গত ২-৩ বছর কর্পোরেটোক্রেসি নিয়ে আমি অনেক দিন শিখিয়েছি আপনাদের ।
কর্পোরেটোক্রেসি প্রতিটা ধাপ বলেছি। বলেছিলাম- খুব শিঘ্রই একটা সময় আসছে, যখন দেখবেন- কিভাবে দেশী উৎপাদন খাতের প্রতিটিকে ধ্বংস করে, বিদেশীদের নিয়ে আসা হবে।
আরো বলেছিলাম- কিভাবে ইট পাথরের উন্নয়ন করে সেই ঋণের বোঝা, জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। তখন অনেকেই এগুলোকে বলেছিলেন রূপকথা। কিন্তু এখন অনেকেই হয়ত বুঝতে পারতেছেন।
কর্পোরেটোক্রেসি প্রতিটা ধাপ বলেছি। বলেছিলাম- খুব শিঘ্রই একটা সময় আসছে, যখন দেখবেন- কিভাবে দেশী উৎপাদন খাতের প্রতিটিকে ধ্বংস করে, বিদেশীদের নিয়ে আসা হবে।
আরো বলেছিলাম- কিভাবে ইট পাথরের উন্নয়ন করে সেই ঋণের বোঝা, জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। তখন অনেকেই এগুলোকে বলেছিলেন রূপকথা। কিন্তু এখন অনেকেই হয়ত বুঝতে পারতেছেন।
যাই হোক, ঐ সময় আমি কর্পোরেটোক্রেসির বিরুদ্ধে একটা শ্লোগান শিখিয়েছিলাম,
শ্লোগানটা ছিলো- উন্নয়ন চাই না, পণ্যের দাম কমান।
অর্থাৎ সরকার বা বেসরকারি কোন উন্নয়ন দেখলে, আগে প্রশ্ন করবেন- এটা মাধ্যমে কি পণ্যের দাম বাড়বে না, কমবে ?
যদি কমে, তাহলে ঠিক আছে, ঐটা দেন।
যার যদি না কমে, বাড়ে তাহলে ঐ পণ্যটা আমার দরকার নাই।
এই একটা সূত্র দিয়ে আপনি সহজেই কর্পোরেটোক্রেসিকে ডিফেন্ড করতে পারবেন।
শ্লোগানটা ছিলো- উন্নয়ন চাই না, পণ্যের দাম কমান।
অর্থাৎ সরকার বা বেসরকারি কোন উন্নয়ন দেখলে, আগে প্রশ্ন করবেন- এটা মাধ্যমে কি পণ্যের দাম বাড়বে না, কমবে ?
যদি কমে, তাহলে ঠিক আছে, ঐটা দেন।
যার যদি না কমে, বাড়ে তাহলে ঐ পণ্যটা আমার দরকার নাই।
এই একটা সূত্র দিয়ে আপনি সহজেই কর্পোরেটোক্রেসিকে ডিফেন্ড করতে পারবেন।
যেমন ধরুন- সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করা হয়েছে ২ মাস।
অনেকে ভাবলেন- এটা তো উন্নয়নের জন্য করতেছে।
কিন্তু এখন খবর আসতেছে-
১)মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার আগেই বাড়ছে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে সব ধরনের মাছের দাম
(https://bit.ly/2Vwzv69)
২) মাছের দাম মানভেদে কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা
(https://bit.ly/2w96bZb)
৩) সবজির দাম কমলেও মাছের বাজার চড়া
(https://bit.ly/2HD1Hzh)
অনেকে ভাবলেন- এটা তো উন্নয়নের জন্য করতেছে।
কিন্তু এখন খবর আসতেছে-
১)মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার আগেই বাড়ছে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে সব ধরনের মাছের দাম
(https://bit.ly/2Vwzv69)
২) মাছের দাম মানভেদে কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা
(https://bit.ly/2w96bZb)
৩) সবজির দাম কমলেও মাছের বাজার চড়া
(https://bit.ly/2HD1Hzh)
কর্পোটোক্রেসির মূল শর্ত হলো দেশীয় উৎপাদন বা ব্যবসায়ীদের শেষ করে দেয়া অথবা তাদের পেশা ছেড়ে দিতে করতে বাধ্য করা। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখলে অনেক জেলে তার পেশা ছাড়তে বাধ্য হবে।
এ সম্পর্কে খবরে এসেছে-
“ সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার বিরোধিতা করে সাবেক একজন প্রতিনিধি বলেন, সারাদেশে ৪৭ হাজার মাছ ধরার বোট রয়েছে। এক কোটি মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে এক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকায় প্রভাব পড়বে।
শহরের কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা বোট মাঝি মো.সৈয়দুল কাদের, আমিনুল ইসলাম, আবুল কালাম বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকলে জেলেদের জীবিকাও বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে অনেক জেলে জীবন-জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় যুক্ত হয়ে পড়েন।কয়েকজন জেলের সাথে কথা বল্লে তারা জানান, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে জেলে ও মাঝি-মাল্লারা বেকার হয়ে পড়েছেন। দুই মাসের বেশি সময় বেকার বসে খাওয়ার মতো সামর্থ্য জেলে পরিবারের থাকে না। এসময় বাধ্য হয়ে অনেকেই পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়। সরকার মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও এই সুফল এদেশের জেলেরা ভোগ করতে পারবে কিনা? এ ব্যাপারে জেলেদের মধ্যে নিধারুন সন্দিহান রয়েছে বলে জানা গেছে। এর সুফল এদেশের মানুষ ভোগ করতে পারবে না বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিলেও পাশের দেশ ভারতের জেলেদের কিন্তু সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে না। আমাদের দেশের অবরোধের সুবিধাটা তারাই ভোগ করবে। ”
(https://bit.ly/2VOqLgE)
এ সম্পর্কে খবরে এসেছে-
“ সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার বিরোধিতা করে সাবেক একজন প্রতিনিধি বলেন, সারাদেশে ৪৭ হাজার মাছ ধরার বোট রয়েছে। এক কোটি মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে এক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকায় প্রভাব পড়বে।
শহরের কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা বোট মাঝি মো.সৈয়দুল কাদের, আমিনুল ইসলাম, আবুল কালাম বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকলে জেলেদের জীবিকাও বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে অনেক জেলে জীবন-জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় যুক্ত হয়ে পড়েন।কয়েকজন জেলের সাথে কথা বল্লে তারা জানান, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে জেলে ও মাঝি-মাল্লারা বেকার হয়ে পড়েছেন। দুই মাসের বেশি সময় বেকার বসে খাওয়ার মতো সামর্থ্য জেলে পরিবারের থাকে না। এসময় বাধ্য হয়ে অনেকেই পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়। সরকার মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও এই সুফল এদেশের জেলেরা ভোগ করতে পারবে কিনা? এ ব্যাপারে জেলেদের মধ্যে নিধারুন সন্দিহান রয়েছে বলে জানা গেছে। এর সুফল এদেশের মানুষ ভোগ করতে পারবে না বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিলেও পাশের দেশ ভারতের জেলেদের কিন্তু সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে না। আমাদের দেশের অবরোধের সুবিধাটা তারাই ভোগ করবে। ”
(https://bit.ly/2VOqLgE)
ধানের দাম কমাটাও কিন্তু একইরকম। সত্যিই বলতে, ধানের দাম কিন্তু এখনই কমে নাই, অনেক আগে থেকেই ধানের দাম কম ছিলো। তবে এবার বেশি কমে গেছে। যদিও কৃষিমন্ত্রী বলেছে,
“বাংলাদেশে কৃষিখাতে বিপ্লব হয়েছে। আমরা সবসময় চাই খাবার ও চালের দাম কম থাকুক। দেশে অধিক ধান উৎপাদন এখন বিড়ম্বনা হয়েছে।” (https://bit.ly/2W5yVAL)
“বাংলাদেশে কৃষিখাতে বিপ্লব হয়েছে। আমরা সবসময় চাই খাবার ও চালের দাম কম থাকুক। দেশে অধিক ধান উৎপাদন এখন বিড়ম্বনা হয়েছে।” (https://bit.ly/2W5yVAL)
— তবে কৃষিমন্ত্রীর কথার সত্যতা নাই। কারণ ধানের দাম কমলেও চালের দাম কমে নাই। তারমানে দাড়াচ্ছে, মাঝখান থেকেই কেউ টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার টাকা তোলার রেট বেশি হওয়ায় ধানের দাম বেশি পড়ে গেছে। মাঝখান দিয়ে দেশী চাষীদের শেষ করে দেয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
কিছুদিন আগে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এক জরিপে উঠে আসে-
কৃষিকাজ ছাড়তে চায় ৬৫ শতাংশ কৃষক (https://bit.ly/2HJ7jYG)
কিছুদিন আগে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এক জরিপে উঠে আসে-
কৃষিকাজ ছাড়তে চায় ৬৫ শতাংশ কৃষক (https://bit.ly/2HJ7jYG)
হিসেবগুলো খুব সোজা-
ক) দেশীয় উৎপাদক শেষ হলে বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে।
খ) বিদেশ থেকে আমদানি করা হলে একদিকে যেমন ভালো কমিশন পাওয়া যায়, অন্যদিকে আমদানির কথা বলে দেশের টাকা বাইরে পাচারও করা যায়।
গ) দেশের কৃষক-জেলেরা পেশা ছেড়ে দিয়ে জমি অবমুক্ত হবে। সেই জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করা যাবে।
ঘ) দেশের ব্যবসায়ী ও উৎপাদক পেশা হারালে প্রচুর পরিমাণে বেকার তৈরী হবে। বিদেশীরা এদেশে এসে মিল-ইন্ডাস্ট্রি করলে তাদের সস্তায় শ্রমিক লাগবে। দেখবেন- সরকার সব সময় বলে- “অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হবে”, এ কথাটা একদিকে যেমন ঠিক, অন্যদিকে সত্যটা হলো- প্রয়োজনীয় লোককে সস্তায় পাওয়ার জন্য তার কয়েকগুন লোককে বেকার বানানো হবে, তারপর প্রতিযোগীতার মাধ্যমে সস্তায় শ্রমিক নেয়া হবে।
ক) দেশীয় উৎপাদক শেষ হলে বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে।
খ) বিদেশ থেকে আমদানি করা হলে একদিকে যেমন ভালো কমিশন পাওয়া যায়, অন্যদিকে আমদানির কথা বলে দেশের টাকা বাইরে পাচারও করা যায়।
গ) দেশের কৃষক-জেলেরা পেশা ছেড়ে দিয়ে জমি অবমুক্ত হবে। সেই জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করা যাবে।
ঘ) দেশের ব্যবসায়ী ও উৎপাদক পেশা হারালে প্রচুর পরিমাণে বেকার তৈরী হবে। বিদেশীরা এদেশে এসে মিল-ইন্ডাস্ট্রি করলে তাদের সস্তায় শ্রমিক লাগবে। দেখবেন- সরকার সব সময় বলে- “অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হবে”, এ কথাটা একদিকে যেমন ঠিক, অন্যদিকে সত্যটা হলো- প্রয়োজনীয় লোককে সস্তায় পাওয়ার জন্য তার কয়েকগুন লোককে বেকার বানানো হবে, তারপর প্রতিযোগীতার মাধ্যমে সস্তায় শ্রমিক নেয়া হবে।
শুনেছিলাম- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একবার নাকি ক্ষোভ প্রদর্শন করে বলেছিলেন- “যে দেশের মানুষ আমার বাবা-মা-ভাইদের মেরেছে আমি তাদের দেখে নেবো”।
আমার মনে হয়- সেই দেখে নেবার কার্যক্রম চলছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষ, মাটি, মাটি, পানি, মাছ-ভাত সব কিছু বিদেশীদের কাছে বিক্রি করার বায়না করে ফেলেছেন, এখন শুধু তার বাকি পর্যায়গুলো দেখা বাকি।
আমার মনে হয়- সেই দেখে নেবার কার্যক্রম চলছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষ, মাটি, মাটি, পানি, মাছ-ভাত সব কিছু বিদেশীদের কাছে বিক্রি করার বায়না করে ফেলেছেন, এখন শুধু তার বাকি পর্যায়গুলো দেখা বাকি।