার অন্যতম অন্তরায়, আর মোদি নিয়োগ দেয়ার পর হিন্দুত্ববাদীদের অন্যতম চাহিদা সে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করবে। । সে দিক বিবেচনায় এবারে শেখ হাসিনার সাথে মোদির চূক্তিগুলোর মধ্যে অনেক গোপন জিনিস লুকিয়ে আছে, যা বাংলাদেশকে গ্রাস করার স্টেপ বলা যায়। যেমন- শুধু ফেনী নদী নিয়ে যদি চিন্তা করি, তবে একটাই যথেষ্ট। ফেনী নদীর সাথে তুলনা করা যায় ভারতের ‘চিকেনস নেক’র সাথে। চিকেনস নেকের অপর নাম হলো শিলিগুড়ি করিডর। চিকেন নেকের এমন একটি যায়গায় যেখানের এক পাশে নেপাল, অন্যপাশে বাংলাদেশ। মাঝখানে মাত্র ২১ কিলো যায়গা। এই ২১ কিলো যায়গা যদি দখল করে নেয়া যায়, তবে মূল ভারত থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চল সম্পূর্ণ কাটা পড়ে। এ কারণে ভারত এই চিকেনস নেক নিয়ে খুব সতর্ক থাকে এবং কারো সাথে কোন ধরনের ক্রিয়া কলাপ সহ্য করে না।
একইভাবে ফেনী নদীও হলো বাংলাদেশের একটি কাটা দাগ, যার মাধ্যমে মূল বাংলাদেশের সাথে ৫টি জেলা- চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা যুক্ত হয়েছে। ফেনী নদী দিয়ে যদি বাংলাদেশকে কেটে ফেলা যায়, তবে এই ৫টি জেলা বাংলাদেশ থেকে পৃথক হয়ে ভারতের ত্রিপুরার সাথে যুক্ত হয়ে যাবে, ভারত লাভ করবে বিশাল সমুদ্র অঞ্চলসহ সমুদ্র সম্পদ। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে ভারতের ত্রিপুরার কিছু সংগঠন এই অংশটি বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের সাথে সংযুক্ত করার দাবী তুলেছিলো। এ অবস্থায় মানবিক কারণে হোক আর পানি নেয়ার কারণে হোক, ফেনী নদীতে ভারতের যে কোন ধরনের প্রবেশাধিকার কখনই গ্রহণযোগ্য নয়, বরং তা দেশের স্বার্বভৌম ও স্বাধীনতার জন্য চরম হুমকিস্বরূপ।
আবরারের বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে কিভাবে ?
যে স্ট্যাটাসের জন্য আবরারকে হত্যা করা হয়, সেটা ছিলো ভারতের এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। আবরারকে বলা হচ্ছে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী নব্য যুদ্ধের প্রথম শহীদ। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য- আবরারকে যে কারণে শহীদ হলো, সেটা আড়াল করে সবাই বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আবরার যে কারণে শহীদ হলো, সেই দিকটি সর্বপ্রথম বিবেচনা করে, সে দিকেই আন্দোলনের লক্ষ্য রাখা উচিত, তবেই আবরারের বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।
(চলবে)
যে স্ট্যাটাসের জন্য আবরারকে হত্যা করা হয়, সেটা ছিলো ভারতের এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। আবরারকে বলা হচ্ছে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী নব্য যুদ্ধের প্রথম শহীদ। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য- আবরারকে যে কারণে শহীদ হলো, সেটা আড়াল করে সবাই বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আবরার যে কারণে শহীদ হলো, সেই দিকটি সর্বপ্রথম বিবেচনা করে, সে দিকেই আন্দোলনের লক্ষ্য রাখা উচিত, তবেই আবরারের বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।
(চলবে)