নিউজ, তথ্য, উপাত্ত, ইতিহাস ও প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করে- আমি আগাম কিছু ধারণা দিতে পারি আপনাদের।এন.সি- ৩৮৭

নিউজ, তথ্য, উপাত্ত, ইতিহাস ও প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করে- আমি আগাম কিছু ধারণা দিতে পারি আপনাদের।
Image result for গাছ
নিউজ, তথ্য, উপাত্ত, ইতিহাস ও প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করে- আমি আগাম কিছু ধারণা দিতে পারি আপনাদের।
কিছু কিছু হয়তও ফেসবুকে প্রকাশ করি, কিন্তু অনেকগুলো করি না।
কারণ আমার কিছু পাঠক এসে অযথা চিল্লা-পাল্লা করে বলে, “দলিল কৈ ? লিঙ্ক কৈ ?”
আরে ভাই যে ষড়যন্ত্র করতেছে, সে কি দলিল আর লিঙ্ক রেখে ষড়যন্ত্র করবে ?
তাহলে আগাম তথ্য দিলেই আপনি লিঙ্ক চান কিভাবে ?
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা অধিদফতরে বিভিন্ন আশঙ্কার কথা পাঠায়, সেখানে এরকম হাজার হাজার আগাম তথ্য থাকে, ১টা বাস্তব হলেও, ৯৯৯টা বাস্তব হয় না।
বাস্তব না হওয়ার আরেকটা কারণ, আগাম তথ্যের কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বশীলরা আগে থেকেই সচেতন হয়ে যায়, ষড়যন্ত্রকারীরা যখন জানতে পারে, তাদের আগাম তথ্য ফাঁস, তখন তারা পলিসি পরিবর্তন করে নতুন পলিসি করে।
আমি আগেও বলেছি, এখন বলছি,
আমি জনগণের জন্য লিখি,
আমি চাই, জনগণ আমার আগাম তথ্য পেয়ে সতর্ক হয়ে যাক এবং ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের প্ল্যান ঘুরিয়ে ফেলুক।
তবে হ্যা, প্রতিটি বিষয়ের দলিল পাওয়া সম্ভব, এবং তার জন্য সময়েরও প্রয়োজন। কিন্তু ততক্ষণে মূল ঘটনা ঘটে যাবে, তখন সাধারণ মানুষের আর কিছু করার থাকবে না। তাই সূত্র বা রেফারেন্সে প্রয়োজনে আগাম তথ্য প্রকাশে যদি দেরি, তবে ঘটনা ঘটে সম্ভবনা বেশি থাকে।
কিন্তু আমি যদি আপনাদের আগাম কিছু ইঙ্গিত দিয়ে রাখি, সে অনুসারে আমরা অনলাইনে লিখতে থাকলেন, সতর্ক হতে থাকলেন, তাহলে তারা তাদের অনেক প্ল্যান তারা ঘুড়িয়ে নিতে বাধ্য হবে।
কেস স্ট্যাডি : নুসরাত
আজকে ফেণীর নুসরাত রাফি মূল ঘটনা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলাম। যেটা অনুমান করলাম-
১) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌল্লা ছাত্রীদের উপর নির্যাতন করেছে, এটা সম্ভবত সত্যি। তার উপযুক্ত বিচার হওয়ার উচিত।
২) তবে ঘটনার মূল পয়েন্ট আরেকটি – সেই চারজন বোরকা পরিহিত বা পরিহিতা, যারা আগুন দিয়েছে’ তারা আসলে কে ? এটা বের করা। অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌল্লার বিচার নিপীড়ক হিসেবে সর্বোচ্চ বিচার হোক, কিন্তু আগুন দিয়ে হত্যার জন্য ঐ চার জনকে খুঁজেই বিচার করতে হবে। আমার খুব সন্দেহ- এই চার বোরকা পরিহিত বা পরিহিতা হলো ‘থার্ড পার্টি’।
৩) থানায় যদি কেউ জিডি করে, তবে তাকে কিছু করতে ভয় পায় আসামীরা। সেখানে একটা মামলা চলতেছিলো। এই অবস্থায় আগুন দিয়ে যেই হত্যা করুক, দোষ কিন্তু আসামীর ঘাড়ে। তাই এখানে থার্ড পার্টি ঢুকার সম্ভবনা আছে।
৪) নুসরাত নামক মেয়েটির উপর আগেও নিপীড়ন, টিজিং হয়েছে। যার খবর ২ বছর আগেও দেশের অনেক জাতীয় পর্যায়ের পত্রিকায় আসে (https://bit.ly/2P6qZsN), স্বাভাবিক তখন অনেকেরই নজরে পড়েছে মেয়েটি। তাই এর মাঝে কোন ‘নারীবাদী’ এনজিও নুসরাতের সাথে যোগাযোগ করেছিলো কি না, সেটাও খবর নেয়া উচিত। কারণ নুসরাতের সে ভয়েস রেকর্ড বা চিঠি পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে কিছু কিছু শব্দ চয়েসে সে রকম কিছু আভাস পাওয়া যায়। যদি নারীবাদী এনজিও’র খবর পাওয়া যায়, তবে ‘ আগুন দেয়া বোরকা পরিহিতা অজ্ঞাত ৪ জন’ এর সাথে তাদের যোগাযোগ থাকতে পারে। (https://bit.ly/2Kv5Jyr)
কি কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে ?
অনেক কারণে হতে পারে। যারা এ রকম ঘটনা ঘটনায় তারা এসব ঘটনা থেকে নানান সুবিধা নিতে পারে। তবে আজকে তাদের ১টি সুবিধা নেয়ার কথাই আলোচনা করবো-
ক) সম্ভবত এই ঘটনার মাধ্যমে ‘ইসলামপন্থী নারী’দের মধ্যে নারীবাদের উত্থ্যান ঘটানোর চেষ্টা করা হবে। এতদিন শুধু বাম, নাস্তিক, অমুসলিম, অধুনা নারীদের মধ্যে নারীবাদের প্রবেশ ছিলো, কিন্তু ইসলামপন্থী নারীদের মধ্যে বিষয়টি প্রবেশ করাতে পারেনি। সম্রাজ্যবাদীরা এতদিন দেখেছে, বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ ইসলামপন্থী হওয়ায় শুধু বাম-নাস্তিক-অমুসলিমদের মাধ্যমে কিছু করে খুব একটা প্রভাব তারা ছড়াতে পারবে না, তাই ইসলামপন্থীদের মধ্যে তাদের লোক প্রবেশ করানো জরুরী। যেমন- কিছুদিন আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়তে এক নাস্তিক ধরা পড়লো মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড (https://bit.ly/2uYRVRZ), বাংলাট্রিবিউনের যে সাংবাদিক ওয়াজের বিরুদ্ধে লিখে বাংলাদেশে ওয়াজ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, সেই ‘সালমান তারেক শাকিল’ নামক সাংবাদিক কিন্তু মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড (https://bit.ly/2Iek93U), নাস্তিক মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ- একজন ইমাম ও হাফেজ। তারমানে ইসলামপন্থীদের মধ্যে পশ্চিমারা নাস্তিকতার বেশে এজেন্ট ইনফিলট্রেট করতেছে। ঠিক একইভাবে ইসলামপন্থী নারীদের মধ্যে পশ্চিমা নারীবাদীরা তাদের মতবাদ ইনফিলট্রেট করার চেষ্টা করবে না, এটা বলা যায় না।
খ) নারী-পুরুষ একত্রে থাকলে অপকর্ম ঘটবেই, এটা কেউ এড়াতে পারবে না। সেটা আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক, ইমাম হোক আর মাদ্রাসার হুজুর হোক। আপনারা জানেন, নাস্তিক ও সংস্কৃতিবাদীদের নেতৃস্থানীয় নাট্যকার ছলিমুদ্দিন (পরিবর্তিতে নাম পরিবর্তন করে রাখে সেলিম-আদ-দ্বীন) এবং অ্যাডভোকেট ইমতিয়াজ মাহমুদরাও নারী নিপীড়নের সাথে জড়িত। তাই সর্বক্ষেত্রেই উচিত নারী পুরুষ আলাদা করে দেয়া। সেটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক, ট্রেন-বাসে হোক আর শপিং কমপ্লেক্সে হোক। আমি আমার ইশতেহার : জেগে ওঠো বাংলদেশের ১৬.৮ নম্বর পয়েন্টে কিন্তু বলেছিলাম-
“নারী নির্যাতন বন্ধ করতে নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, যানবাহন, হাসপাতাল, তৈরী করতে হবে।এসব প্রতিষ্ঠানে শুধু নারীরা-ই কাজ করবে, ফলে অনেক নারীর নিরাপদ কর্মসংস্থান হবে।”
এই পলিসি না করে হাজার চেষ্টা করেও আপনি নারী নিপীড়ন বন্ধ করতে পারবে না।
(https://bit.ly/2uYJjLg)
গ) নারীবাদীরা চায় সঠিক সমাধানের দিকে না গিয়ে নারী-পুরুষ দ্বন্দ্ব তৈরী করে সেখান থেকে ফায়দা নিতে। যেমন- ‘গা ঘেষে দাড়াবেন না’, ‘আত্মরক্ষার্থে কুংফু শিখুন’, ‘ব্যাগে ছুরি রাখুন’, এগুলো দিয়ে নারীদেরকে পুরুষের বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছে। এতদিন বিষয়গুলো নাস্তিক, বাম, অমুলিম ও অধুনা নারীদের মধ্যে ছিলো। কিন্তু এখন তারা চাচ্ছে, ইসলামপন্থী নারীরা তাদের সাথে আসুক। যেমন আজকে যুগান্তরের খবর- “চাঁদপুরে মসজিদে ইমামের ওপর নারীদের হামলা”
খবরের ভেতরে- “ফজরের নামাজ শেষে সালাম ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তিন নারী বোরকাপরা অবস্থায় মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম মো. সৈয়দ আহাম্মদের ওপর মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেন ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। মুসল্লিরা হামলাকারীদের আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। হামলাকারীদের মধ্যে মসজিদ কমিটির সহসভাপতি নুরুল আমিনের মেয়ে রয়েছেন।
জানতে চাইলে নুরুল আমিন বলেন, মসজিদের ইমাম বহুদিন ধরে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। “ (https://bit.ly/2UP4bTH)
আসলেই কি নারীবাদের মাধ্যমে নারীদের উগ্র করে সমাজে নারী নিপীড়ন বন্ধ করা সম্ভব?
আমার মনে হয় না। কারণ নারীবাদ নামক নারীদের সহিংস হয়ে উঠাই যদি নারী নিপীড়ন বন্ধে সক্ষম হতো, তবে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফান্স, জার্মানি, কানাডা, সুইডেন বিশ্বের শীর্ষ ধর্ষক রাষ্ট্র হয়ে উঠতো না (https://bit.ly/2HIJr9Y)। আমি আগেও বলেছি, নারী ধর্ষণ ও হত্যার পেছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে ‘হিংসা’। নারীদের সহিংস করে দিলে তারা তাৎক্ষণিক কিছু নিপীড়ককে হেনস্তা করতে পারে। কিন্তু সামগ্রিক দিক বিবেচনা করলে এর মাধ্যমে যতটুকু পুরুষ নিপীড়কদের দমন করতে পারবে, তার থেকে তাদের উপর বেশি পুরুষবাদীদের হিংসা বেড়ে যাবে এবং পুরুষের আক্রমনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। এবং সেই হিংসার কারণে নারী নির্যাতন বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে ।
তাহলে কি নারীরা তাদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদ করবে না ?
অবশ্যই করবে ।
কিন্তু সেটা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে। নারীকে সহিংস করে নয়।
প্রথমত, ধর্মীয় আইনগুলোতে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, এই আইন আগে জারি করতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো নারীবাদীরাই তো সেই আইনের বিরোধীতা করে (https://bit.ly/2UdV8r8)।
দ্বিতীয়ত, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর’। পুরুষদের জন্য পুরুষ নিয়ন্ত্রিত আলাদা প্রতিষ্ঠান বা যানবাহন, নারীদের জন্য নারী নিয়ন্ত্রিত আলাদা প্রতিষ্ঠান-েযানবাহন করতে হবে।’
তৃতীয়ত, নারীদের পরিপূর্ণ ধর্মীয় পোষাকের গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। আজকে প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে দেখলাম ‘নেকাব’ ব্যবহার করতে বারণ করছে, কয়েকদিন আগে দেখলাম লালমনিরহাটে পরীক্ষার হলে ‘নেকাব’ ব্যবহার করতে নিষেধ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে ধর্মীয় রীতিগুলো সঠিকভাবে পালনের উপর জোর দিতে হবে।
নৈতিকতার ৪ ব্লকের ৩য় ব্লক, উন্মুক্ত হলে কি সমস্যা ?
সমাজের নীতি নৈতিকতা কতগুলোকে কতগুলো পর্যায় বা ব্লক হিসেবে যদি কল্পনা করি, তবে,
প্রথমে- খারাপ জিনিস লেখা/সাহিত্যে পড়বে,
দুই- খারাপ জিনিস টিভি/মিডিয়াতে দেখবে,
তিন- ঐসব জিনিস নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করবে,
চার- বাস্তবে সেই কাজগুলো করবে।
কোন নারী নির্যাতিত হলে, সেগুলো বিচারের ট্রাইবুনালে গোপনে আলোচনা হবে ও সুষ্ঠু বিচার হবে। কিন্তু নারীবাদীরা চায় সেগুলো প্রকাশ্যে আসুক। এতে হয়ত মেয়েটি প্রকাশ্যে তার উপর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারছে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু সেই প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সে থার্ড ব্লক হিসেবে কাজ করে উন্মুক্ত আলোচনা ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং চর্তুথ ব্লককে সেই সহজতর করে দিচ্ছে। এতে যতটুকু না উপকার হচ্ছে, পুরো সমাজের কথা বিবেচনা করলে করলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হচ্ছে। তাই নারীবাদীদের দেখিয়ে দেয়া পথে যদি আমরা হাটি তবে শান্তি আসা তো দূরের কথা, অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা আরো বাড়বে, এটা নিশ্চিত।
নারীবাদ দিয়ে আমার আরো লেখা-
ক) নারীবাদ সিআইএ প্রজেক্ট –https://bit.ly/2U9YBH7
খ) মোশাররফ করিমের অনুষ্ঠানের নারীবাদ – https://bit.ly/2VMJBk0
গ) রুমানা থেকে মিতু, সাঈদ থেকে আকাশ: আমাদের শিক্ষা কি?- https://bit.ly/2P533pM
ঘ) লজ্জা, লাজ, শরম, হায়া, শালীন - https://bit.ly/2GifeN2