রাম-বাম দুই ভাই মুসলমানের রক্ষা নাই

রাম-বাম দুই ভাই
মুসলমানের রক্ষা নাই
মুসলমানদের এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় কলকাতার জমিদার রবীন্দ্রনাথ বিরোধীতা করে বলেছিলো- “মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয় ? তারাতো ঠিকমতো কথাই বলতে জানেনা। চাষার ছেলেরা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে তাহলে ক্ষেতে ক্ষামারে কাজ করবে কারা?”
সেই রবীন্দ্রনাথের বংশধরেরা আজও সক্রিয়। কালের পরিক্রমায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নামক সংগঠনের হাত ধরে কেউ হয়ত গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে পেরেছে। যায়গায় মত গিয়েই শুরু করেছে লাল সূতার কারসাজি। বিদ্বেষে নাকের ছিদ্রদয় ফুলায় বলতেছে-
“ মুসলমানদের আবার ছাত্র সংসদ (ডাকসু) কিসের ?
তোরা থাকবি চিপা-চাপায় অপরাধীর মত,
প্রকাশ্যে সভ্য সমাজে তোরা অস্তিত্ব প্রকাশ করতে পারবি না।
অস্তিত্ব জানান দিলেই গণপিটুনি খাবি,
সাধারণ জনতা তোদের দেখলে দূর দূর করবে,
তোদের দেখলে জলাতঙ্ক রোগীর মত ভয় পাবে,
তোরা এই সমাজে থেকেও হবি সমাজচ্যূত।
বার্মীজ সরকার যেমন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব আর রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো,
মোদি সরকার যেমন ভারতের আসামে এনআরসি করে অনেকে অধিকার কেড়ে নিয়েছে,
ঠিক তেমনি ভার্সিটিতেও তোদের অধিকার আমরা কেড়ে নিবো ।
তোরা তোদের ন্যায্য চাওয়ার পাওয়ার কথা বলতে পারবি না,
কারণ তোরা তো নিষিদ্ধ যবন, ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য
তোদের আবার অধিকার কিসের ?”
ছবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাম সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস আর বাম
জিএস সাদ্দাম হোসেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু’র সভায় ধর্ম ভিত্তিক সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে তারাই কলকাঠি নাড়ে।