ফেসবুকে আমি অনেককে প্রশ্ন করতে দেখেছি-

ফেসবুকে আমি অনেককে প্রশ্ন করতে দেখেছি-
“চীনে প্রথম করোনা রুগি সনাক্ত হয়েছে আজ থেকে ৪ মাস আগে। কিন্তু মিডিয়া ও তার সাগরেদটা হঠাৎ করে আমাদের দেশে করোনা নিয়ে ভীতি ছড়াতে এত সক্রিয় হয়ে উঠলো কেন ? তারা আগে কোথায় ছিলো ??”
বন কমছে, বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ
এর ব্যাখ্যা হলো-
মিডিয়াতে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের একটা বড় প্রভাব আছে।
আর চীনের সাথে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকদের দ্বন্দ্ব।
এ কারণে যখন চীনে করোনা আক্রমণ শুরু হইলো-
তখন তারা মুসলিমদের “চীনারা মুসলিম নির্যাতন করেছে, এইজন্য চীনের উপর সৃষ্টিকর্তার গজব নামছে”, চিন্তাধারাকেই সায় দিয়ে গেলো। যদিও চীনের সাথে বাংলাদেশে দূরত্ব অনেক নিকটে, পারষ্পরিক লেনদেন অনেক বেশি এবং আবহাওয়াও অনেক মিল। তাছাড়া ঐ সময় বাংলাদেশে শীতকাল চলছিলো, ফলে বাংলাদেশে করোনা আক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি ছিলো। কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক মিডিয়া তখন চীন বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরীর সুযোগ নিতে চাইছে।
কিন্তু যখন করোনা ইউটার্ন নিয়ে ইউরোপের দিকে আসলো, তখনই মিডিয়ার মাথা খারাপ হয়ে গেলো। এর কারণ ইউরোপ হচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের ঘাটি।
“চীনের উপর আল্লাহ গজব নামছে, তাহলে তো ইউরোপের উপর আল্লাহ গজব নামছে”,
এই তথ্য এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটিক ব্লক নতুন চাল শুরু করলো,
তারা মিডিয়ার জোর খাটিয়ে নিজেদের সাথে মুসলিম দেশগুলোকেও চাপ দিয়ে জড়িয়ে নিলো।
যেন তাদেরকে আলাদাভাবে দোষারোপ করা না যায়।
ঘটনা হইলো- এখন পর্যন্ত মুসলিম দেশগুলোতে মৃত্যুর হার নেই বললেই চলে,
যদিও তাদের জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় দুর্বল। কিন্তু তারপরও চীনাদের বেলায় মুসলিমরা জোর গলায় যে কথাটা বলতে পারছিলো,
ইউরোপ-আমেরিকার বেলায় সে কথাটা জোর গলায় বলতে পারতেছে না,
কারণ ডেমোক্র্যাটিক ব্লক মিডিয়ার মাধ্যমে এ অঞ্চলে কৃত্তিম ভীতি তৈরী করে রেখেছে।
উল্লেখ্য ইউরোপের বসবাসরত অনেকের থেকে শুনেছি, সেখানে পরিস্থিতি যতটা খারাপ মিডিয়া ততটা প্রকাশ করছে না, বরং লুকিয়ে ছাপিয়ে প্রকাশ করছে।
আমি আবারও বলছি- করোনা ভাইরাসের মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বে মুসলিমদের একটা বড় মানসিক উত্থান এবং অমুসলিমদের চাপে রাখার একটা বড় সুযোগ তৈরী হয়েছে,, কিন্তু মুসলমানরা মিডিয়া দ্বারা প্রতারিত হওয়ায়, নিজেরাই মানসিকভাবে কাবু হয়ে গেছে, ফলে সে সুযোগটা এখনও নিতে পারে নাই।