ডেমোক্র্যাটিক ব্লকদের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো তারা খুব বুদ্ধিজীবির মত বুদ্ধি দিয়ে একটা বড় সমস্যা ক্রিয়েট করবে, এরপর নিজেরাই তার একটা সমাধান বলে দিবে, এরপর ঐ সমাধান নিয়ে যদি দুই-একজন কাজ করে, তবে সেটা মিডিয়ায় খুব ফলাও করে প্রচার করে দেখাবে- আরে ভাই সমস্যা তো শেষ। অথচ দুই একজনের কাজ দিয়ে পাহাড়সম কাজ হয় না।
১) ডেমোক্র্যাটিক মিডিয়া যখন করোনা ভীতি ছড়াইলো, তখন সবাই বললো- এতে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে।
তারা সমাধান দিয়ে দিলো, যদি দোকানপাটে ভ্রাম্যমান আদালত চলে, তবে জিনিসপত্রের দাম ঠিক হয়ে যাবে।
আচ্ছা আপনারা নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলুন তো-
মিডিয়ায় তো দেখা যাচ্ছে, খুব ভ্রাম্যমান আদালত চলতেছে,
সত্যিই কি জিনিসপত্রের দাম কম আছে আগের মত? ভ্রাম্যমান আদালত কি সত্যিই দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে ??
তারা সমাধান দিয়ে দিলো, যদি দোকানপাটে ভ্রাম্যমান আদালত চলে, তবে জিনিসপত্রের দাম ঠিক হয়ে যাবে।
আচ্ছা আপনারা নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলুন তো-
মিডিয়ায় তো দেখা যাচ্ছে, খুব ভ্রাম্যমান আদালত চলতেছে,
সত্যিই কি জিনিসপত্রের দাম কম আছে আগের মত? ভ্রাম্যমান আদালত কি সত্যিই দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে ??
২) ডেমোক্র্যাটিক বুদ্ধি নিয়ে সরকার সব কিছু বন্ধ করে দিলো, এখন পাবলিক তো সব দেশের বাড়িতে যাওয়া শুরু করছে। এবার বুদ্ধি দিলো, সব ট্রেন-বাস-লঞ্চ সব বন্ধ করে দেন। তাহলে লড ডাউন হবে।
আরে ভাই সত্যিই কি ট্রেন-বাস-লঞ্চ বন্ধ করে পাবলিক দেশে যাওয়া আটকাতে পারছে ? বাংলাদেশ কি ইউরোপ-আমেরিকার মত? এ যায়গা থেকে অন্য যায়গা ২-৩ হাজার কিলো দূরে? বাঙালীকে আটকাবেন, ২-৩শ’ কিলো প্রয়োজনে পাবলিক হাইটা চলে যাবে।
যদি জনসংখ্যা সারা দেশব্যাপী ছড়ায় পড়ে, তবে লক ডাউনের কোনই দরকার নাই। শুধু শুধু লক ডাউন দেয়ার নামে মানুষকে কষ্ট দেয়া, আর কিছু না।
আরে ভাই সত্যিই কি ট্রেন-বাস-লঞ্চ বন্ধ করে পাবলিক দেশে যাওয়া আটকাতে পারছে ? বাংলাদেশ কি ইউরোপ-আমেরিকার মত? এ যায়গা থেকে অন্য যায়গা ২-৩ হাজার কিলো দূরে? বাঙালীকে আটকাবেন, ২-৩শ’ কিলো প্রয়োজনে পাবলিক হাইটা চলে যাবে।
যদি জনসংখ্যা সারা দেশব্যাপী ছড়ায় পড়ে, তবে লক ডাউনের কোনই দরকার নাই। শুধু শুধু লক ডাউন দেয়ার নামে মানুষকে কষ্ট দেয়া, আর কিছু না।
৩) এরপর যখন বুদ্ধি দিলো সব বন্ধ করে দেন, তখন একদল বুদ্ধি দিলো ভাই বাসায় বলে কম্পিউটারে কাজ করেন।
আরে ভাই সবার কাজ কি কমপিউটারে হয়? কয় পার্সেন্ট লোকের কাজ কমপিউটারে করা যায় ?
আরে ভাই সবার কাজ কি কমপিউটারে হয়? কয় পার্সেন্ট লোকের কাজ কমপিউটারে করা যায় ?
৪) এরপর যখন মানুষ আর্থিক সংকটের কথা চিন্তা শুরু করলো, বাড়িভাড়া নিয়ে চিন্তা করলো, তখন প্রচার করলো- বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়া মাফ করে দেন। তাদের গ্রুপভূক্ত কিছু লোক হয়ত বাড়িভাড়া মাফ করলো, সেটাই তারা মিডিয়াতে খুব জোর করে প্রচার করলো। ভাবখানা এমন, যেন সব বাড়িওয়ালা বাড়িভাড়া মাফ করে দিছে।
আরে ভাই বাড়িওয়ালার সংখ্যা কোটি কোটি। অনেক বাড়িওয়ালার তো বাড়িভাড়া দিয়ে সংসার চলে, সে বাড়িভাড়া মাফ করলে নিজ সংসার চালাবে কিভাবে ? এত অবাস্তব কথা চালান কিভাবে ?
আরে ভাই বাড়িওয়ালার সংখ্যা কোটি কোটি। অনেক বাড়িওয়ালার তো বাড়িভাড়া দিয়ে সংসার চলে, সে বাড়িভাড়া মাফ করলে নিজ সংসার চালাবে কিভাবে ? এত অবাস্তব কথা চালান কিভাবে ?
৫) এরপর প্রচার করলো, যদি দেশে আর্থিক সমস্যা দেখা যায়, তবে সরকারের পক্ষে থেকে রেশন দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
আরে ভাই বাংলাদেশ সরকার যে হযরত ওমরের সরকার না, এটা তো আমরা সবাই জানি। তাদের উপর আল্গা ভরসা করা নিজের পায়ে কুড়াল মারা এক কথা। সরকার টিসিবিতে ১০ টাকা কেজি চাল ঘোষণা করলো। কিন্তু সেই চাল কতটুকু জনগণের কাছে পৌছায়, আর কবে পৌছায় তার কোন হিসেব নাই।
আরে ভাই বাংলাদেশ সরকার যে হযরত ওমরের সরকার না, এটা তো আমরা সবাই জানি। তাদের উপর আল্গা ভরসা করা নিজের পায়ে কুড়াল মারা এক কথা। সরকার টিসিবিতে ১০ টাকা কেজি চাল ঘোষণা করলো। কিন্তু সেই চাল কতটুকু জনগণের কাছে পৌছায়, আর কবে পৌছায় তার কোন হিসেব নাই।
৬) এরপর বললো- মানুষ অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়লে আপনারা পাশের লোকটাকে হেল্প করবেন, ত্রাণ দিবেন।
আরে ভাই বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত আপনারা জানেন ? সবাই কি হাত পাততে পারে রাস্তায় গিয়ে ? কোটি কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এত লোককে ত্রাণ দেয়া সম্ভব না এবং তাদের দিতে গেলেও পাবলিক গ্যাদারিং হবে, যেই পাবলিক গ্যাদারিং এর বিরুদ্ধে এত কিছু। কথা হইলো- এইসব সামান্য টাকা দিয়ে হয়ত ডেমোক্র্যাট গ্রুপের লোকের পাবলিক প্রচার হবে, ফটোসেশন হবে, ফেসবুকে স্যালুট বলে প্রচার হবে। এইটাই। কিন্তু বাস্তবে কোন উপকার হবে না্।
আরে ভাই বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত আপনারা জানেন ? সবাই কি হাত পাততে পারে রাস্তায় গিয়ে ? কোটি কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এত লোককে ত্রাণ দেয়া সম্ভব না এবং তাদের দিতে গেলেও পাবলিক গ্যাদারিং হবে, যেই পাবলিক গ্যাদারিং এর বিরুদ্ধে এত কিছু। কথা হইলো- এইসব সামান্য টাকা দিয়ে হয়ত ডেমোক্র্যাট গ্রুপের লোকের পাবলিক প্রচার হবে, ফটোসেশন হবে, ফেসবুকে স্যালুট বলে প্রচার হবে। এইটাই। কিন্তু বাস্তবে কোন উপকার হবে না্।
আসলে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের লোকেরা হয়ত পাবলিকের আবেগ নিয়ে খেলে, কিন্তু বাস্তবে দেশ কিভাবে চলে, জনগণ কিভাবে চলে সেটা সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখে না। তারাভাবে, তারা যেভাবে বুদ্ধি দিবে, সেটা দিয়ে সরকার চললে, জনগণ চললে সব সমস্যার সমাধান হবে, কিন্তু তারা তো জানেই না বাংলাদেশ সরকারের সামার্থ কতটুকু, সরকার যেভাবে ভালো সময়ে কাজ করে না, ক্রিটিকাল মোমেন্টে তার উপর ভরসা করে জনগণের মরন ছাড়া উপায় থাকবে না। পাশাপাশি পাবলিক কিভাবে দিন আনে দিন খায়, ঘরে বসে পিসিতে কাজ করে, না রাস্তায় কাজ করে, সংসার কিভাবে চলে এ সম্পর্কে ডেমোক্র্যাটিক ব্লক ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের বিন্দুমাত্র জ্ঞান নাই। এজন্য তারা উল্টাপাল্টা বুদ্ধি দেয়। তবে সমস্যা হইলো- ওয়াল্ডওয়াইড মিডিয়ার মধ্যে মধ্যে তাদের লোক থাকায় এবং নানান কুতর্ক তাদের মুখস্ত করায় দেওয়ায় সাধারণ পাবলিক তাদের সাথে পেরে উঠে না। আর সরকার যেহেতু বিদেশী কানেকটেড মিডিয়ার বিরুদ্ধে যেতে চায় না, তাই সরকার মিডিয়া যা চায়, তার কিছু করে মিডিয়াকে খুশি করে দায় সারে, পাবলিকের মরলে সরকারের কিছু যায় আসে না। আর তাছাড়া ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের মিডিয়ার কথা শুনলে বিদেশী ঋণ বা অনুদান পাওয়ায় সহজ হয়। তাই সরকারও শুধু তাদেরকেই খুশি রাখে, জনগণকে না। আর তাছাড়া কোন ক্রাইসিস ক্রিয়েট হইলে, সরকারপন্থী ব্যবসায়ীদের লাভ, তারা জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় বিরাট ব্যবসা করবে, তাই তারাও মিডিয়াকে নিরুৎসাহিত করে না। তাকে গুজব রটাইতে দেয়।