৪ বছর আগেই বিশ্বব্যাংকের কাছে বিক্রি হয় বুড়িগঙ্গা ও পুরান ঢাকা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইহুদীরা বিশ্ব শাসনের জন্য নতুন কৌশল ‘আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ প্রণয়ন করেছিলো। এই ব্যবস্থায় উপনিবেশগুলো ভেঙ্গে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র তৈরী করে তারা। ইহুদীরা ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর, আর বাকিরাষ্ট্রগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা বাহ্যিক কিছু সংস্থা তৈরী করে, যেগুলো স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলে নিরপেক্ষ মনে হতে পারে। কারণ আমেরিকা যদি আমেরিকার স্বার্থের কথা বলে, তখন সেটাকে আমেরিকার পক্ষপাতিত্ব বলে মনে হবে, কিন্তু নিজেদের বানানো একটা নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে কথা বলালে মানুষকে ধোকা দেয়া সহজ। এই ধরনের নিরপেক্ষ সংস্থা হলো- বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাতিসংঘ। এই সংস্থাগুলো প্রকাশ্যে নিরপেক্ষভাবেই কথা বলবে, কিন্তু তারা যত কাজ করবে, বুদ্ধি দেবে কিংবা বিনিয়োগ করবে, সব আলটিমেটলি মার্কিন ইহুদীবাদীদের সম্রাজবাদ দীর্ঘস্থায়ী করবে।
তাই বিশ্বব্যাংক যদি কোথাও ইনভেস্ট করে তবে, তবে বুঝতে হবে সেখানে সন্দেহ আছে। বহু পরিক্ষিত বিষয় হলো, বিশ্বব্যাংক তৃতীয় বিশ্ব বা বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোতে কোন নিজস্ব শিল্প ব্যবস্থা দাড়াতে দেয় না। এর পেছনে বিশ্বব্যাংক বা ইহুদীদের অনেক প্ল্যান থাকতে পারে, তবে আমার যেটা অনুমান, কোন দেশ যদি নিজস্ব শিল্প দাড় করাতে পারে, তবে ঐ দেশটি স্বনির্ভর হয়ে যায়, আর যেকোন স্বনির্ভর রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করা ইহুদীদের জন্য কঠিন। তাদের যদি স্বনির্ভরতা না থাকে, তখন ইচ্ছা-অনিচ্ছায় তারা ইহুদীদের কাছে টাকার জন্য ধর্ণা দিবে, আর যত ধরা দিবে তত তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।
বিশ্বব্যাংক যে বাংলাদেশের স্বনির্ভর শিল্প ধ্বংস করতে চায়, এটা আমার কথা না। এটা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাবৎ বড় বড় মন্ত্রী মিনিস্টার ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কথা। আসুন সেগুলো একটু দেখি
১) বাংলাদেশের বর্তমান শেখ হাসিনার নিজেই বলেছেন,
বিএনপি পাটকল বন্ধের শর্তে বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থ নিয়েছিল: শেখ হাসিনা
(https://bit.ly/2UAbITf)
২) আন্তর্জাতিকভাবে পাট নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে, বিশ্বব্যাংক এখন ভারতে পাটকল তৈরিতে অর্থায়ন করছে।: মির্জা আযম (https://bit.ly/2O2zzZe)
৩) “আমরা কৃষককে একটাকা দেবো, কৃষক আমাকে দশটাকা এনে দেবে। আমরা বলছি, কৃষিতে ভর্তুকি দেবো। বিশ্বব্যাংক বলছে, না ভর্তুকির দরকার নাই। আরে আমার টাকা আমি কি করবো এটা কি তোমারে জিগামু? : মতিয়া চৌধুরী
(https://bit.ly/2O2h9HY)
৪) বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে জাহাজভাঙ্গা শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র: শিল্পমন্ত্রী
(https://bit.ly/2O0Lpms)
৫) “বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বাংলাদেশের জাতীয় শিল্প ধ্বংস হয়েছে। লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়েছে। এই বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা বিশ্বব্যাংকের দালালদেরও ঝাটিয়ে বিদায় করতে হবে।” --মেনন
(https://bit.ly/2HxTApa)
৬) “ বিদেশি দাতা সংস্থার (বিশ্বব্যাংক) পরামর্শে সামাজিক বনায়নের নামে এ ধরনের গাছ (আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস) লাগানো হয়েছে। এ গাছের নিচে অন্য কোনো গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিও বসে না। আকাশমণি গাছের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে অ্যাজমা হয়।’ : মতিয়া চৌধুরী (https://bit.ly/2SOUBLu, https://bit.ly/2HdQzKJ)
৭) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হাফিংটন পোস্টের ‘How the world Bank broke its promise to protect the poor’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩৪ লাখ মানুষকে ভিটেমাটি থেকে ‘উচ্ছেদ’ করা হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে তাদের জীবিকার অবলম্বন।
৮) আফ্রিকা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরার খনি আফ্রিকাতেই আছে। কিন্তু আফ্রিকার মানুষ দুই বেলা দুই মুঠো খেতে পায় না, রোগ-শোকে কাতর থাকে। আফ্রিকাকে পথে বসিয়ে দেয়ার পেছনে কাজ করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফ মত সংগঠন।
এ বিষয়ে জানতে দুটো আর্টিকেল পড়তে পারেন-https://bit.ly/2UCiszY, https://bit.ly/2TRUfZq
বিএনপি পাটকল বন্ধের শর্তে বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থ নিয়েছিল: শেখ হাসিনা
(https://bit.ly/2UAbITf)
২) আন্তর্জাতিকভাবে পাট নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে, বিশ্বব্যাংক এখন ভারতে পাটকল তৈরিতে অর্থায়ন করছে।: মির্জা আযম (https://bit.ly/2O2zzZe)
৩) “আমরা কৃষককে একটাকা দেবো, কৃষক আমাকে দশটাকা এনে দেবে। আমরা বলছি, কৃষিতে ভর্তুকি দেবো। বিশ্বব্যাংক বলছে, না ভর্তুকির দরকার নাই। আরে আমার টাকা আমি কি করবো এটা কি তোমারে জিগামু? : মতিয়া চৌধুরী
(https://bit.ly/2O2h9HY)
৪) বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে জাহাজভাঙ্গা শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র: শিল্পমন্ত্রী
(https://bit.ly/2O0Lpms)
৫) “বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বাংলাদেশের জাতীয় শিল্প ধ্বংস হয়েছে। লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়েছে। এই বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা বিশ্বব্যাংকের দালালদেরও ঝাটিয়ে বিদায় করতে হবে।” --মেনন
(https://bit.ly/2HxTApa)
৬) “ বিদেশি দাতা সংস্থার (বিশ্বব্যাংক) পরামর্শে সামাজিক বনায়নের নামে এ ধরনের গাছ (আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস) লাগানো হয়েছে। এ গাছের নিচে অন্য কোনো গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিও বসে না। আকাশমণি গাছের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে অ্যাজমা হয়।’ : মতিয়া চৌধুরী (https://bit.ly/2SOUBLu, https://bit.ly/2HdQzKJ)
৭) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হাফিংটন পোস্টের ‘How the world Bank broke its promise to protect the poor’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩৪ লাখ মানুষকে ভিটেমাটি থেকে ‘উচ্ছেদ’ করা হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে তাদের জীবিকার অবলম্বন।
৮) আফ্রিকা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরার খনি আফ্রিকাতেই আছে। কিন্তু আফ্রিকার মানুষ দুই বেলা দুই মুঠো খেতে পায় না, রোগ-শোকে কাতর থাকে। আফ্রিকাকে পথে বসিয়ে দেয়ার পেছনে কাজ করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফ মত সংগঠন।
এ বিষয়ে জানতে দুটো আর্টিকেল পড়তে পারেন-https://bit.ly/2UCiszY, https://bit.ly/2TRUfZq
সবচেয়ে ভয়ের কথা হচ্ছে, পুরান ঢাকা ও বুড়িগঙ্গার কথিত উন্নয়নের নামে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ শুরু করেছে। এর মধ্যে ৩টি প্রকল্পের কথা শোনা যাচ্ছে-
১) “ঢাকা ইনটিগ্রেটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্মার্ট সিটি ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট”
এই প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিবে ১৬শ’ কোটি । এই প্রকল্পের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে হবে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পুরান ঢাকায় ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা দেশীয় শিল্প ও বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে এবং ইতিমধ্যে পড়া শুরু করেছে যা সবাই জানে। (https://bit.ly/2O34uES, https://bit.ly/2UAzVbM)
এই প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিবে ১৬শ’ কোটি । এই প্রকল্পের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে হবে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পুরান ঢাকায় ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা দেশীয় শিল্প ও বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে এবং ইতিমধ্যে পড়া শুরু করেছে যা সবাই জানে। (https://bit.ly/2O34uES, https://bit.ly/2UAzVbM)
২) “ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং” -প্রকল্প
এই প্রকল্পের আওতায় কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, নয়াবাজার, সূত্রাপুর এলাকাকে ভেঙ্গে পুর্নগঠন করা হবে। এই প্রকল্পে মূল ব্যয় ৮৮০ কোটি, যার ৮৩৪ কোটি টাকা দিবে বিশ্বব্যাংক। এই প্রকল্পের কারণেও পুরান ঢাকার অধিকাংশ শিল্প ও কারখানা হুমকির মুখে পড়বে, এটা নিশ্চিত।
(https://bit.ly/2Fay08F)
এই প্রকল্পের আওতায় কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, নয়াবাজার, সূত্রাপুর এলাকাকে ভেঙ্গে পুর্নগঠন করা হবে। এই প্রকল্পে মূল ব্যয় ৮৮০ কোটি, যার ৮৩৪ কোটি টাকা দিবে বিশ্বব্যাংক। এই প্রকল্পের কারণেও পুরান ঢাকার অধিকাংশ শিল্প ও কারখানা হুমকির মুখে পড়বে, এটা নিশ্চিত।
(https://bit.ly/2Fay08F)
৩) “বাংলাদেশ রিজিওনাল ওয়াটওয়ে ও ট্র্যান্সপোর্ট প্রজেক্ট ১” –প্রকল্প
এই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা, যা দেবে বিশ্বব্যাংক। (https://bit.ly/2T4yZLh)
এই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা, যা দেবে বিশ্বব্যাংক। (https://bit.ly/2T4yZLh)
এটা আসলে একটা আন্তর্জাতিক প্রকল্প। আপনাদের মনে থাকার কথা, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, কেন ভারত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে নৌ করিডর চায়, সে বিষয়ে (https://bit.ly/2FbXjHG)।
মূলত: এই প্রকল্প হচ্ছে ভারত-নেপাল-ভুটানের সাথে একটি নৌ করিডর তৈরী করার প্রকল্প, যা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ-এর মধ্যে একটি নৌ করিডর তৈরী করবে। এই আন্তর্জাতিক নৌ করিডর প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে সরকার আবার ঢাকার আশেপাশের নদীকে (বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষা, তুরাগ ও বালু নদী) ক্লিয়ার করছে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে। ঐ প্রকল্পের ৮৪৮ কোটি টাকা। (https://bit.ly/2EZ6UAf)
মূলত এই প্রকল্পে কারণে বর্তমানে বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকা ঢাকার আশেপাশে কথিত উচ্ছেদের নামে অনেক ভাংচুর হচ্ছে, বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, খেয়াঘাট সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অনেকে ভাবছে, এগুলো সাধারণ জনগণের উন্নয়নের জন্যই করা হচ্ছে। আসলে না, এই উন্নয়নে হচ্ছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের নৌ করিডর বানানোর জন্য (মোদির ভারত = আমেরিকা)। সেই ভারতের পন্যবাহী জাহাজগুলো যখন চট্টগ্রাম বন্দরে আসা-যাওয়া করবে, তখন মাঝপথে ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরে তারা নৌঙ্গর করবে। তাদের মনরঞ্জনের জন্য তখন থাকবে বিলাশবহুল হোটেল ও রিসোর্ট। বাংলাদেশে ২ টাকার মাঝিমাল্লা রাস্তায় থাকলে সেই পরিবেশ দেখতে খারাপ হবে, তাই তুলে দেয়াতেই এত ভাংচুর আর উচ্ছেদ।
মূলত: এই প্রকল্প হচ্ছে ভারত-নেপাল-ভুটানের সাথে একটি নৌ করিডর তৈরী করার প্রকল্প, যা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ-এর মধ্যে একটি নৌ করিডর তৈরী করবে। এই আন্তর্জাতিক নৌ করিডর প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে সরকার আবার ঢাকার আশেপাশের নদীকে (বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষা, তুরাগ ও বালু নদী) ক্লিয়ার করছে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে। ঐ প্রকল্পের ৮৪৮ কোটি টাকা। (https://bit.ly/2EZ6UAf)
মূলত এই প্রকল্পে কারণে বর্তমানে বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকা ঢাকার আশেপাশে কথিত উচ্ছেদের নামে অনেক ভাংচুর হচ্ছে, বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, খেয়াঘাট সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অনেকে ভাবছে, এগুলো সাধারণ জনগণের উন্নয়নের জন্যই করা হচ্ছে। আসলে না, এই উন্নয়নে হচ্ছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের নৌ করিডর বানানোর জন্য (মোদির ভারত = আমেরিকা)। সেই ভারতের পন্যবাহী জাহাজগুলো যখন চট্টগ্রাম বন্দরে আসা-যাওয়া করবে, তখন মাঝপথে ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরে তারা নৌঙ্গর করবে। তাদের মনরঞ্জনের জন্য তখন থাকবে বিলাশবহুল হোটেল ও রিসোর্ট। বাংলাদেশে ২ টাকার মাঝিমাল্লা রাস্তায় থাকলে সেই পরিবেশ দেখতে খারাপ হবে, তাই তুলে দেয়াতেই এত ভাংচুর আর উচ্ছেদ।
আমার এই আলোচনয় একটি বিষয় ক্লিয়ার,
বুড়িগঙ্গার তীরে উচ্ছেদ, খেয়াঘাট বন্ধ, পুরান ঢাকার শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংস, সবকিছুর পেছনে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের ফান্ডিং এবং বিদেশীদের সুবিধা। সরকার নিজেও জানে, এসব ফান্ডিং নেয়া মানে দেশীয় শিল্প ধ্বংস, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীকে রাস্তার ফকির বানানো, কিন্তু তারপরও জনগণ যেহেতু বিষয়টি বুঝতেছে না এবং ‘উন্নয়ন’ ভেবে বোকা হচ্ছে, তাই তাদের আরো ধোকায় ফেলতে সমস্যা কোথায় ?
বুড়িগঙ্গার তীরে উচ্ছেদ, খেয়াঘাট বন্ধ, পুরান ঢাকার শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংস, সবকিছুর পেছনে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের ফান্ডিং এবং বিদেশীদের সুবিধা। সরকার নিজেও জানে, এসব ফান্ডিং নেয়া মানে দেশীয় শিল্প ধ্বংস, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীকে রাস্তার ফকির বানানো, কিন্তু তারপরও জনগণ যেহেতু বিষয়টি বুঝতেছে না এবং ‘উন্নয়ন’ ভেবে বোকা হচ্ছে, তাই তাদের আরো ধোকায় ফেলতে সমস্যা কোথায় ?
(ছবি: ২০১৫ সালে বুড়িগঙ্গা ও পুরান ঢাকা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাথে মিটিং করে মেয়র সাঈদ খোকন)