প্রক্সিওয়ার কি শুরু হয়ে গেছে ?

হারিয়ে যাওয়া প্রযুক্তি হ্যাজাক ...
প্রক্সিওয়ার কি শুরু হয়ে গেছে ?
ঘটনা-১
গত জুলাইয়ের ঘটনা। দুদক পরিচালক ইউসুফ বানসুরি প্রিজন পার্থ গোপাল বণিককে ৮০ লক্ষ টাকা সহ ধরার দেড় মাসের মধ্যে ইউসুফ বানসুরীর স্ত্রী রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবী করা হলো- তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় নিজ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনা-২
হিন্দুত্ববাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। পেটানো হলো শিবির সন্দেহে আর হত্যা করলো ছাত্রলীগের নেতারা। আবরারকে পেটাতে উৎসাহিত করেছিলো অমিত সাহা। কিন্তু ঘটনার দিন সে কাছে না থেকে দূর থেকে সব কিছুর খবরা খবর নিলো। পুলিশ ও ছাত্রলীগ অনেকবার অমিতকে বাচাতে চাইলো। যদিও জনগণের চাপে গ্রেফতার করতে বাধ্য হলো শেষে।
ঘটনা-৩
গত আগস্টের ঘটনা। ভোলায় একটি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো স্থানীয় মুসলমান ও ইসকনের মধ্যে। স্থানীয় মুসলমানরা ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানার নিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের জন্য আন্দোলন করলো। তার ঠিক দেড় মাস পর একটি রহস্যজনক ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের প্রতিবাদ সমাবেশে গুলি চালালো পুলিশ। নিহত হলো ৪ জন, আহত ১০০। মামলা দেয়া হলো ৫ হাজার জনের নামে। ব্যস তৌহিদি জনতা সাইজ।
মন্তব্যঃ ৩টি ঘটনার মধ্যে মিল পাই-
ক) প্রথম ক্ষতিগ্রস্ত - হিন্দুত্ববাদ বা ভারতীয় আধিপত্যবাদ বা তাদের সদস্যরা।
খ) যে ক্ষতি করেছে তার প্রতি প্রতিশোধ নেয়া হবে। কিন্তু প্রতিশোধ ডাইরেক্ট যে ক্ষতিগ্রস্ত সে নিবে না, সে কারো দ্বারা প্রক্সি করিয়ে নিবে।
গ) প্রতিপক্ষকে প্রক্সি দিয়ে আঘাত করার সাথে সাথে আঘাতের কারণ প্রদর্শনও করা হবে ভিন্ন। মূল কারণ চিহ্নিত করা যাবে/হবে না।
ঘ) পুলিশ-আওয়ামীলীগ- সবাই নিজেকে সামনে দিয়ে হলেও ঐ আসল ফেস (হিন্দুত্ববাদ -ভারতীয় আধিপত্যবাদ বা তাদের সদস্যরা) লুকাতে চাইবে।
ঙ) হিন্দুত্ববাদ বা ভারতীয় আধিপত্যবাদ বা তাদের সদস্যদের মেসেজটা হবে – “আমাদের বিরোধীতা করবি, এত সাহস ! এমন শিক্ষা দেবো যে সারা জীবন মনে রাখবি। সারা জীবন আর আমাদের বিরোধীতা করার সাহস পাবি না।”
হিসেব বলছে, সামানে এ ধরনের আরো ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।