মাইরের ওপর ওষুধ নাই
বিশ্বব্যাংকের ইকোনোমিক হিট ম্যান (অর্থনৈতিক ঘাতক)দের দ্বারা গঠিত প্রকল্পে ধ্বংস হচ্ছে পুরান ঢাকা ও বুড়িগঙ্গার তীরে ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা শিল্প ও বাণিজ্য। যারা ইকোনোমিক হিটম্যান দ্বারা বানানো পদ্ধতি (কর্পোরেটোক্রেসি) মেনে নিবে, তারা নির্ঘাত পথে বসে যাবে, দেওলিয়া হয়ে যাবে, আফ্রিকার জনগণের মত না খেয়ে কঙ্কালসার হয়ে মরবে। তাই মরার আগেই তাদের প্রতিবাদ করতে হবে। আজকে বুড়িগঙ্গার তীরে খেয়াঘাটের মাঝিরা বিশ্বব্যাংক ও তার দালালদের বিরুদ্ধে যে বৈঠা হাতে তুলে নিয়েছিলো, এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা। ২০১১ সালে আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দরের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণ যেভাবে লাঠিসোটা, রামদা, হকিস্টিক, দা, ঝাড়ু হাতে মাঠে নেমেছিলো, পুলিশকে পিটায় মেরে ঐ প্রকল্প বাতিল করছিলো, সেটাই হলো কর্পোরেটোক্রেসি’র বিরুদ্ধে উত্তম জবাব।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা অবশ্য একটা ভুল করছে, এজন্য তাদের ব্যবসা এখনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের শুরুতেই উচিত ছিলো সবাই মিলে একসাথে খেয়াঘাটের মাঝি ও আড়িয়াল বিলের জনগণের মত অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাঠে নামা, লক্ষ মানুষের জীবিকা যারা নষ্ট করত চায় তাদের উত্তম মধ্যম দেয়া। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের কমিশনভোগী দালাল সাঈদ খোকনকে উপযুক্ত শায়েস্তা করা । নাজিরাবাজারে তার পৈতৃকবাড়ির অবরোধ করা। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশীয় শিল্পখেকো বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্ট বাতিল না করবে, ততক্ষণ সাঈদ খোকনের বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখা। তার কাছে জবাব চাওয়া, কোন সাহসে সে ইহুদী বিশ্বব্যাংকের কাছে পুরান ঢাকা ও বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ৪শ’ বছরের শিল্প-বাণিজ্য ও খেটোখাওয়া মানুষের রুটি-রুজির একমাত্র অবলম্বন বিক্রি করেছে ?