ইউরোপ-আমেরিকায় পালন হয় আন্তর্জাতিক কোরআন পোড়ানো দিবস

ইউরোপ-আমেরিকায় পালন হয় আন্তর্জাতিক কোরআন পোড়ানো দিবস
মার্কিন খ্রিস্টান পাদ্রী টেরি জোনস ২০১০ সালে ঘোষনা দেয়- তারা একটি দিবস পালনের উদ্যোগ নিয়েছে, যে দিন সবাই মিলে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনকে পোড়াবে। মূলত ৯/১১কে কেন্দ্র করে ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সে এই দিবসটি শুরু করে। যার নাম দেয়া হয়- “Burn a Quran Day” বা আন্তর্জাতিক কোরআন পোড়ানো দিবস।
২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ এই চার বছর টেরি জোনসের উদ্যোগের মাধ্যম দিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক কোরআন পোড়ানো হয়। খ্রিস্টান পাদ্রী টেরি জোনসের এমন ঘোষণার কারণে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে তীব্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। অনেক স্থানে মুসলমনরা এর বিরোধীতা করে আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হয়। মার্কিন সরকার মুসলিম জনগণের প্রতিক্রিয়ায় তাকে নামকাওয়াস্তে মাঝে মাঝে গ্রেফতারও করে। কিন্তু আটক থেকে মুক্ত হয়ে টেরি জোনস আবার কোরআন পোড়াতে থাকে। ২০১৩ সালে তার উদ্যোগ ছিলো মোট ২৯৯৮টি কোরআন পোড়ানোর। এছাড়া পাদ্রীর সংগঠনের ওয়েবসাইটে কোরআনের উপর প্রস্রাব করে তার ভিডিও আপলোড করা হয়। (https://lat.ms/3bl3O81https://youtu.be/fCuP4VG5d08https://bit.ly/2wx1MTD)
আমেরিকান পাদ্রী টেরি জোনস ঘোষণা দিলেও তার জের ধরে ইউরোপ জুড়েও কোরআন পোড়ানো অমুসলিমদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে কোরআন পোড়ানোর পাশাপাশি কোরআনের উপর প্রস্রাব করে তার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোড করতে থাকে। (https://youtu.be/L-z9UrdnUBshttps://youtu.be/wk9MU90_jJ4)।
তবে, ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যাপকহারে কোরআন পোড়ানো হলেও এর বিরুদ্ধে তাদেরকে বড় বাধার সম্মুক্ষিণ হতে হয় নাই। বিভিন্ন দেশে হয়ত সাধারণ মুসলমানরা বিক্ষিপ্তভাবে কিছু আন্দোলন করেছে, ব্যস এতটুকুই। কিন্তু মুসলিম দেশের সংখ্যা অনেক হলেও তাদের সরকাররা ইউরোপ-আমেরিকার বিরুদ্ধে কোন কোন এ্যাকশন বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নাই।