প্রসংগ ঃ থানকুনি পাতায় করোনা সারে
ফেসবুকে নাকি একটা খবর রটেছে- “থানকুনি পাতা খান, তাহরে করোনার সেরে যাবে।”- এ কথা ছড়ানোর পর মিডিয়ায় বহুল প্রচার হচ্ছে এটা একটা গুজব।
আমি জানি না, কোন সোর্স থেকে এ ধরনের তথ্য ছড়িয়েছে, কিন্তু এ প্রসংগে আসলে কিছু কথা বলা দরকার।
১) বিভিন্ন গাছগাছলা দিয়ে চিকিৎসার প্রয়োগ কিন্তু বাস্তবেই আছে। কিন্তু আধুনিক মেডিকেল সাইন্স সেটা খুব তাচ্ছিল্লের সাথে সেটা গুজব বলে উড়িয়ে দিতে চায়। এ অতি তাচ্ছিল্লে পেছনের কারণটা কি মানুষের ভালো চাওয়া নাকি ওষুধ ব্যবসা রক্ষা সেটা আমি বুঝতে পারি না। যেমন কিছুদিন আগে ইউডা ইউনিভার্সিটির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কিছু গবেষক দাবী করলো তারা করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কারে অনেক দূর এগিয়েছেন। আমি সেই গবেষকদের একজনের আলোচনা শুনছিলাম (আলোচনার পুরো ভিডিওটা খুজে পাচ্ছি না)। তিনি আলোচনার মধ্যে বললেন- আমাদের দেশে সাধারণত বিভিন্ন নিরাময়ে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়, কিন্তু সেটা কমন হয়ে যায়, হয়ত অনেকে তা নিয়ে গবেষণা করছে বিধায় আমি নিশিন্দা গাছ নিয়ে গবেষণা শুরু করি। অর্থাৎ সাধারণভাবে বিভিন্ন গাছগাছলার মধ্যে ওষুধি আছে এটা আমাদের দেশের আদিকাল থেকে ছড়িয়ে থাকা চিকিৎসার মধ্যেই আছে। সেখান থেকে তিনি প্রাথমিক নলেজ নিয়ে দেখলেন নিশিন্দার মধ্যে Apigenin, Vitexin এবং Iso Vitexin যা Covid-19 ভাইরাসের সাথে যুক্ত হয়ে তাকে নিস্ক্রিয় করে দিতে পারে। (https://bit.ly/3ddEpz2)
ঐ গবেষক দল এই গবেষনা করে তার রিসার্চ পেপার বিদেশে বড় গবেষণাগারে পাঠিয়েছে, হয়ত এক সময় এই গবেষণা থেকেও করোনার ওষুধও বের হতে পারে। কিন্তু কথা হইলো- এই যে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকরা যখন বললেন, তখন সারা দেশ সেটা মেনে নিলো। এবং তিনিও সে জ্ঞানটা নিলেন ফিল্ডে ছড়িয়ে থাকা গাছগালালি ওষুধী জ্ঞান থেকে। কিন্তু ঐ গাছগাছালির ওষুধি জ্ঞানটা আমরা যখন ডাইরেক্ট ফিল্ড থেকে পাই তখন এটাকে সবাই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক মিডিয়া একটা গুজব হিসেবে প্রচার করে। কারণ তারা ভাবে- মিডিয়াতে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে পাবলিকের মধ্যে যে ভীতি তৈরী করেছে, তার মাধ্যমে তাদের নেটওয়ার্কে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি গুলো ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করবে। কিন্তু সাধারণ পাবলিক যদি এই গাছগাছালার ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে যায়, তবে তাদের এত বড় প্ল্যান মাঠে মারা যাবে, এজন্য তারা বিভিন্ন ভাবে এই সব তথ্যকে গুজব প্রচার করে।
ঐ গবেষক দল এই গবেষনা করে তার রিসার্চ পেপার বিদেশে বড় গবেষণাগারে পাঠিয়েছে, হয়ত এক সময় এই গবেষণা থেকেও করোনার ওষুধও বের হতে পারে। কিন্তু কথা হইলো- এই যে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকরা যখন বললেন, তখন সারা দেশ সেটা মেনে নিলো। এবং তিনিও সে জ্ঞানটা নিলেন ফিল্ডে ছড়িয়ে থাকা গাছগালালি ওষুধী জ্ঞান থেকে। কিন্তু ঐ গাছগাছালির ওষুধি জ্ঞানটা আমরা যখন ডাইরেক্ট ফিল্ড থেকে পাই তখন এটাকে সবাই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক মিডিয়া একটা গুজব হিসেবে প্রচার করে। কারণ তারা ভাবে- মিডিয়াতে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে পাবলিকের মধ্যে যে ভীতি তৈরী করেছে, তার মাধ্যমে তাদের নেটওয়ার্কে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি গুলো ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করবে। কিন্তু সাধারণ পাবলিক যদি এই গাছগাছালার ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে যায়, তবে তাদের এত বড় প্ল্যান মাঠে মারা যাবে, এজন্য তারা বিভিন্ন ভাবে এই সব তথ্যকে গুজব প্রচার করে।
২) আমি জানি না থানকুনি পাতার মধ্যে এমন কোন উপদান আছে কি না, যা দিয়ে করোনা দূর করা যায় (Apigenin, Vitexin এবং Iso Vitexin উপাদনগুলো আছে কি না, কেউ জানালে উপকৃত হবো)। তবে এখানে আরেকটা ঘটনা আছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিভিন্ন সিজনাল ফ্লু চলতেছে। জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি-সর্দি-গলা ব্যাথা। কিন্তু সমস্যা হইলো ডাক্তাররা ভয় পেয়ে এদের চিকিৎসা করতেছে না, আবার সরকারও এত লোকের করোনা হইছে কি না, তাও মাপতে পারতেছে না। এ অবস্থায় গুজব রটনাকারীদের জন্য অনেক সহজ হইছে সিজনাল জ্বর-সর্দি-কাশীকে করোনা বলে চালিয়ে গুজব দীর্ঘস্থায়ী করা। কিন্তু থানকুনি পাতা যে ওষুধি গুন আছে তাতে গলা ব্যাথা, কাশি, সর্দি সেরে যায়। এখন মানুষের যদি থানকুনি পাতা খেয়ে সিজনাল সমস্যা সেরে যায়, তখন তো সে আর ভীত হবে না, ফলে গুজব রটনাকারীদের প্ল্যান মাঠে মারা যাবে। এটাও মিডিয়ার গুজব প্রচারের একটা কারণ হতে পারে। (https://bit.ly/2IZrkvi)