রিকি হালদার। খ্রিস্টান ধর্মের সেভেন্থ ডে অ্যাডভেন্টস্ট সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। তাদের ধর্মে শনিবার সকাল বেলা ‘লেখা’ নিষেধ। তাই বাংলাদেশের যশোর শিক্ষা বোর্ড তার ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাত্র ১ জনের জন্য শনিবার দিনের পরিবর্তে রাতের বেলায় আলাদা করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। প্রত্যেক শনিবারেই মাত্র ১ জনের জন্য শিক্ষাবোর্ডের তরফ থেকে আলাদা আয়োজন করা হয়। (https://bit.ly/2V2Ob1e)
আর কয়েকদিন পর মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজান আসছে। রমজান মাসে ছোট-ব্ড় প্রায় সকল মুসলমানই রোজা রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু সমস্যা হলো- বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ড, স্কুল বা ভার্সির্টিগুলো রোজার মাসকে কেন্দ্র করে পরীক্ষা ফেলায়। একে তীব্র গরম, অন্যদিকে পরীক্ষা, সব মিলিয়ে একজন মুসলিম শিক্ষার্থীর জন্য ধর্মীয় বিধান রোজা একঅর্থে কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
এ বছর- ন্যাশনাল ভার্সিটির অনার্স শেষ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ফেলানো হয়েছে রমজান মাসে (https://bit.ly/2XRQpOg )। একজন খ্রিস্টান ধর্মের নাগরিকের ধর্ম পালনকে শ্রদ্ধা করে যদি পুরো শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা পেছানো যায়, তবে লক্ষ লক্ষ মুসলিম শিক্ষার্থীর ধর্ম পালনকে সহজ করতে কেন তাদের ধর্মের প্রতি সম্মান দেখিয়ে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তিত হচ্ছে না, তা জানতে চাই।
আর তাছাড়া তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনৈতিকতার দ্রুত বিস্তার ঘটছে, বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা। নিয়ম হচ্ছে, আইন হচ্ছে কিন্তু অপরাধ বন্ধ হচ্ছে না। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আইন করে কখন অপরাধ হ্রাস করা যায় না, বরং নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমেই অপরাধকে হ্রাস করতে হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্ম পালনে নানা রকম বাধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা গঠনে বাধা দেয়া হচ্ছে। যার কু-প্রভাব পড়ছে সমাজ ও রাষ্ট্রে। তাই দেশকে সু-সুন্দর ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতেই শিক্ষার্থীদের ধর্ম পালন সহজ করতে হবে, কোন রূপ বাধা, বিশেষ করে রমজান মাসে পরীক্ষা ফেলানো চলবে না।
বি:দ্র: আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি রমজান মাসে পরীক্ষা ফেলে তবে তা কমেন্ট জানান।