দেশে প্রতিদিন কোন না কোন ব্যবসা-বাণিজ্য বা শিল্প-কারাখানায় আগুন লাগছে।এন.সি- ৩৮০

দেশে প্রতিদিন কোন না কোন ব্যবসা-বাণিজ্য বা শিল্প-কারাখানায় আগুন লাগছে।
Image result for কলমদেশে প্রতিদিন কোন না কোন ব্যবসা-বাণিজ্য বা শিল্প-কারাখানায় আগুন লাগছে।
বিষয়টা অনেকটা এখন গা সওয়া হয়ে গেছে।
আজ থেকে ২ মাস আগে আমি বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সচেতন করেছিলাম
এবং বলেছিলাম কি কারণে এমনটা করা হচ্ছে।
যাই হোক, এখন বিষয়টি নিয়মিত হয়ে যাওয়ায় অনেকে হয়ত বুঝতে পারছে
কিন্তু এই বুঝতে পারার পর যেটা দরকার ছিলো, সেটা কিন্তু হয়নি।
প্রতিদিন এই আগুন লাগার দরুন, দেশের অর্থনীতি তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
শেষ হচ্ছে দেশী ব্যবসায়ী মহল, বেকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
আমি অনেক আগেই বলেছি, “বাংলাদেশে কর্পোরেটোক্রেসি আসছে”
কেউ বুঝুক আর না বুঝুক, দেশকে আকড়ে ধরছে কর্পোরেটোক্রেসি।
কর্পোরেটোক্রেসি আসলে কি হবে ?
যেমন- ধরুন, বাংলাদেশের বাজার-দোকানগুলোতে আগুন লাগবে। অনেক মানুষ মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করতো, সেটা শেষ করে মেগা শপ দেয়া হবে। মেগা শপগুলো হয় সরাসরি বিদেশী মালিকানায় হবে, নয়ত দেশী কোন ব্যবসায়ীর্ আন্ডারে থাকবে, কিন্তু বিদেশী কোম্পানির শেয়ার থাকবে।
আবার ধরুন, ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করছে। এটা তারা অমুক-তমুক বলে শেষ করে দিবে, এরপর তারা বসে গেলে বিদেশীরা সেটা গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে খবর বেড়িয়েছে ব্রিটেন বাংলাদেশের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং এর দায়িত্ব নিতে চায় (https://bit.ly/2PpZ2MP)।
একইভাবে দেশের সুপেয় পানির নিয়ন্ত্রণ নিতে ইতিমধ্যে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে মার্কিন সম্রাজ্যবাদের চ্যালারা (ঢাকার অদূরে মাটির তলদেশে বিশুদ্ধ খাবার পানির বিশাল খনি পাওয়া গেছে, যা দিয়ে ৪০ বছরের পানির চাহিদা মিটবে- https://bit.ly/2JUiQor) । আমি ১ বছর আগেই বলেছিলাম, বাংলাদশের সুপেয় পানির দায়িত্ব জাতিসংঘ ইহুদী কর্পোরেট কোম্পানি ইউনিলিভারের হাতে তুলে দিয়েছে (https://bit.ly/2PnoouZ) । এখন শুধু আপনার বাকি নাটক দেখতে থাকেন।
এখন উৎপাদন খাতগুলো একে একে ধরা হবে-
১) আম (কেমিক্যাল আছে বলে পুলিশি পাহাড়ায় আম সীমাবদ্ধ করা হবে)
২) পুকুর-মাছ (ব্যবহার করা হবে ইটভাটা ও বায়ুদূষণ তত্ত্বকে)
৩) মুরগীতে ক্ষতিকারক বিষ আছে বলে পোল্ট্রি শিল্প শেষ করা হবে
৪) ডেইরি শিল্প বন্ধে বড় পরিকল্পনা আছে এবং বিশ্বব্যাংকের সেখানে ইনভেস্ট আছে।
৫) পুরান ঢাকার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা বন্ধ করে সেখানে কোন সুউচ্চ ভবন হবে তার
আর্কিটেক ইমেজ সরকারের কাছে জমা পড়ে গেছে ইতিমধ্যে।
বিষয়টি আমার কাছে খারাপ লাগছে মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লক সদস্যরা যে যে ইস্যু উস্কে দিচ্ছে, সেগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষ লাফালাফি করতেছে। আসলে বাংলাদেশের মিডিয়া জগত হচ্ছে মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের আস্তানা। এর অবশ্য বেসিক একটা কারণ আছে। সাংবাদিক ও চিফ নিউজ এডিটরদের মধ্যে একটা বড় অংশ আছে ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনগুলো থেকে আগত, যা মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের আন্ডারে চলে।
মুন্নী সাহা, জয়ই মামুন, শাহনাজ মুন্নী, খালেদ মহিউদ্দিন, তৌফিক ইমরোজ খালেদী, কাজী আনিস আহমেদ, মতিউর রহমান, আনিসুল ইসলাম, নবনীতা চৌধুরী, ইীশতিয়াক রেজা, অঞ্জন রায়, সামিয়া জামান- -সব ডেমোক্র্যাট ব্লকের বাংলাদেশের সদস্য।
এটাতো গেলো পুরাতনদের কথা , নতুনভাবে বিভিন্ন ভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও পাঠ্যসূচি ওদের মত করে সাজানো হচ্ছে, যেন একটা মেশিন তৈরী হয়, যেই মেশিন দিয়ে যত সাংবাদিক বের হবে, সব হবে মার্কিন ডেমোক্রেট ব্লকের সদস্য।
আমি দেখি ফেসবুকে অনেক ইলুমিনাতি, সিক্রেট সোসাইটি অমুক-তমুক নিয়ে অনেক স্ট্যাডি করে।
আমি তাদের বলবো, ওগুলো নিয়ে সময় অপচয় না করে ‘ওপেন সোসাইটি’ আর সেখানে ৩২ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করা জর্জ সরোস নিয়ে নিয়ে আলোচনা করেন, স্ট্যাডি করেন। সে কি কি প্ল্যান নিয়ে কাজ করে, তার পলিসিগুলো কি তার নিয়ে স্ট্যাডি করেন, দেখবেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির অনেকটাই ক্লিয়ার হয়ে যাবে। বুঝবেন- সরোস আর ট্র্যাম্প দ্বন্দ্ব, আর এ অঞ্চলে সরোসের মত মূল মূল প্লেয়ার কারা, কিভাবে কাজ করে তার রূপরেখা (https://osf.to/2JNf036)।
যাই হোক, যে কথাটা আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম,
মিডিয়া আমাদের হাতে যে ইস্যুগুলো তুলে দিচ্ছে সেগুলো নিয়ে লাফিয়ে আমরা মূলত মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকদের পারপাস সার্ভ করি। কিন্তু সে সব ইস্যু বাদ দিয়ে যেগুলো প্রকৃত জনগণের ইস্যু সেগুলো নিয়ে জনগণের মাঠে নামা উচিত। বিশেষ করে “কেন এত আগুন ধরছে ? আগুন ষড়যন্ত্র বন্ধ হোক” এই শিরোনামে ব্যবসায়ী-কর্মচারি-জনগণের একত্রে হয়ে মাঠে নামা জরুরী বলে মনে করছি।
আরো পড়তে পারেন-
১) রোহিঙ্গা সংকটের পেছনে জর্জ সরোজ- https://bit.ly/2ZrBoUX
২) রোহিঙ্গা সংকট ও জর্জ সরোস – https://bit.ly/2KWnIhx
৩) জর্জ সরোসের ঘনিষ্ট ফজলে হাসান আবেদ - https://bit.ly/2UO07nr