অ্যানালাইসিস ক্লাস নেয়ার সময় আপনাদের শিখিয়েছিলাম,
প্রতিটি জিনিস বা ঘটনার দুটি ফেস থাকে।
১) রিয়েল ফেস
২) আর্টিফিসিয়াল ফেস
প্রতিটি জিনিস বা ঘটনার দুটি ফেস থাকে।
১) রিয়েল ফেস
২) আর্টিফিসিয়াল ফেস
মূলত ঘটনা ঘটে রিয়েল ফেসের জন্য। তবে যারা ঘটনা ঘটায় তারা মূল ঘটনার সাথে এমন কিছু ঘটায় যেটা পরবর্তীতে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করে, এত রিয়েল ফেস আড়াল হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষ আসল খবর কখনই জানতে পারে না। তবে সুবিধা হচ্ছে, যে ঘটনা ঘটাচ্ছে, আর রিয়েল ফেসে যাদেরকে মেসেজ দেয়া হচ্ছে, তারা সবাই পুরো বিষয়টি বুঝতেছে। তাদের মধ্যে লেনদেন, দেনা পাওয়া সে অনুসারে চলতেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ আর্টিফিসিয়াল ফেস নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তিলকে তাল বানায় নিজেরাই প্রচার করতেছে, ফলে ঘটনার রিয়েল ফেস চিরজীবন তাদের কাছে অধরাই থেকে যাবে।
যেমন, ঢাকার হলি আর্টিসানের ঘটনাই চিন্তা করুন। ঘটনায় যারা মারা যায়, তাদের মধ্যে ৭ জন ছিলো মেট্রোরেল (এমআরটি-১) ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে আসা ৭ জাপানি। আর ৯ জন ছিলো ইতালির গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। আবার ঘটনার শেষে আটক করা করা হয় নর্থ সাউথের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে, যে বাংলাদেশের অন্যতম বড় ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী রেজাউল করিমের ছেলে। ঘটনা যেটাই প্রচার হোক, আমার ধারণা সেখানে কোন ব্যবাসয়ীক মিটিং বা ভাগাভাগি চলছিলো, কোন এক পক্ষ হয়ত কৌশলে ট্র্যান্সকমের লতিফুরের নাতি ফারাজ, দেশের শীর্ষ শিল্পপতি শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদ, আফতাবগ্রুপের মালিকের মেয়ে ইশরাত আকন্দ, বাংলাদেশে ভারতীয় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সঞ্জিব জৈনের মেয়ে তারুশি জৈনকে ডেকে আনছে বা কোন কারণে আনানো হইছে। এরপরের ঘটনা সবার জানা।
আমার বলার উদ্দেশ্য, মূল ঘটনা বা যেটা রিয়েল ফেস সেটা ঐ ঘটনার যারা যারা প্লেয়ার বা ভুক্তভোগী সবাই জানে। এবং কার কোন মেসেজ পাওয়া দরকার সেটা তারা পেয়ে গেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেন সেই রিয়েল ফেসে ইন্টারফেয়ার না করতে পারে, সে জন্য সেখানে ধর্মীয় আবরণ দেয়া হয়। অনেক ঘটনা সাজানো হয়, যেন সাধারণ মানুষ সেটা দেখে বিভ্রান্ত হয় এবং রিয়েল ফেস হাইড থাকে। এবং সর্ব শেষে যেটা হয়, যাদের দ্বারা ঘটনা ঘটানো হয়, তাদেরকে হত্যা বা ক্রস ফায়ার দেয়া হয়। এটা যেন অলিখিত চূক্তি। ঘটনার সাথে জড়িত কোন পক্ষই হয়ত চায় না ঘটনার রিয়েল ফেস কখন জনসম্মুখে আসুক।
আমার বলার উদ্দেশ্য, মূল ঘটনা বা যেটা রিয়েল ফেস সেটা ঐ ঘটনার যারা যারা প্লেয়ার বা ভুক্তভোগী সবাই জানে। এবং কার কোন মেসেজ পাওয়া দরকার সেটা তারা পেয়ে গেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেন সেই রিয়েল ফেসে ইন্টারফেয়ার না করতে পারে, সে জন্য সেখানে ধর্মীয় আবরণ দেয়া হয়। অনেক ঘটনা সাজানো হয়, যেন সাধারণ মানুষ সেটা দেখে বিভ্রান্ত হয় এবং রিয়েল ফেস হাইড থাকে। এবং সর্ব শেষে যেটা হয়, যাদের দ্বারা ঘটনা ঘটানো হয়, তাদেরকে হত্যা বা ক্রস ফায়ার দেয়া হয়। এটা যেন অলিখিত চূক্তি। ঘটনার সাথে জড়িত কোন পক্ষই হয়ত চায় না ঘটনার রিয়েল ফেস কখন জনসম্মুখে আসুক।
একইভাবে সম্প্রতি শ্রীলংকার বোমা হামলাটা দেখুন। আমার কাছে মনে হয়েছে, বেসিক্যালী হামলাটা হয়েছে আসলে ভাইভ স্টার হোটেল কেন্দ্রীক, এটা হলো রিয়েল ফেস। আর চার্চে যেটা হয়েছে সেটা হলো আর্টিফিয়াল ফেস, ঘটনাকে ধর্মীয় মেরুকরণ করার জন্য। পুরো ঘটনায় ৩১ জন বিদেশী নাগরিক মারা গেছে, এই বিদেশী নাগরিদের নিয়ে বিশ্লেষণ করলে ঘটনার রিয়েল ফেস উদ্ভাবন করা সম্ভব। যেমন- এ ঘটনায় ডেনিশ ধনকুবের আন্দ্রেস হোচ পোভলসেনের তিন সন্তান নিহত হয়েছে, যেই ধনকুবেরের কোম্পানি বেস্টসেলার -এর বড় ইনভেস্ট হলো চীন কেন্দ্রীক। আছে শেখ সেলিমের নাতি জায়ান। শেখ পরিবারের সাথে বর্তমানে চীনা ব্যবসায়ীক কানেকশন কারো অজানা নয়। এক্ষেত্রে চীনা কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীক বলয়কে একটি মেসেজ দেয়াটা মূখ্য মনে হয়েছে। আবার হত্যা করা হয়েছে ৪ জন ভারতীয় বিজেপি কর্মীকে, যাকে অজুহাত করে রিপাবলিকান ব্লকের মোদি ভোট ব্যাংক বাড়াচ্ছে। এবং এ ক্ষেত্রেও সুইসাইড বোম্বার ঘটনা ঘটায়, যেন শেষ পর্যন্ত কোন প্রুভ অবশিষ্ট না থাকে।
তবে একটা ক্যালকুলেশনে বলা যায়,
যারা ফিল্ডে বোমা ফাটিয়ে ঘটনাকে ধর্মীয় মেরুকরণ করে,
আবার ঘটনার পর মিডিয়া বা বক্তব্যের মাধ্যমে যারা ঘটনার ধর্মীয় মেরুকরণ করতে চায়, তাদের দিক নির্দেশণা একই ধারা থেকে আগত বা গোড়াটা এক।
অর্থাৎ বর্তমানে যারা ঘটনাকে ধর্মীয় মেরু করণ করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা কোন কোন ব্লকের সদস্য, এবং সেই ব্লকগুলোর এ অঞ্চলে ‘পলিসি কি’ সেটা যাচাই করলে মূল ঘটনা বের করা সম্ভব।
যারা ফিল্ডে বোমা ফাটিয়ে ঘটনাকে ধর্মীয় মেরুকরণ করে,
আবার ঘটনার পর মিডিয়া বা বক্তব্যের মাধ্যমে যারা ঘটনার ধর্মীয় মেরুকরণ করতে চায়, তাদের দিক নির্দেশণা একই ধারা থেকে আগত বা গোড়াটা এক।
অর্থাৎ বর্তমানে যারা ঘটনাকে ধর্মীয় মেরু করণ করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা কোন কোন ব্লকের সদস্য, এবং সেই ব্লকগুলোর এ অঞ্চলে ‘পলিসি কি’ সেটা যাচাই করলে মূল ঘটনা বের করা সম্ভব।
তবে ছোট্ট একটা বিষয় আপনাদের বলে রাখি-
ফেসবুকে একটা ভাইরাল কথা আছে, “আমি ঘুমে থাকি, আমার হিসাব থাকে না”।
এ কথাটা সারমর্ম হইলো, যে নিজেকে হঠাৎ করে ইনোসেন্ট সাজাতে চায়, তার মধ্যে সন্দেহ বেশি হয়। যেমন- টুইন টাওয়ারে যখন বোমা হামলা হইলো, তখন প্রেসিডেন্ট বুশকে পাওয়া গেলো, সে বাচ্চাদের সাথে খেলাধূলা করতেছিলো। সে কিছুই জানে না, খুব ইনোসেন্ট। একইভাবে- শ্রীলংকায় যখন বোমা হামলা হইলো তখন ট্র্যাম্প ‘ভুল’ টুইট করলো, বললো- “বিস্ফোরণে ১৩৮ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে ৬০০-রও বেশি মানুষ। ”
আহহা কত ইনোসেন্ট, সেই ভাইরাল কথাটা তখন মনে পড়ে গেলো, “আমি ঘুমে থাকি, আমার হিসাব থাকে না”।
ফেসবুকে একটা ভাইরাল কথা আছে, “আমি ঘুমে থাকি, আমার হিসাব থাকে না”।
এ কথাটা সারমর্ম হইলো, যে নিজেকে হঠাৎ করে ইনোসেন্ট সাজাতে চায়, তার মধ্যে সন্দেহ বেশি হয়। যেমন- টুইন টাওয়ারে যখন বোমা হামলা হইলো, তখন প্রেসিডেন্ট বুশকে পাওয়া গেলো, সে বাচ্চাদের সাথে খেলাধূলা করতেছিলো। সে কিছুই জানে না, খুব ইনোসেন্ট। একইভাবে- শ্রীলংকায় যখন বোমা হামলা হইলো তখন ট্র্যাম্প ‘ভুল’ টুইট করলো, বললো- “বিস্ফোরণে ১৩৮ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে ৬০০-রও বেশি মানুষ। ”
আহহা কত ইনোসেন্ট, সেই ভাইরাল কথাটা তখন মনে পড়ে গেলো, “আমি ঘুমে থাকি, আমার হিসাব থাকে না”।