প্রিয়া সাহার ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু গায়েব হওয়া সংখ্যার রহস্যটা কি ?
কিছুদিন আগে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে গিয়ে বলেছিলো-
“৩৭ মিলিয়ন হিন্দু বাংলাদেশ থেকে গায়েব হয়ে গেছে”।
এটা ঠিক, অনেক সময় বাংলাদেশ থেকে অনেক হিন্দু জনগোষ্ঠী ভারতে মাইগ্রেট করেছে।
কিন্তু যারা এই তত্ত্বগুলো ছড়ায় তারাও প্রমাণ করতে পারেনি, হিন্দুদের চলে যাওয়ার এই সংখ্যাটা ৩৭ মিলিয়ন। ১৯৭১ তো নয়, ১৯৪৭ এমনকি ১৯০৫ এর হিসেব কষলেও হিন্দুদের মাইগ্রেট হয়ে যাওয়ার সংখ্যাটা ৩৭ মিলিয়ন মিলানো সম্ভব হয়নি কারো পক্ষে।
“৩৭ মিলিয়ন হিন্দু বাংলাদেশ থেকে গায়েব হয়ে গেছে”।
এটা ঠিক, অনেক সময় বাংলাদেশ থেকে অনেক হিন্দু জনগোষ্ঠী ভারতে মাইগ্রেট করেছে।
কিন্তু যারা এই তত্ত্বগুলো ছড়ায় তারাও প্রমাণ করতে পারেনি, হিন্দুদের চলে যাওয়ার এই সংখ্যাটা ৩৭ মিলিয়ন। ১৯৭১ তো নয়, ১৯৪৭ এমনকি ১৯০৫ এর হিসেব কষলেও হিন্দুদের মাইগ্রেট হয়ে যাওয়ার সংখ্যাটা ৩৭ মিলিয়ন মিলানো সম্ভব হয়নি কারো পক্ষে।
কথা হলো- প্রিয়া সাহা এই ‘৩৭ মিলিয়ন’ সংখ্যাটা পেলো কোথায় ?
সম্প্রতি ভারতের সর্বশেষ আদমশুমারি (২০১১) এর অভিবাসন-সংক্রান্ত ডেটা হঠাৎ করে প্রকাশ হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন- দীর্ঘ ৮ বছর পর কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ডাকা প্রকাশিত হলো। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর যাবত বিজেপির রাজনীতিবিদরা মুখে মুখে রটিয়ে দিয়েছিলো ভারতে ২ কোটি বাংলাদেশী আছে। কিন্তু ২ কোটির সঠিক সংখ্যটা পাওয়া যাচ্ছিলো না। কিন্তু আদমশুমারি (২০১১) এর অভিবাসন-সংক্রান্ত ডেটা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ভারতে বাংলাদেশে জন্মানো ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যাটা ৩৭ লক্ষ, মোটেও ২ কোটি নয়। (https://bit.ly/2mD8pOJ)
পাঠক ! ভারতে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যাটা লক্ষ্য করেছেন ?
৩৭ লক্ষ।
প্রিয়া সাহার দাবীকৃত সংখ্যাটার কথা মনে আছে ?
৩৭ মিলিয়ন।
প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে যে ৩৭ শব্দটা উচ্চারণ করেছে, এই সংখ্যাটাকে আমার কাছে হাওয়ায় ভেসে আসা শব্দ মনে হয় না, অবশ্যই তার একটা সূত্র আছে। তবে সমস্যা হচ্ছে ‘মিলিয়ন’ না ‘লক্ষ’ তা নিয়ে।
উল্লেখ্য- এসব ক্ষেত্রে লক্ষ (১০০ হাজার) যে মিলিয়ন (১০ লক্ষ) হয়ে যায়, তার বহু নাজির কিন্তু আছে।
হিটলার কত সংখ্যক ইহুদী মেরেছিলো ?
অনেকেই বলে এটা ছিলো ৬০ হাজার অথবা ৬ লক্ষ, কিন্তু প্রচার পেয়েছিলো ৬ মিলিয়ন বা ৬০ লক্ষ।
একইভাবে ৩ লক্ষ নাকি ৩০ লক্ষ (৩ মিলিয়ন), এমন সংখ্যা নিয়ে আমাদের এলাকাতেও একটা তর্ক আছে।
৩৭ লক্ষ।
প্রিয়া সাহার দাবীকৃত সংখ্যাটার কথা মনে আছে ?
৩৭ মিলিয়ন।
প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে যে ৩৭ শব্দটা উচ্চারণ করেছে, এই সংখ্যাটাকে আমার কাছে হাওয়ায় ভেসে আসা শব্দ মনে হয় না, অবশ্যই তার একটা সূত্র আছে। তবে সমস্যা হচ্ছে ‘মিলিয়ন’ না ‘লক্ষ’ তা নিয়ে।
উল্লেখ্য- এসব ক্ষেত্রে লক্ষ (১০০ হাজার) যে মিলিয়ন (১০ লক্ষ) হয়ে যায়, তার বহু নাজির কিন্তু আছে।
হিটলার কত সংখ্যক ইহুদী মেরেছিলো ?
অনেকেই বলে এটা ছিলো ৬০ হাজার অথবা ৬ লক্ষ, কিন্তু প্রচার পেয়েছিলো ৬ মিলিয়ন বা ৬০ লক্ষ।
একইভাবে ৩ লক্ষ নাকি ৩০ লক্ষ (৩ মিলিয়ন), এমন সংখ্যা নিয়ে আমাদের এলাকাতেও একটা তর্ক আছে।
প্রিয়া সাহার ৩৭ মিলিয়ন সংখ্যাটা যদি ভারতের আদমশুমারি (২০১১) এর বাংলাদেশী অভিবাসীর ৩৭ লক্ষ থেকে আগত হয়, তবে আরো কয়েকটি জিনিস প্রমাণ হয়-
১) ভারতে বাংলাদেশ থেকে যারা যায়, সব হিন্দু জনগোষ্ঠী, মুসলিম জনগোষ্ঠী কেউ যায় না। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী ভারতে মাইগ্রেট করছে যে তথ্য রটানো হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
২) বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে টাকা জমায় ভারতে সম্পদ গড়ে। ভারতে পার্মানেন্ট নিবাস বানায়। কারণ তারা বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম আর ভারতকে ফার্ষ্ট হোম ভাবে। কিন্তু ভারতকে তারা আপন ভাবলেও, ভারত কিন্তু তাদের আপন ভাবে না। তাদেরকে অভিবাসী হিসেবেই কাউন্ট করে। এবং প্রয়োজন বোধে একটা সময় তাদের তাড়িয়েও দিতে পারে।
৩) ৩৭ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে ভারতে গিয়েছে নাকি স্বেচ্ছায় ভারতে গিয়ে আবাস গড়েছে ? যেহেতু তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে (রোহিঙ্গারা যেমন করেছে) কোন স্টেটমেন্ট দেয়নি, সেহেতু বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে তারা এসেছে এমন কোন যুক্তি প্রমাণিত হয় না। বরং ভারতে তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই থাকতে চায় এবং সাধারণ ভারতীয়দের মধ্যে মিশে যেতে চায় সেটা প্রমাণিত হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা নির্যাতিত হয়ে ভারতে অভিবাসী হয়, এটাও প্রমাণ করা সম্ভব নয়।
২) বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে টাকা জমায় ভারতে সম্পদ গড়ে। ভারতে পার্মানেন্ট নিবাস বানায়। কারণ তারা বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম আর ভারতকে ফার্ষ্ট হোম ভাবে। কিন্তু ভারতকে তারা আপন ভাবলেও, ভারত কিন্তু তাদের আপন ভাবে না। তাদেরকে অভিবাসী হিসেবেই কাউন্ট করে। এবং প্রয়োজন বোধে একটা সময় তাদের তাড়িয়েও দিতে পারে।
৩) ৩৭ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে ভারতে গিয়েছে নাকি স্বেচ্ছায় ভারতে গিয়ে আবাস গড়েছে ? যেহেতু তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে (রোহিঙ্গারা যেমন করেছে) কোন স্টেটমেন্ট দেয়নি, সেহেতু বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে তারা এসেছে এমন কোন যুক্তি প্রমাণিত হয় না। বরং ভারতে তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই থাকতে চায় এবং সাধারণ ভারতীয়দের মধ্যে মিশে যেতে চায় সেটা প্রমাণিত হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা নির্যাতিত হয়ে ভারতে অভিবাসী হয়, এটাও প্রমাণ করা সম্ভব নয়।