নিরাপদ সড়ক চাই
বিচার চাই, জেল চাই
আইন চাই, ফাঁসি চাই
ফ্লাইওভার চাই, মেট্রোরেল চাই
অমুক চাই, তমুক চাই
আরো কত কিছু চাই,
কিন্তু কিছুতেই কিছু হবে না রে ভাই
মূল গলদটা যে কি, এটা কেউ বুঝে না
মূল সমস্যা সমাধান না করে, তোমরা যত ‘চাই’ ‘চাই’ করো কোন সমাধান হবে না।
বিচার চাই, জেল চাই
আইন চাই, ফাঁসি চাই
ফ্লাইওভার চাই, মেট্রোরেল চাই
অমুক চাই, তমুক চাই
আরো কত কিছু চাই,
কিন্তু কিছুতেই কিছু হবে না রে ভাই
মূল গলদটা যে কি, এটা কেউ বুঝে না
মূল সমস্যা সমাধান না করে, তোমরা যত ‘চাই’ ‘চাই’ করো কোন সমাধান হবে না।
চালক এক্সিডেন্ট করলে তাকে ফাঁসি দিতে হবে
তাহলে ডাক্তারের চিকিৎসারত অবস্থায় কোন রোগী মারা গেলে ঐ ডাক্তারকেও তো ফাঁসি দিতে হবে।
তীব্র জ্যামের মধ্যে ১০ সেকেন্ডের জন্য যখন সিগনাল ছাড়ে, তখন আমরাই পেছন থেকে বাস ড্রাইভারকে বলি, “তাড়াতাড়ি টানেন, তাড়াতাড়ি টানেন নয়ত আরেক সিগনালে আটকে যাবেন।”
তখন বাস ড্রাইভার জান পরান দিয়ে টান দেয়,
তখন যদি কেউ রাস্তা পারাপার হতে যায়, তবে বাসের চাকায় পিষ্ট হওয়া খুব স্বাভাবিক।
আবার গতিশীল বাস, একজন পথচারিকে বাচাতে যদি হার্ড ব্রেক কষে
তবে হুমকির মুখে পড়তে পারে বাসের অর্ধ শতাধিক যাত্রী। তাই সমস্যা সব খানেই আছে।
তাহলে ডাক্তারের চিকিৎসারত অবস্থায় কোন রোগী মারা গেলে ঐ ডাক্তারকেও তো ফাঁসি দিতে হবে।
তীব্র জ্যামের মধ্যে ১০ সেকেন্ডের জন্য যখন সিগনাল ছাড়ে, তখন আমরাই পেছন থেকে বাস ড্রাইভারকে বলি, “তাড়াতাড়ি টানেন, তাড়াতাড়ি টানেন নয়ত আরেক সিগনালে আটকে যাবেন।”
তখন বাস ড্রাইভার জান পরান দিয়ে টান দেয়,
তখন যদি কেউ রাস্তা পারাপার হতে যায়, তবে বাসের চাকায় পিষ্ট হওয়া খুব স্বাভাবিক।
আবার গতিশীল বাস, একজন পথচারিকে বাচাতে যদি হার্ড ব্রেক কষে
তবে হুমকির মুখে পড়তে পারে বাসের অর্ধ শতাধিক যাত্রী। তাই সমস্যা সব খানেই আছে।
আসালে
মূল সমস্যাটা হলো জনসংখ্যা নিয়ে,
ঢাকা শহরের জনসংখ্যা অনেক বেশি।
এত বেশি মানুষ যখন কম যায়গার মধ্যে থাকে, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটা খুব স্বাভাবিক। আর বেশি মানুষ হলে নিয়মশৃঙ্খলা হাজার চেষ্টা করে রাখতে পারবে না। আমি আগেও বলেছি, ঢাকা শহরে মাত্র ২৬০ বর্গকিলোতে প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যা থাকে, এই ঘনত্বটা কতটা বেশি, সেটা বোঝার জন্য বলছি, এই সমঘনত্ব যদি পুরো বাংলাদেশে থাকতো, তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হতো ৮০০ কোটির বেশি, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা থেকেও বেশি।
তাই সবার প্রথমে ঢাকা শহরকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ঢাকা শহরকে হালকা করতে হবে। তখন হাজারটা নিয়ম করুন, দেখবেন তখন সবাই নিয়ম মানবে, এর আগে হাজার আইন করে আপনি নিয়ম মানাতে পারবেন না।
যে যাত্রী বা চালকের ১ কিলো যেতে ১ ঘন্টা লাগে, যে তো মানসিক বিপর্যস্ত, আর মানসিক বিপর্যস্ত লোক কি আইন মানবে ? অমুক লাইসেন্স, তমুক ফিটনেস সার্কিফিকেট করে আন্দোলন করেও কোন লাভ হবে না, বরং এতে আপনার ক্ষতি। এইসব আন্দোলন করে আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের পকেট ভারি করার বাড়তি সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং যার শেষ পরিণতি হলো আপনার যাতায়াত ভাড়া আরো বাড়বে। গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর পুলিশের আইজিপি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর অজুহাতে লেগুনা বন্ধ করে দিছিলো। এতে শুরুতে যাত্রী দুর্ভোগের শেষ ছিলো না। পরে কয়েকদিন পর আবার চালু করে দেয়। খবর নিয়ে জানা গেলো, আগে পুলিশ চাদা নিতো ৫০০ টাকা, এখন নিচ্ছে ৯০০। ফলশ্রুতিতে লেগুনার বাড়তি ভাড়া গুনতে হলো যাত্রীদের। (https://bit.ly/2Tis01u)
একইভাবে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সরকার “সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮” আইন করে। আগের আইনে কারো কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ৫০০ টাকা জরিমানা হতো, কিন্তু নতুন আইনে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তবে বড় কথা হলো, এই জরিমানার এক-তৃতীয়াংশ পাবে যে ট্রাফিক ঐ গাড়ি ধরবে, সে। নতুন আইন জারি হলে, পাবলিক কতটা ফাদেঁ পড়বে এবং ট্রাফিক-পুলিশ কতভাবে আর্থিক ফায়দা নেবে তা সময়-ই বলে দেবে।
মূল সমস্যাটা হলো জনসংখ্যা নিয়ে,
ঢাকা শহরের জনসংখ্যা অনেক বেশি।
এত বেশি মানুষ যখন কম যায়গার মধ্যে থাকে, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটা খুব স্বাভাবিক। আর বেশি মানুষ হলে নিয়মশৃঙ্খলা হাজার চেষ্টা করে রাখতে পারবে না। আমি আগেও বলেছি, ঢাকা শহরে মাত্র ২৬০ বর্গকিলোতে প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যা থাকে, এই ঘনত্বটা কতটা বেশি, সেটা বোঝার জন্য বলছি, এই সমঘনত্ব যদি পুরো বাংলাদেশে থাকতো, তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হতো ৮০০ কোটির বেশি, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা থেকেও বেশি।
তাই সবার প্রথমে ঢাকা শহরকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ঢাকা শহরকে হালকা করতে হবে। তখন হাজারটা নিয়ম করুন, দেখবেন তখন সবাই নিয়ম মানবে, এর আগে হাজার আইন করে আপনি নিয়ম মানাতে পারবেন না।
যে যাত্রী বা চালকের ১ কিলো যেতে ১ ঘন্টা লাগে, যে তো মানসিক বিপর্যস্ত, আর মানসিক বিপর্যস্ত লোক কি আইন মানবে ? অমুক লাইসেন্স, তমুক ফিটনেস সার্কিফিকেট করে আন্দোলন করেও কোন লাভ হবে না, বরং এতে আপনার ক্ষতি। এইসব আন্দোলন করে আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের পকেট ভারি করার বাড়তি সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং যার শেষ পরিণতি হলো আপনার যাতায়াত ভাড়া আরো বাড়বে। গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর পুলিশের আইজিপি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর অজুহাতে লেগুনা বন্ধ করে দিছিলো। এতে শুরুতে যাত্রী দুর্ভোগের শেষ ছিলো না। পরে কয়েকদিন পর আবার চালু করে দেয়। খবর নিয়ে জানা গেলো, আগে পুলিশ চাদা নিতো ৫০০ টাকা, এখন নিচ্ছে ৯০০। ফলশ্রুতিতে লেগুনার বাড়তি ভাড়া গুনতে হলো যাত্রীদের। (https://bit.ly/2Tis01u)
একইভাবে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সরকার “সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮” আইন করে। আগের আইনে কারো কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ৫০০ টাকা জরিমানা হতো, কিন্তু নতুন আইনে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তবে বড় কথা হলো, এই জরিমানার এক-তৃতীয়াংশ পাবে যে ট্রাফিক ঐ গাড়ি ধরবে, সে। নতুন আইন জারি হলে, পাবলিক কতটা ফাদেঁ পড়বে এবং ট্রাফিক-পুলিশ কতভাবে আর্থিক ফায়দা নেবে তা সময়-ই বলে দেবে।
যেহেতু সব আন্দোলনের শেষ ফলাফল জনবিরোধী হয়ে যায়, তাই কোন আন্দোলন করলে তার দাবীগুলো বুঝে শুনে করা উচিত এবং ফায়দা যেন জনকল্যানে হয়, সেটা খেয়াল রাখা উচিত।
তাই আমার মনে হয়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রথম দাবী হওয়া উচিত ছিলো,
ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করলেই ঢাকার জনসংখ্যা কমবে, তখন যত খুশি নিয়ম-আইন করুন, সব আইন মানা সম্ভব হবে।
তাই আমার মনে হয়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রথম দাবী হওয়া উচিত ছিলো,
ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করলেই ঢাকার জনসংখ্যা কমবে, তখন যত খুশি নিয়ম-আইন করুন, সব আইন মানা সম্ভব হবে।
[ বি:দ্র: বিকেন্দ্রীকরণ মানে কিন্তু উচ্ছেদ নয়। পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নেয়ার নামে যেটা সরকার করতে চেয়েছিলো সেটা হলো উচ্ছেদ। বিকেন্দ্রীকরণ করার নিয়ম হলো ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকে অধিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে ট্র্যান্সফার করতে আকৃষ্ট করা। সরকার তাদের সুযোগ সুবিধা দিলে তারা নিজেরাই সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যাবে, আর তখনই খালি হবে ঢাকা, এর আগে না। ]
এখানে বোঝার বিষয় হলো, সরকার কিন্তু নিজেই ঢাকা শহরের যানজট নিরসন করতে আগ্রহী নয়। সে নিজেই চায় না, যানজট শেষ হয়ে যাক। কারণ যতদিন যানজট আছে, সেটাকে পূজি করে ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলের মত বড় বড় প্রজেক্ট নেয়া যাবে, আর লোপাট করা যাবে লাখ লাখ কোটি টাকা। তাই সঠিক উপায়ে ব্যবস্থা নিয়ে যদি যানজট শেষ হয়ে যায়, তবে সেই ‘আলাদিনের চেরাগ’ আর পাবে কোথায় ?
আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে,
আমরা আন্দোলন করবো, খুব ভালো কথা,
কিন্তু এই আন্দোলনটা যেন কেবলই ছাত্র-জনতার হয়।
কোন বিশেষ মহল যেন সেই ছাত্র-জনতাকে তার ও তার দলের কোন বিশেষ স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে সেটাও মনে রাখা প্রয়োজন।
৯০ এর দশকে বাংলাদেশে গাছ লাগানোর জন্য অনেক আন্দোলন হয়েছে,
সেই আন্দোলনের রেশ ধরে অনেক গাছও এসেছে, ফান্ড করেছে বিশ্বব্যাংক, ঋণ দিয়েছে ব্র্যাক।
কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, আমরা আন্দোলন করে যেই গাছগুলো (ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি) নিয়ে আসলাম সেগুলো আমাদের পরিবেশের জন্য উল্টো ক্ষতিকর।
তাই আন্দোলন করার আগে, খুব খেয়াল করতে হবে, আমার আন্দোলনের ফলটা যেন আরেকজন ঘরে না তুলতে পারে না এবং আমাদের ক্ষতি করতে না পারে।
আমরা আন্দোলন করবো, খুব ভালো কথা,
কিন্তু এই আন্দোলনটা যেন কেবলই ছাত্র-জনতার হয়।
কোন বিশেষ মহল যেন সেই ছাত্র-জনতাকে তার ও তার দলের কোন বিশেষ স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে সেটাও মনে রাখা প্রয়োজন।
৯০ এর দশকে বাংলাদেশে গাছ লাগানোর জন্য অনেক আন্দোলন হয়েছে,
সেই আন্দোলনের রেশ ধরে অনেক গাছও এসেছে, ফান্ড করেছে বিশ্বব্যাংক, ঋণ দিয়েছে ব্র্যাক।
কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, আমরা আন্দোলন করে যেই গাছগুলো (ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি) নিয়ে আসলাম সেগুলো আমাদের পরিবেশের জন্য উল্টো ক্ষতিকর।
তাই আন্দোলন করার আগে, খুব খেয়াল করতে হবে, আমার আন্দোলনের ফলটা যেন আরেকজন ঘরে না তুলতে পারে না এবং আমাদের ক্ষতি করতে না পারে।
শেষ কথা বলতে চাই,
এক আন্দোলন দিয়ে আমরা আরেক আন্দোলনকে যেন ধামাচাপা না দেই, সেটা খেয়াল রাখাও জরুরী।
গত সোমবার সন্ধার সময় পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৮ জন নিহত এবং ডজন খানেক আহত হওয়ার পর আমাদের বাংলাদেশীদের বড় আন্দোলন হওয়ার কথা ছিলো পাড়ারে যেন সেনাক্যাম্প আরো বাড়ানো হয় এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের দমন করা হয়, সেটা নিয়ে। কিন্তু সেটা না করে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ঘুরে গেলে সড়ক আন্দোলনের দিকে।
আপনারা হয়ত জানেন, বাংলাদেশে পাহাড়ে উপজাতিদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ টিকে থাকুক এবং এক সময় তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হোক, এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তসংস্থা সিআইএ’র বহুদিনের প্ল্যান। কিন্তু পাহাড়ে সেনাক্যাম্প ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বেশি হলে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারছে না তারা। এজন্য বহুদিন ধরে তারা সেনাক্যাম্প সরাতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে এবং বহুলাংশে সফলও হয়েছে। সেনাক্যাম্প সরানোর মূলে প্রধান মূখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা। পাহাড়ে যখন বড় ধরনের খুনোখুনি হলো, তখন সবার মুখে শ্লোগান হওয়ার দরকার ছিলো পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির বিষয়ে। কিন্তু পরদিন সকাল মানে মঙ্গলবার সকালে একটা সড়ক দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং পুরো দেশের মানুষের মোড় ঘুরে সবাই সড়ক আন্দোলন নিয়ে কথা বলা শুরু করে। সিআইএ মূখপাত্র দৈনিক প্রথম আলো এক্ষেত্রে মিডিয়া সাপোর্ট কতটুকু দিয়েছে, সেটা আমার থেকে আপনারাই ভালো জানেন। তাই কে কখন কোন ইস্যু তুলছে, কোন স্বার্থে তুলছে সেটার দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা ছাত্র-জনতা সবার জন্যই জরুরী।
এক আন্দোলন দিয়ে আমরা আরেক আন্দোলনকে যেন ধামাচাপা না দেই, সেটা খেয়াল রাখাও জরুরী।
গত সোমবার সন্ধার সময় পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৮ জন নিহত এবং ডজন খানেক আহত হওয়ার পর আমাদের বাংলাদেশীদের বড় আন্দোলন হওয়ার কথা ছিলো পাড়ারে যেন সেনাক্যাম্প আরো বাড়ানো হয় এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের দমন করা হয়, সেটা নিয়ে। কিন্তু সেটা না করে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ঘুরে গেলে সড়ক আন্দোলনের দিকে।
আপনারা হয়ত জানেন, বাংলাদেশে পাহাড়ে উপজাতিদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ টিকে থাকুক এবং এক সময় তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হোক, এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তসংস্থা সিআইএ’র বহুদিনের প্ল্যান। কিন্তু পাহাড়ে সেনাক্যাম্প ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বেশি হলে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারছে না তারা। এজন্য বহুদিন ধরে তারা সেনাক্যাম্প সরাতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে এবং বহুলাংশে সফলও হয়েছে। সেনাক্যাম্প সরানোর মূলে প্রধান মূখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা। পাহাড়ে যখন বড় ধরনের খুনোখুনি হলো, তখন সবার মুখে শ্লোগান হওয়ার দরকার ছিলো পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির বিষয়ে। কিন্তু পরদিন সকাল মানে মঙ্গলবার সকালে একটা সড়ক দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং পুরো দেশের মানুষের মোড় ঘুরে সবাই সড়ক আন্দোলন নিয়ে কথা বলা শুরু করে। সিআইএ মূখপাত্র দৈনিক প্রথম আলো এক্ষেত্রে মিডিয়া সাপোর্ট কতটুকু দিয়েছে, সেটা আমার থেকে আপনারাই ভালো জানেন। তাই কে কখন কোন ইস্যু তুলছে, কোন স্বার্থে তুলছে সেটার দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা ছাত্র-জনতা সবার জন্যই জরুরী।