ইহুদী পণ্য বর্জন : একটি সুলক সন্ধান ( পণ্য ২- পেপসি)
এলাকার এক নেতার বাসায় ইফতারের দাওয়াত ছিল। মুনাজাতে হুযুর ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া করলেন। দোয়া শেষে জনৈক প্রবীণ আত্মীয়া বলে উঠলেন- জনসন, লরিয়েল, কোক পেপসি আপনারা কেউ খেয়েন না। এগুলো ইহুদীদের পণ্য!
আমি একটু অবাক হলাম, আর খুশী ও হলাম, ফিলিস্তিনের প্রতি তার সহানুভূতি দেখে।
অবাক হলাম কারন
এরা যে ফেইসবুক ব্যবহার করেন না, তা বুঝা যায়। বাকি মানুষরাও খুব বেশী জানেন না, কিন্তু তাও তার কথার প্রতি সমর্থন দিলেন। হয়তো, তাদের ঘরের তরুণরাই তাদের সতর্ক করেছে পণ্য বয়কট করতে। পণ্য বয়কট একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে সফল , সেদিন এই কথাটা খুব মনে হয়েছিলো।
পণ্য বয়কট আসলে কোন সমাধান নয়, কিংবা কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগে কয়েকজন মানুষ কয়েকটা পণ্য বর্জন করলেও কিছু যায় আসবেনা, এমন ধারনা অনেক মানুষের আছে। ধারনা করেই আমরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাই। পণ্যের অভাব বোধ করে আর কখনোই বিকপ্ল পণ্য উদ্ভাবনের চিন্তা ও আসে না।
আমরা আসলে পরে কি হবে তা নিয়েই বেশী মাথা ঘামাই, কিন্তু আমাদের নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে আমরা মাথা ব্যাথা করিনা।
ইহুদীরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই বোনদের উপর যে নির্মম অত্যাচার করছে, শিশুদের হত্যা করছে, বোনদের ধর্ষণ করছে এসব যদি আমরা অন্যায় ভেবে থাকি, একজন মুসলিম হিসেবে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ করা ঈমানের নুন্ন্যতম দাবী। একজন মুসলিম কোন অন্যায় দেখলে সবার আগে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে, না পারলে মুখ দিয়ে না পারলে মন থেকে অন্যায়কে ঘৃণা করবে। হাদিসে বর্ণিত অন্যায়ের প্রতিবাদের এই সুন্দর সংজ্ঞায়ন ভুলে আমরা ব্যস্ত পণ্য বয়কটে কি লাভ এইসব নিয়ে ফতওয়া জারিতে!
পণ্য বয়কট সেই উপায় যার মাধ্যমে আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে পারি। আগে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করুন, এরপর বিশ্ব মুসলিমের দ্বায়দায়িত্তের হিসাব নিয়েন।
পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেকই মুসলিম। আর পণ্য বয়কটের আহ্বান শুধু যে বাংলাদেশের মুসলিমদের প্রতি তা নয়, ইহুদী পণ্য বর্জনের ডাক সারা পৃথিবীর মুসলিম মুসলিম দেশে দেশে চলছে।
তবে পার্থক্য একটাই। কোন কোন দেশে সারা বছরই ইহুদী পণ্য বর্জন করা হয়, আর বাংলাদেশে সিজনাল। পণ্য বয়কট তখনই বেশী কার্যকর হবে যখন এটা দীর্ঘ মেয়াদী হবে, জীবন যাপনের দিনালিপির একটা অংশে পরিণত হবে।
অনেকে বলেন- ফেইসবুক টুইটার এসব ও ইহুদী পণ্য, মার্ক জুকার ইজারাইল ডিফেন্সের বন্ড কিনেছে।
কিন্তু, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওদের আবিস্কার বলেই বর্জন করতে হবে, এই ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ দ্বিমত। মুসলিমদের কোন মিডিয়া নেই। আর ফেইসবুক ইহুদীদের আবিষ্কার হলেও এটা তাদের জন্য গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়া। কারন, এই জগতটা চাইলেও ওরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। যদি পারতোই তবে আরব বসন্ত কোনদিন পৃথিবীতে আসতো না, মিশর তিউনেসিয়ার স্বৈর শাসকদের পতন ও কখনো হতো না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ইহুদীদের আবিষ্কার বলেই এর বেশী বেশী ব্যবহার আমাদের প্রয়োজন। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা যাকে বলে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, গালে মাখার ক্রিম আর কোলার সাথে এসব সামাজিক মাধ্যমের তুলনা দেওয়া মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয়।
ইহুদী পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কোম্পানির নাম হোল-
১.পেপসি ও কোকাকোলা কোম্পানী, ফানটা, মিরিন্ডা, সেভেন আপ, স্প্রাইট
২. নেসলে পন্য
৩. ইউনিলিভার পণ্য
৪. বাটা সু কোম্পানী
৫. ম্যাকডোনাল্ডস ও স্টারবাকস্ ফাস্টফুড/কফি শপ
৬- ডিসনি
৭- আইবিএম
৮- লরিয়েল প্যারিস
৯- কিম্বারলি
১০ – জনসন অ্যান্ড জনসন
১১-motorola
১২- সিমেন্স
১৩- নোকিয়া
১৪- সোডা স্ত্রিম
১৫- রেভলন
ধারাবাহিকভাবে এসব পণ্যের সাথে ইহুদীদের সংশ্লিষ্টতার উপর লেখা হবে। এবার আসুন আজকের পণ্য পেপসি প্রসঙ্গে।
পণ্য ২- পেপসি
PEPSI নামের মাঝেই যার লুকিয়ে আছে সৃষ্টির রহস্য। যদিও পেপসির জন্ম ১৮৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বলে অনেকেই এটাকে ইহুদীদের পণ্য বলতে দ্বিধান্বিত হন, কিন্তু একটা জিনিষ আমরা ভুলেই যাই, এই ইজরাইলের জন্ম ফিলিস্তিনে হওয়ার অনেক আগেই আমেরিকায় একটা মিনি ইজরাইলের জন্ম হয়েছিলো, যার জনগনেরাই আমেরিকার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতো। সুতরাং, আমেরিকায় জন্ম হওয়া কোন কোম্পানি ইজরাইলের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করলে তাতে এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরং এটাই স্বাভাবিক।
যা বলছিলাম, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক স্কলার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মুসলিম দেশের গণমাধ্যম গুলোতে পেপসির পূর্ণরূপ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
PEPSI= PAY EVERY PENNY SAVE ISRAIL
পেনি মানে ডলারের ক্ষুদ্রতম একক। আমাদের দেশে যেমন একটাকার কোন মূল্য নেই, অথচ একটাকা দিয়েই সমস্ত অর্থনৈতিক কাজের সূচনা ঠিক তেমনি ইজরাইল এই গুরুত্বপূর্ণ এক পেনি, অর্থাৎ অর্থনৈতিক যে কোন কাজের সুচনায় ব্যবহৃত এই ভাংতি এক টাকা প্রদান করতে বলছে।
বাংলাদেশে এই একটাকা এখন একটি চকলেট সমমূল্য দাম। অনেক ক্ষেত্রেই একটাকা আমরা দোকানদার বা রিকশাওয়ালা না দিতে পারলে দাবী ছেড়ে দেই। অর্থাৎ এই একটাকার ইউজ ভ্যালু অনেক কম, কিন্তু এই যে এই একটা টাকা আমাদের প্রয়োজন হচ্ছেনা, এটা ও ইহুদীরা চায় ওদের রক্ষায় ব্যবহার হোক। আর বাদবাকি আপনার আমার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর তাদের কি পরিমাণ আধিপত্য থাকতে পারে সেটা আল্লাহই জানেন।
আপনি এক পয়সা দিয়ে হলেও ইজরাইলকে রক্ষা করার কাজে জড়িত নেই তো?
পেপসি একটি নামকরা কোমল পানীয় কোম্পানি, যার বিস্তৃতি পৃথিবীর ২০০ দেশে। যা ২২ ধরনের পণ্য উৎপন্ন করে।
এর বার্ষিক আয় ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
এর অন্যতম পণ্য গুলো হোল- frito lay, Tropicana, quaker ইত্যাদি।
বাংলাদেশে পেপসির নতুন পণ্য মিনারেল ওয়াটার আকুয়াফিনাই নতুন যাত্রা করেছে, যা এখন দোকানে দোকানে মামের বদলে পাওয়া যাচ্ছে।
আপনি কি জানেন পেপসির লোগোর মানে?
পেপসির লোগোতে ব্লু সি মানে ইহুদীদের আনন্দ মাখা বিজয়, আর লাল বৃত্ত মানে মুসলিমদের রক্ত। নীল সাগরে মুসলিমের রক্ত দিয়ে সূর্যোদয়ের দৃশ্য। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে নেদারল্যান্ডের লেখক mr.Bendada তার একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদনে পেপসির লোগোর এই ব্যাখ্যা দেন। এছাড়াও তিনি বলেন-“ যদি তুমি pepsi কে উল্টা করো (ısdǝd এভাবে), এবং এর মাঝে একটি 'A' বসাও (ısdɐǝd) যার অর্থ হিব্রু ভাষায় দাড়ায়- ইজরায়েল ।”
১৯৮৭ সালে একটি বিখ্যাত বই প্রকাশিত হয় যার নাম- picture is not shown
এ দেখানো হয়, কীভাবে শূকরের অতিরিক্ত চর্বি প্রক্রিয়াজাত করে পেপসিতে মিশানো হয়। এরপর অবশ্য দেশে দেশে মুসলিমরা পেপসি বর্জনের ডাক দেয়।
২০০৬ সালে আল রিয়াদ পত্রিকায় ও পেপসিতে শুকরের চর্বি মিশ্রিত করার ব্যাপারে গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
শুকরই একমাত্র প্রাণী যা ময়লা আবর্জনা, গোবর, মল মুত্র খায় যা এর শরীরে তৈরি করে প্রাণঘাতী জীবাণু ও অণুজীব। তাই , শুকর খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। পেপসি শুধু ফিলিস্তিনে গণহত্যার মদদ দাতাই নয়, বরং পেপসির সাথে মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত সেনসিটিভ ইস্যু হালাল হারাম ও যুক্ত।
গবেষণায় জানা গেছে- পেপসি বানানো হয় pig sausage দিয়ে যা ক্যানসারের ঝুকি বহন করে।
সেদিন এক আত্মীয় বলছিল- পেপসিতে এমন কিছু একটা আছে যা খেলে নেশার মতো লাগে, বা বারবার খেতে মন চায়। মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়।
এই আত্মীয় দিনে গড়ে ৪ লিটার পেপসি খান।
যে পদার্থের কারনে তার এমন বারবার খেতে মনে চায় সেই পদার্থটির নাম- aspartame.এটা এমন এক পদার্থ যা মানুষের মধ্যে নেশা তৈরি করে দেয়, ঐ পণ্য বারবার খেতে। এমনকি ধারনা করা হয়, সামান্য পরিমাণ এলকোহল ও মিশ্রিত করা হয় এসব পণ্যের সাথে।
যদিও উপযুক্ত প্রমাণ নেই, তাই এসব পণ্যকে মাশকুক বা সন্দেহযুক্ত পণ্য বলা হয়।
২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল হামাস সংসদ সদস্য আল আকসা টি ভি কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালেম সালামাহ বলেন-
, “There are companies established by the colonialists and occupiers - large companies with branches all over the world, like Pepsi,Pepsi Cola. This is a well-known company. Pepsi is an acronym. P-E-P-S-I - Pay Every Pence to Save Israel. Pay every pence - pence is one-hundredth of a dollar – to save Israel. Pay every pence to save Israel…”
এই তো কিছুদিন আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও আল নাস টিভিতে মিশরের ধর্মীয় নেতা হাজেম আবু ইসমাইল পেপসি বর্জনের ডাক দিলেন ।তিনি বলেন- " pepsi means- Donate the small change you don't need, but give it to the right cause. If you collect small change, you can buy this drink." They took the first letter of each word - "Pay Every Penny Saving Israel" - and they formed the word "Pepsi."
জানুয়ারি ১৮ ২০০৯ বিবিসি নিউজের বরাতে জানা যায়- KFC, Pepsi , Cocacola, Starbucks et Macdonalds are donating their next 2 weeks of earned revenue to Israel. ^^^ source BBC News^^^^
আপনি যখন পেপসির ইহুদী পণ্য হওয়ার ব্যাপারে গুগলে সার্চ দিবেন, আপনি তথ্য দিয়ে সন্দেহে পড়ে যাবেন। কারন, পেপসি নিয়ে বিতর্ক সাড়া পৃথিবীতে। আর ইহুদী খৃস্টানদের দোসররা পেপসি ইহুদী পণ্য নয় , এই প্রচারণা চালাতে ব্যস্ত।
মূলত, কোকাকোলার মুখোশ যখন মুসলিম দেশগুলোতে উন্মোচিত হয়ে যায়, তখন আরব দেশগুলোর কোমল পানীয়ের বাজারে রাজত্ব করতে আমেরিকান এই কোম্পানির আবির্ভাব হয়। যার মালিক একজন ইহুদী গুথ ভি লোফ!
কিন্তু ব্যবসার শুরুতেই পেপসি ইজরাইলে ব্যবসা করতে অস্বীকার জানিয়েছিল, যা একধরনের অভিনয় ছাড়া আর কিছুই ছিল না। কারন, পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে পেপসি ইসরাইলে ব্যবসা শুরু করে, এবং তাদের ইহুদী প্রিতির নানা প্রমাণ দেয়।
পেপসিকোর ইসরাইল প্রীতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ ইসরাইলের সবচেয়ে বড় ফুড কোম্পানি strauss এর সাথে পার্টনারশিপ।
স্ট্রস কোম্পানির সাথে বিগত ২০ বছর ধরে পেপসির পার্টনারশিপ অত্যন্ত মজবুত। যা স্ট্রস কোম্পানির ওয়েব সাইটে স্পষ্ট লেখা আছে। লক্ষ্য করে দেখুন, পেপসি ইসরাইলে এসেছে ১৯৯২ সালে, অথচ, ইসরাইলের কোম্পানি স্ট্রস এর সাথে এর বাণিজ্যিক চুক্তি ১৯৯০ সালে শুরু হয়। সুতরাং, বুঝাই যায় ইসরাইলকে বর্জনের যেই অভিনয় পেপসি করেছিলো, সেটা এক সুনিপুণ অভিনয়।
American multinational food and beverage corporation এই ২ কোম্পানিকেই সাবসিডি দিচ্ছে। পেপসি স্ট্রস ইসরাইলে নোনতা স্ন্যাক্সস frito lay উৎপাদন করছে, এতে ২ কোম্পানিরই শেয়ার আছে ৫০ ভাগ করে। শুধু তাই নয়, স্ট্রস কোম্পানির সাথে ইজরাইলের অন্যতম পণ্য sabra hummus ও যুক্ত।
পেপসি আর স্ট্রস কোম্পানি অনেকগুলো বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ। স্ট্রস কোম্পানির অনেক পণ্য বিক্রিতে পেপসিকে ঢালাও লাইসেন্স দেওয়া আছে।
২০০৮ সালে আরেক ইজ্রাইলি ব্র্যান্ড সাব্রা হামাস এর সাথে পেপসি ও স্ট্রস ৫০ ভাগ শেয়ারে রেফ্রিজারেট খাবারের উন্নয়ন ও উৎপাদনে পার্টনার হয়।
ইজরাইলে এমন কোন শিশু নেই যারা স্ট্রস কোম্পানির দুগ্ধজাত পণ্য DANONE আর YO TVATAর নাম জানে না! স্ট্রস কোম্পানি তাদের ওয়েব সাইটে ইসরাইলের প্রতি তাদের সামাজিক দায়িত্ব এবং সমর্থনের ব্যাপারে প্রকাশ্য লিখে রেখেছে।
তারা অধিকৃত প্যালেস্টাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে। পেপসির সাথে ১৯৯২ সালে chetoos and ruffles প্রক্রিয়াজাত করনের ব্যাপারে তাদের চুক্তি। ১৯৯২ সালে ইসরাইলের sderot এ কোম্পানি স্থাপন করে। ১৯৯৮ সালে frito lay র পার্টনার, ২০০৮ এ সাবরা হামাসের সাথে পার্টনার হয় পেপসি।
অথচ, আপনার আমার আই ওয়াশের জন্য বিভিন্ন যায়গায় লেখা আছে- পেপসি আমেরিকান পণ্য, ইসরাইলে নাকি বিজনেসই করতে চায়নি!
যারা ইসরাইলে বিজনেসই করতে চায়নি, তারা ইসরাইলে ২য় বৃহত্তম খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির সাথে ৫০ ভাগ শেয়ারে কি এমনি এমনি চুক্তিবদ্ধ হয়?
নাকি ইহুদীদের সাথে অতি পিরীতি এর পিছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে?
৫০ ভাগ শেয়ারে থাকা পেপসি স্ট্রস কোম্পানির সকল কাজের অংশীদার। সেই হিসেবে স্ট্রস কোম্পানি বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে ইসরাইলের গোলানি প্লাটুনকে লালন পালন করছে, যারা বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত। গোলানি প্লাটুন ইজরাইলের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ, সবচেয়ে দেশপ্রেমিক সৈনিক প্লাটুন হিসেবে পরিচিত। যারা ফিলিস্তিনে হওয়া ইজরাইলের যে কোন অভিযানে হিংস্রতার পরিচয় দিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে।
।
সুতরাং, ইহুদী ও তাদের দোসরদের পণ্য বর্জন করুন। বর্জন করুন পেপসি ও, যা দিয়ে আপনার ভাইয়ের বুক রক্তাক্ত করার জন্য বুলেট কেনা হয়।