আজ থেকে ৪ দিন আগে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম,

আজ থেকে ৪ দিন আগে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম,
Image result for নদী
আজ থেকে ৪ দিন আগে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম,
এবার খেয়াঘাটগুলো বন্ধ করে দেবে সরকার, বেকার করবে লক্ষ লক্ষ লোককে। তাদের টার্গেট ট্যানেল বানানো এবং পর্যটন পরিবেশ তৈরী করা। এবং মানুষ পারাপারের সব টাকা নিজেরা কুক্ষিগত করা। (https://bit.ly/2F9vMGQ)
আমার স্ট্যাটাস দেয়ার ১ দিন পর সরকার ঠিক সেই পথে হেটেছে এবং খেয়াঘাটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
গতকাল ঐ এলাকায় কিন্ত পাবলিক আন্দোলন-বিক্ষোভ করেছে এবং ভাংচুর করেছে। দৈনিক প্রথম আলোর খবর:
ঢাকা নদীবন্দর: ঘাট বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে দুটি খেয়াঘাট বন্ধের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেছেন খেয়ানৌকার মাঝি, তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। তাঁরা সদরঘাটে নোঙর করা দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনের কাচ ভাঙচুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় ছয়জন প্রাণ হারান। এরপর বিআইডব্লিউটিএ গত সোমবার সিদ্ধান্ত নেয়, সদরঘাট থেকে কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ, সিমসনঘাট থেকে কালীগঞ্জ পথে খেয়ানৌকা চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবল ওয়াইজঘাট থেকে আগানগর পথে নৌকা চলবে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল আন্দোলনে নামেন মাঝি ও শ্রমিকেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিআইডব্লিউটিএর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর ও চরকালীগঞ্জ এলাকার বিক্ষোভ শুরু করেন মাঝিরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক যোগ দেন। একপর্যায়ে তাঁরা শতাধিক খেয়ানৌকা ও ট্রলার নিয়ে সদরঘাট টার্মিনালে এমভি কীর্তনখোলা ও এমভি রাজহংস লঞ্চে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়ে এই দুটি লঞ্চের বেশ কিছু কেবিনের জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। নৌ পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে তারা আবার কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগরে অবস্থান নেন। বন্ধ ঘাট দুটি পুনরায় চালু করার দাবিতে স্লোগান দেন।
পূর্ব আগানগর খেয়াঘাটের মাঝি আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে এ ঘাটে নৌকা চালাচ্ছি। এ ঘাটটি বন্ধ করা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এই ঘাটগুলো চালু। গত সোমবার বিআইডব্লিউটিএর লোকজন ঘাটটি বন্ধ করে দেয়। এতে এলাকার তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের পারাপার ও তাঁদের মালামাল বহন করতে সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে সমস্যা হচ্ছে। আবদুল আজিজ ঘাট দুটি আবার চালু করার আহ্বান জানান।
এদিকে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে সদরঘাট টার্মিনাল মিলনায়তনে জরুরি সভা করে বিআইডব্লিউটিএ। সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ খেয়ানৌকা দিয়ে সদরঘাট এলাকা থেকে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ঘাটে যাতায়াত করেন। কিন্তু সম্প্রতি সদরঘাট এলাকায় কয়েকটি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটা খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এ ধরনের দুর্ঘটনারোধে ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই সরকার দুটি ঘাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওয়াইজঘাটের বিনা স্মৃতি স্নানঘাট থেকে আগানগর ঘাটে যাত্রী পারাপারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সভায় বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (অর্থ) নুরুল আলম, পরিচালক শফিকুল হক, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর গুদারাঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ নসরুল হামিদ। তিনি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
রাতে নসরুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই দুটি ঘাট বন্ধ করে দেওয়ায় কেরানীগঞ্জের বাণিজ্যিক কার্যক্রম থমকে গেছে। অথচ বিআইডব্লিউটিএ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেনি। বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এই দুটি ঘাট খুলে দেবে বলে জানিয়েছে।’ (https://bit.ly/2XVfsR6)
মাথায় ব্যাথ্যা হওয়া মানে কিন্তু মাথা কেটে ফেলা নয়। সড়কে কিন্তু প্রতিদিন শতাধিক হতাহত হয়, তাই বলে কি সড়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে হবে ? সমাধান করতে হবে, যেন দুর্ঘটনা না হয়।
বুড়িগঙ্গার খেয়াঘাটের পাড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাই ১টা বাদে সবগুলো ঘাট বন্ধ করে দিছে, এটা তো কোন সমাধান নয়। ঐ এলাকায় আপনারা গেলে বুঝবেন, ওতগুলো ঘাট থাকার পরও মানুষের জ্যাম লেগে আছে, প্রতিনিয়ত। তাহলে ১টা ঘাট দিয়ে কিভাবে হবে ?
আর তাছাড়া রাষ্ট্র কখন পারে তা কোন জনগণের রুটি-রোজগারের উপায় কেড়ে নিতে।
সরকারের নিজের দায়িত্ব হচ্ছে, প্রত্যেকটি নাগরিককে রুটি-রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয়া
যদি না পারে, তখন তাকে ভাতা দেয়া।
কিন্তু কোন নাগরিক নিজের উদ্যোগে নিজের রুটি-রোজগারের উপায় খুজে নিয়েছে, সরকারের উচিত এতে খুশি হওয়া এবং তাকে সাহায্য করা। কিন্তু সরকার সেটা না করে উল্টা তার রুটি রোজগারের উপায় কেড়ে নেয়। আমার মনে, হয় রাষ্ট্র তার জনগণের উপর যে সমস্ত জুলুম চালায়, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জুলুম হলো এই ধরনের জুলুম করা। কারণ একজন খেটে খাওয়া লোকের উপর তার পুরো পরিবার নির্ভর করে। সে কামাই করে আনলে তার টাকায় বাসায় ভাত বসে, ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়, অসুস্থের চিকিৎসা হয়। কিন্তু উপার্যনক্ষম ব্যক্তিকে যদি বেকার করে দেয়া হয়, তবে তার থেকে কষ্ঠের কিছু থাকে না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কর্মপরিধির ৯৯% হচ্ছে প্রাইভেট সেক্টরে আর মাত্র ১% হচ্ছে সরকারী। কিন্তু অতিসম্প্রতি শেখ হাসিনা পুরান ঢাকাসহ সারা দেশের প্রাইভেট সেক্টরের কর্ম-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে যে ভূমিকা নিয়েছে তা সত্যিই ন্যাক্কারজনক। এই পলিতি শেখ হাসিনার নিজ মস্তিষ্ক থেকে আসুক অথবা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সে পলিসি নিক, কোনটাই স্বাভাবিক নয়। শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা “আমার ফাসিঁ চাই বই’ বইতে শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য থেকে স্মরণ আসে, নিশ্চয়ই তিনি তার পরিবার হত্যার প্রতিশোধ নিচ্ছেন এবং দেশটাকে ধ্বংস করেই তিনি ক্ষান্ত হবেন।