মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে দুটি রাজনৈতিক দল-
১) ডেমোক্র্যাট
২) রিপাবলিকান
১) ডেমোক্র্যাট
২) রিপাবলিকান
একইভাবে মার্কিন সম্রাজ্যবাদ যখন বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাও দুটি ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে-
১) ডেমোক্র্যাট ব্লক
২) রিপাবলিকান ব্লক
১) ডেমোক্র্যাট ব্লক
২) রিপাবলিকান ব্লক
একজন অ্যানালিস্ট হতে গেলে, আপনার এসব ব্লক সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে, তখন তাদের কাজগুলো সহজে ধরতে পারবেন, এবং অনেক কিছুই আগে থেকে অনুধাবন করা সম্ভব।
আমি এ স্ট্যাটাসে সাম্প্রতিক বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া তিনটি ঘটনার কথা বলবো, যেখানে আমার মনে হয়েছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান ব্লকের মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রকাশ্য দেখা যাচ্ছে।
ক) রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের প্রশ্নে রবীন্দ্রনাথের নামের সথে পর্নো নায়িকা মিয়া খলিফা ও সানী লিওনের নামযুক্তকরণ।
ব্যাখ্যা : ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ এমন এক হিন্দু গোষ্ঠী চালায় যারা আসলে ‘রিপাবলিকান ব্লক’ মেইনটেইন করে। উগ্রহিন্দুরা রিপাবলিকান ব্লকের অনুসারী। ভারতের মোদিও রিপাবলিকান ব্লকের সদস্য। মোদির আবির্ভাব রামকৃষ্ণ মিশন থেকে এবং বাংলাদেশে আসলে সে অবশ্যই রামকৃষ্ণ মিশনে আসবে। এখন কথা হলো, রিপাবলিকান ব্লকের সদস্যরা কেন রবীন্দ্রনাথের উপর ক্ষ্যাপা ?
উত্তর হালো- রবীন্দ্রনাথ হলো ডেমোক্র্যাটদের ফিগার। এজন্য রিপাবলিকানরা রবীন্দ্রনাথকে দেখতে পারে না। ভারতের বিজেপি সহ উগ্রহিন্দুরা সব সময় রবীন্দ্রনাথের বিরোধী।
যেমন খবরগুলো দেখুন-
- ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে রবীন্দ্রনাথে ফের অসম্মান (https://bit.ly/2GlXsHL)
- বিজেপির বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ (https://bit.ly/2GxtPoi)
-কট্টর হিন্দুত্বের কোপে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! (https://bit.ly/2vcYLn6)
উত্তর হালো- রবীন্দ্রনাথ হলো ডেমোক্র্যাটদের ফিগার। এজন্য রিপাবলিকানরা রবীন্দ্রনাথকে দেখতে পারে না। ভারতের বিজেপি সহ উগ্রহিন্দুরা সব সময় রবীন্দ্রনাথের বিরোধী।
যেমন খবরগুলো দেখুন-
- ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে রবীন্দ্রনাথে ফের অসম্মান (https://bit.ly/2GlXsHL)
- বিজেপির বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ (https://bit.ly/2GxtPoi)
-কট্টর হিন্দুত্বের কোপে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! (https://bit.ly/2vcYLn6)
অর্থাৎ ভারতে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধচারণ করা রিপাবলিকান ব্লক অনুসারিদের অনেক পুরাতন স্বভাব। এবার বাংলাদেশে রিপাবলিকান ব্লকের রামকৃষ্ণ মিশন রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধচারণ আনতে সানি লিওন ও মিয়া খলিফার নাম নিয়ে আসলো।
বাংলাদেশের মুসলমানরা কি ফায়দা নেবে এখান থেকে ?
ডেমোক্রেট ব্লকের বাংলাদেশের সদস্যরা রবীন্দ্র সংস্কৃতির মাধ্যমে অনেক ‘পয়জন’ বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ঢুকাচ্ছে। মুসলমানরা এক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকানদের বিরোধ সামনে এনে, আগে প্রশ্ন করতে পারে, আগে তোমরাই ফয়সালা করো রবীন্দ্রনাথ কেমন ? তারপর না হয় আমরা গ্রহণ করবো ??
ডেমোক্রেট ব্লকের বাংলাদেশের সদস্যরা রবীন্দ্র সংস্কৃতির মাধ্যমে অনেক ‘পয়জন’ বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ঢুকাচ্ছে। মুসলমানরা এক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকানদের বিরোধ সামনে এনে, আগে প্রশ্ন করতে পারে, আগে তোমরাই ফয়সালা করো রবীন্দ্রনাথ কেমন ? তারপর না হয় আমরা গ্রহণ করবো ??
খ) সম্প্রতি বাংলাদেশের নায়ক ফেরদৌস ভারতের তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রচারণায় যাওয়ার পর বিজেপি বাধ সেধেছে। তারা ফেরদৌসকে কালো তালিকাভূক্ত করে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য এর আগে আমি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেনকে বলেছিলাম ডেমোক্র্যাট ব্লকের সদস্য । বলেছিলাম ডেমোক্রেটরা মাথায় ওড়না আর হিজাব মুড়ে রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধচারণ করে, এটা অনেক পুরাতন ‘রাজনৈতিক বিষয়’ এটা নিয়ে মুসলমানদের এত খুশি হওয়ার কিছু নেই। মাথায় কাপড় বা হিজাব মোড়ায় জেসিন্ডা আরডেনের আগে ডেমোক্র্যাট ব্লকের জার্মানির অ্যাঞ্জলা মার্কেল আর তৃণমূলের মমতা অনেক আগেই তা সাফল্যের সাথে দেখিয়েছে।
মুসলমানরা কি ফায়দা নেবে এখান থেকে ?
রিপাবলিকান ব্লকের বিজেপি মুসলমানদের উপর অনেক নির্যাতিন চালায় এটা ঠিক, কিন্তু মুসলমানরা সারা দিন ডেমোক্র্যাটের তৃণমূল তৃণমূল করেও যে অনেক ফায়দা নিতে পেরেছে তাও নয়। তৃণমূল মুখে মুসলমান নিয়ে অনেক কথা বললেও মুসলমানদের সেই তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক-ই বানিয়ে রেখেছে। তবে মুসলমানরা যদি ডেম্রোক্রেট-রিপাবলিকানদের দ্বন্দ্বটা বুঝে ধোকায় না পড়ে দুইপক্ষের দরকষাকশি করতো বা মুসলিম রাজনৈতিক নেতৃত্বের উত্থান করতো, তবে অনেক বেশি উপকার পেতে পারতো।
রিপাবলিকান ব্লকের বিজেপি মুসলমানদের উপর অনেক নির্যাতিন চালায় এটা ঠিক, কিন্তু মুসলমানরা সারা দিন ডেমোক্র্যাটের তৃণমূল তৃণমূল করেও যে অনেক ফায়দা নিতে পেরেছে তাও নয়। তৃণমূল মুখে মুসলমান নিয়ে অনেক কথা বললেও মুসলমানদের সেই তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক-ই বানিয়ে রেখেছে। তবে মুসলমানরা যদি ডেম্রোক্রেট-রিপাবলিকানদের দ্বন্দ্বটা বুঝে ধোকায় না পড়ে দুইপক্ষের দরকষাকশি করতো বা মুসলিম রাজনৈতিক নেতৃত্বের উত্থান করতো, তবে অনেক বেশি উপকার পেতে পারতো।
গ) কয়েকদিন আগে আমি রাজেন্দ্র দত্ত নামক এক উগ্রহিন্দু বিজেপির সদস্যের লেখা শেয়ার করেছিলাম, যে পহেলা বৈশাখকে হিন্দুদের অনুষ্ঠান বলে, বাংলাদেশে এর ইসলামীকীকরণ হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করেছিলো (https://bit.ly/2XpfL5C)
এখানে আপনাদের জেনে রাখা প্রয়োজন, পহেলা বৈশাখ হলো বাংলাদেশে ডেমোক্র্যাট ব্লকের প্রজেক্ট। বাংলাদেশে ডেমোক্র্যাট ব্লকের সদস্যরা এ অনুষ্ঠানকে ধর্মনিরপেক্ষ বানিয়ে তার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলমানদের ধমীয় বাধন ভাঙ্গতে চায়, নতুন পজিশন দাড় করাতে চায়।
বাংলাদেশের মুসলমানরা এর থেকে কি ফায়দা নেবে ?
যেহেতু রিপাবলিকান ব্লকরা পহেলা বেশাখকে হিন্দুত্ববাদী অনুষ্ঠান হিসেবেই প্রচার করতে চায়, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুসলমানরা যদি পহেলা বৈশাখ নিয়ে রিপাবলিকান ব্লকের সদস্যদের দৃষ্টিভাঙ্গী তাদের রেফারেন্সেই সামনে নিয়ে আসতো, তবে ডেমোক্র্যাট ব্লক চুপ হয়ে যেতে বাধ্য।
যেহেতু রিপাবলিকান ব্লকরা পহেলা বেশাখকে হিন্দুত্ববাদী অনুষ্ঠান হিসেবেই প্রচার করতে চায়, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুসলমানরা যদি পহেলা বৈশাখ নিয়ে রিপাবলিকান ব্লকের সদস্যদের দৃষ্টিভাঙ্গী তাদের রেফারেন্সেই সামনে নিয়ে আসতো, তবে ডেমোক্র্যাট ব্লক চুপ হয়ে যেতে বাধ্য।
ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশরা বানিয়েছিলো ‘ডিভাইড এন্ড রুল’। তখন তারা মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন দল-উপদল সৃষ্টি করলো এবং সেই দলে দলে লাগিয়ে তারা মুসলমানদের শাসন করতে শুরু করলো। এখন মুসলমানরা যদি পুনরায় উত্থান চায়, তবে তাদেরও ঠিক উল্টা পলিসি গ্রহণ করা উচিত। এখন হয়ত নতুন করে বিরাধীদের মধ্যে দল-উপদল সৃষ্টি করা সম্ভব নয়, কিন্তু তাদের মধ্যে যে বড় বড় বিভাজন আছে, সেগুলো কাজে লাগায় সেখান থেকে ভালো মানের ফায়দা নিতে পারে। এগুলো নিয়ে স্ট্যাডি করলে, তিনটি সুবিধা-
প্রথমত- মুসলমানরা কারো হয়ে ব্যবহৃত হবে না
দ্বিতীয়ত- মুসলমানরাই একপক্ষ দিয়ে অন্যপক্ষ দমন করতে পারবে।
তৃতীয়ত- সবপক্ষ চিনে ফেলায় মুসলমানদের আলাদা পক্ষ বা শক্তি তৈরী হওয়া সম্ভব।
প্রথমত- মুসলমানরা কারো হয়ে ব্যবহৃত হবে না
দ্বিতীয়ত- মুসলমানরাই একপক্ষ দিয়ে অন্যপক্ষ দমন করতে পারবে।
তৃতীয়ত- সবপক্ষ চিনে ফেলায় মুসলমানদের আলাদা পক্ষ বা শক্তি তৈরী হওয়া সম্ভব।