কয়েকদিন ধরে দেখতেছি, চট্টগ্রামের পটিয়াতে একটা মন্দির ভাঙ্গা নিয়ে হিন্দুরা মাঠ গরম করার চেষ্টা করতেছে। তবে এখানে মাঠ গরম করার কিছু নাই। কারণ বাংলাদেশে মন্দির ভাঙ্গার বিচার হয় (ইতিমধ্যে ২ জন গ্রেফতার হইছে)। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থে সব কিছু আইন মাফিক চলে, ভারতের মত না। সোজা কথা- প্রশাসন যখন বিচার করতেছে সেখানে মাঠ গরম করার কিছু নাই।
যাই হোক, পটিয়ার ধলঘাট ক্যাম্প এলাকার যে মন্দিরটাকে নিয়ে হিন্দুরা প্রচার করেছে, সেটা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম। কারণ খবরে হিন্দুরা যেমন প্রচার করেছে, বাস্তবে ঐ মন্দিরের বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ছবিতেই দেখতে পাচ্ছেন নিশ্চয়ই, ঐখানে কিন্তু কোন মন্দির নেই, একটি আলগা মূর্তি পরে আছে। দাবী করা হচ্ছে ঐ আলগা মূর্তি নাকি ভাংচুর করছে। একটা ব্যানার তারাই সামনে এনে লাগিয়ে প্রচার করতেছে।
মন্দির নেই, মূর্তি আলগা ! ঘটনাটা তাহলে কি ? কোন মন্দির ভাঙ্গলো ??
আসলে মূল ঘটনা হলো, এইখানে কোন মন্দিরই নেই।
কোন এক হিন্দুর দখলে এখানে একটু জমি ছিলো। জমিটির মালিকানা নিয়ে বিরোধ ও মামলা মোকাদ্দমা চলছে। তো ঐ হিন্দু চাইছিলো এখানে যদি একটি মন্দির করে ফেলা যায়, তাহলে এটাকে পূজি করে তার জমির দখল পাকাপোক্ত হয়। কিন্তু সমস্যা হলো- ঐ স্থানটা মন্দিরের জন্য সুবিধাজনক নয়। পাশেই আছে একটি মসজিদ। মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি হওয়ায় এক পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেখানে মন্দির করতে দিচ্ছিলো না, কারণ পাশ্ববর্তী স্থানেও পর্যাপ্ত মন্দির আছে। আর তাছাড়া মন্দির তৈরীর আড়ালে বিরোধপূর্ণ জমির দখল নেয়াও যে একটা প্ল্যান, সেটাও মন্দির করতে না দেয়ার কারণ। যাই হোক, আজ থেকে ৪ মাস আগে ঐ স্থানে মন্দির নির্মাণ করার দাবী জানিয়ে, স্থানীয় কিছু মুসলমানকে নিয়েই হিন্দুরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে, তবে স্মারকলিপি দিলেও মন্দির নির্মাণের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এই খবর দৈনিক পূর্বদেশে ২০শে অক্টোবর প্রকাশিত হয়। (https://bit.ly/335neLd)
কোন এক হিন্দুর দখলে এখানে একটু জমি ছিলো। জমিটির মালিকানা নিয়ে বিরোধ ও মামলা মোকাদ্দমা চলছে। তো ঐ হিন্দু চাইছিলো এখানে যদি একটি মন্দির করে ফেলা যায়, তাহলে এটাকে পূজি করে তার জমির দখল পাকাপোক্ত হয়। কিন্তু সমস্যা হলো- ঐ স্থানটা মন্দিরের জন্য সুবিধাজনক নয়। পাশেই আছে একটি মসজিদ। মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি হওয়ায় এক পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেখানে মন্দির করতে দিচ্ছিলো না, কারণ পাশ্ববর্তী স্থানেও পর্যাপ্ত মন্দির আছে। আর তাছাড়া মন্দির তৈরীর আড়ালে বিরোধপূর্ণ জমির দখল নেয়াও যে একটা প্ল্যান, সেটাও মন্দির করতে না দেয়ার কারণ। যাই হোক, আজ থেকে ৪ মাস আগে ঐ স্থানে মন্দির নির্মাণ করার দাবী জানিয়ে, স্থানীয় কিছু মুসলমানকে নিয়েই হিন্দুরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে, তবে স্মারকলিপি দিলেও মন্দির নির্মাণের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এই খবর দৈনিক পূর্বদেশে ২০শে অক্টোবর প্রকাশিত হয়। (https://bit.ly/335neLd)
এ ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, সম্প্রতি মোদির আগমণে মুসলমানদের আন্দোলনকে পূজি করতে চেয়েছে ঐ মহলটি। যারা ফাকার মধ্যে একটি মূর্তি রেখে প্রমাণ করতে চেয়েছে এখানে একটি মন্দির আছে, এবং নিজেরাই সেই মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে মিডিয়ায় রটিয়েছে পুরাতন মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং সেই যোগসূত্র ধরে তারা তাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধযুক্ত স্থানীয় ৫০ জন মুসলমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এবং ২ জনকে গ্রেফতারও করিয়েছে। উদ্দেশ্য সেখানে মন্দিরের অবস্থান তৈরীর পাশাপাশি জমির দখল পাকাপোক্ত করা। পুলিশ ইনভেস্টিগেশনও বলেছে, এটা সাম্প্রদায়িক কোন ঘটনা নয়, এর আড়ালে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। (https://bit.ly/3avhT2q)
ভারতে মুসলিম নির্যাতন করছে মোদি, বাংলাদেশের মুসলমানরা তার প্রতিবাদ করছে,
এখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের তো কিছু বলার নেই। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের মোদির পক্ষে ওকালতি করছে, বাংলাদেশের মুসলমানদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বানোয়াট ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং সেখান থেকে ব্যক্তি স্বার্থ লুটছে।
এখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের তো কিছু বলার নেই। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের মোদির পক্ষে ওকালতি করছে, বাংলাদেশের মুসলমানদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বানোয়াট ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং সেখান থেকে ব্যক্তি স্বার্থ লুটছে।
এর দ্বারা প্রমাণ হয়, বাংলাদেশের হিন্দুরা যতটা না বাংলাদেশী, তার থেকে ঢের ভারতীয়।
ভারতের মুসলমান হত্যায় তাদের যেমন প্রত্যক্ষ সমর্থন বিদ্যমান, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মুসলমানদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়াও তাদের উদ্দেশ্য।
এরপরও কেউ যদি তাদের অসাম্প্রদায়িক ও ইনোসেন্ট প্রমাণ করতে চান, তবে আমার কিছু বলার নাই।
ভারতের মুসলমান হত্যায় তাদের যেমন প্রত্যক্ষ সমর্থন বিদ্যমান, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মুসলমানদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়াও তাদের উদ্দেশ্য।
এরপরও কেউ যদি তাদের অসাম্প্রদায়িক ও ইনোসেন্ট প্রমাণ করতে চান, তবে আমার কিছু বলার নাই।