যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেছে, “অর্থনৈতিক ক্ষতির চেয়ে প্রবীণদের মরে যাওয়া ভালো।” সে আরো বলেছে, আমার বার্তা হলো: কাজে ফিরে চলুন, জীবনে ফিরে চলুন, এটা নিয়ে স্মার্ট হোন, আর আমরা যারা সত্তোরোর্ধ আছি, আমরা নিজেরাই নিজেদের খেয়াল রাখবো’।
প্যাট্রিক বলে, পুরো দেশ ত্যাগ স্বীকার করুক তা আমি চাই না। আমি শত শত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি… আর সবাই প্রায় একই কথা বলেছে: আমরা পুরো দেশ হারাতে পারি না। আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে’। প্যাট্রিক বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট যে রকম বলেছে মৃত্যুর হার খুবই কম। এই কারণে আমাদের পুরো দেশ বন্ধ করে দিতে হবে? আমার মনে হয় আমরা কাজে ফিরে যেতে পারি’। (https://bit.ly/2y0G2jg)
প্যাট্রিক বলে, পুরো দেশ ত্যাগ স্বীকার করুক তা আমি চাই না। আমি শত শত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি… আর সবাই প্রায় একই কথা বলেছে: আমরা পুরো দেশ হারাতে পারি না। আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে’। প্যাট্রিক বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট যে রকম বলেছে মৃত্যুর হার খুবই কম। এই কারণে আমাদের পুরো দেশ বন্ধ করে দিতে হবে? আমার মনে হয় আমরা কাজে ফিরে যেতে পারি’। (https://bit.ly/2y0G2jg)
লক্ষ্য করুণ-
১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫+ বৃদ্ধ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৩%। তারপরও তারা এমন কথা বলছে। অথচ বাংলাদেশে ৬৫+ বছরের বৃদ্ধ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬% তারপরও আমরা এমন কথা বলতে পারছি না।
১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫+ বৃদ্ধ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৩%। তারপরও তারা এমন কথা বলছে। অথচ বাংলাদেশে ৬৫+ বছরের বৃদ্ধ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬% তারপরও আমরা এমন কথা বলতে পারছি না।
২) যুক্তরাষ্ট্র লক ডাউনের কারণে তাদের অর্থনীতি নিয়ে শংকিত। অথচ তাদের অর্থনীতি একটি বহুমাত্রিক ভিত্তির উপর নির্ভরশীল। তাদের ডলার বিশ্বমুদ্রা হিসেবে প্রচলিত, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা। আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ডলার প্রচলিত। তারপরও তারা বলছে, লকডাউনের মাধ্যমে তাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে উঠবে। অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতির এমন কোন ভিত্তিই নেই। তারপরও কোন আশায় আমরা দেশ লক ডাউন করে মানুষকে পথের ফকির বানিয়ে দিচ্ছি?
৩) সাধারণত যারা ৭০ বছরের বৃদ্ধ, তারা প্রত্যেক পরিবারের সন্তানদের উপর নির্ভরশীল। তাদের ওষুধপত্র, থাকা-খাওয়ার খরচ সন্তান বা পরিবারকেই বহন করতে হয়। কথা হইলো, আপনারা বৃদ্ধদের বাচাতে সন্তানদের আর্থিক অবস্থা খারাপ করে দিলেন, এখন সেই সন্তানরা বৃদ্ধদের খাওয়াবে কি ? দেখা যাবে, বৃদ্ধদের ওষুধপাতি, চিকিৎসা ব্যবস্থা আর খাবার পর্যাপ্ত দিতে না পারায় এমনিতেই বৃদ্ধরা মারা যাবে।
৪) ধরে নিলাম, আপনারা ২ বা ৩ সপ্তাহ পর লক ডাউন খুলে দিলেন, তখন তো ভাইরাসটা ঠিকই সবাইকে ধরবে, সেটা তো আটকে রাখতে পারবেন না। যারা আক্রান্ত হওয়ার ২-৩ সপ্তাহ পর তো ঠিকই হবে। আর ওষুধ কবে বের হবে তার তো কোন হিসেব নাই। ৬ মাস পরও বের হতে পারে, ১ বছর পরও বের হতে পারে। তাহলে কি ১ বছর লক ডাউন করে রাখবেন ? কথা হচ্ছে কিসের আসায় আপনারা ২-৩ সপ্তাহ লক ডাউন করে রাখলেন সেটা আগে স্পষ্ট করুন। যদি ওষুধ বের হওয়া পর্যন্ত লক ডাউন করতে চান, তবে ঠিক আছে সেটা ১ বছর হইলেও। কিন্তু ২-৩ সপ্তাহ লক ডাউন করা আর না করার মধ্যে তো কোন তফাৎ নাই। মাঝখান দিয়ে দেশের মানুষের আর্থিক অবস্থার ১২টা বাজায় দিলেন।