২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে দুটো স্ট্যাটাসে দুটি কথা বলেছিলাম:
১) বাংলাদেশের চর্তুপাশ্বে উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে। ভারতে হিন্দু সন্ত্রাসী আরএসএস, শ্রীলঙ্কায় উগ্র বৌদ্ধ সন্ত্রাসী বিবিএস (বধু বালা সেনা) আর মায়ানমারে উগ্র বৌদ্ধ সন্ত্রাসী ৯৬৯ মুভমেন্ট। মাঝমানে ছোট্ট অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বেশিদিন টিকতে পারবে না।…….আপনি হয়ত অসাম্প্রদায়িক সেজে গুড বয় হয়ে থাকবেন । তবে সেখানে লাভ হবে না। ওরাই বানোয়াট ঘটনা ঘটিয়ে আপনাকে জঙ্গী দাবি করে তারপর নিধন করবে। তাদের আইডলজি হলো মুসলিম নিধন, সেটা যে অজুহাতেই হোক। প্রয়োজনে বাঘ-হরিণের গল্পের মত বলবে- “তুই পানি ঘোলা করিসনি তো কি হয়েছে, তোর বাপ-দাদা তো ঘোলা করেছিলো ? তোকে আমি খাবোই।”………..আমি আবার বলছি-BBS-969-RSS কিন্তু সংগঠনের জোট নয়, এটা বাংলাদেশের চারদিকে ঘিরে থাকা দেশগুলোর জনগণ, সরকার ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত জোট। এদের মোকাবেলায় যারা কথিত অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলবে, তারা মীর জাফর। তারা বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দিয়ে পালিয়ে যাবে। এই আগাম বিপদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সকল জনগণ, সরকার ও সামারিক বাহিনী কি করবে তার সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে।
(https://tinyurl.com/yxgxehfj)
(https://tinyurl.com/yxgxehfj)
২) মুসলমানদের চীন-আমেরিকা-রাশিয়া-ব্রিটেনের দিকে তাকিয়ে না থেকে নতুন মুসলিম জোট গঠন করার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। তুরষ্ক, পাকিস্তান, ইরান, বাংলাদেশ, কাজাখস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সুদান মালয়েশিয়া একত্র হয়ে মুসলমানদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে- আমেরিকা-চীন যে নতুন দ্বন্দ্ব তৈরী করেছে , তার কেন্দ্রস্থল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এ অঞ্চলে দ্বন্দ্ব মানেই বাংলাদেশ-ভারত-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ার বিরাট মুসলিম জনগোষ্ঠীর ক্ষতি হওয়া। মুসলমানরা আগে থেকে এর বিরুদ্ধে প্ল্যান নিয়ে এক না হলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।....ভুলে গেলে চলবে না- এর আগের টার্মে তৎকালীন সুপার পাওয়ার সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আপকামিং সুপার পাওয়ার আমেরিকার দ্বন্দ্বে বলী হয়েছিলো আফগানিস্তান। দেশটি এখন ধ্বংসস্তুপ। অনুরুপ বর্তমান সুপার পাওয়ার আমেরিকা ও আপকামিং সুপার পাওয়ার চীনের দ্বন্দ্বের কেন্দ্রস্থল কিন্তু বঙ্গপোসাগর। সেই দ্বন্দ্বেও বাংলাদেশও যে আফগানিস্তানের মত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে না, সেটা কিন্তু বলা যায় না।
(https://tinyurl.com/y3crkkcj)
(https://tinyurl.com/y3crkkcj)
আজকে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে গুলি করে অর্ধশতাধিক মুসল্লী হত্যাকাণ্ডের পর একই কথা বলবো। মুসলমানদের নিজস্ব কোন অবস্থান নেই, এজন্য মুসলমানদের পাখির মত গুলি খেয়ে মরতে হয়। এর সমাধানও দুইটি-
ক) অসাম্প্রদায়িকতা আস্তাকুড়েতে নিক্ষেপ করে ‘সম্প্রদায় প্রিয়’ হোন। নিজ সম্প্রদায়কে, নিজের সংস্কৃতি ভালোবাসুন, অন্য সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, পেয়ার-মুহব্বমত ভুলে যান, তাদের বয়কট করতে শিখুন।
খ) আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে জোট বা একাত্মতা করুন, আন্তর্জাতিক মুসলিম জোটের দাবী তুলুন।কোন স্থানে মুসলিমদের উপর হামলা হলে ঐ জোটের পক্ষ থেকে ঐ স্থানে সামরিক অভিজান চালানোর ঘোষণা জারি করার দাবী তুলুন।
খ) আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে জোট বা একাত্মতা করুন, আন্তর্জাতিক মুসলিম জোটের দাবী তুলুন।কোন স্থানে মুসলিমদের উপর হামলা হলে ঐ জোটের পক্ষ থেকে ঐ স্থানে সামরিক অভিজান চালানোর ঘোষণা জারি করার দাবী তুলুন।